মুমিনুল গাইলেন বিশ্বাসের জয়গান

ছবি: এএফপি

ক্রাইস্টচার্চ টেস্টে বিন্দুমাত্র লড়াই জমাতে পারেনি বাংলাদেশ দল। নিউজিল্যান্ডের কাছে স্রেফ উড়ে গেছে। তবে টাইগার অধিনায়ক মুমিনুল হক জোর দিচ্ছেন পুরো সিরিজ থেকে পাওয়া ইতিবাচক দিকগুলোর দিকে। বিদেশের মাটিতে টেস্ট জেতার যে বিশ্বাস দলের মধ্যে তৈরি হয়েছে, সেটাকে ভীষণ তাৎপর্যপূর্ণ মনে করছেন তিনি।

মঙ্গলবার হ্যাগলি ওভালে তৃতীয় দিনেই হয়েছে ম্যাচের ফয়সালা। ফলো-অনে নেমে লিটন দাসের নান্দনিক সেঞ্চুরির পরও দ্বিতীয় ইনিংসে ২৭৮ রানে অলআউট হয়েছে বাংলাদেশ। ইনিংস ও ১১৭ রানের জয়ে দুই ম্যাচের সিরিজে সমতা ফিরিয়েছে একমাত্র ইনিংসে রানের পাহাড়ে চড়া স্বাগতিক নিউজিল্যান্ড। মাউন্ট মঙ্গানুইতে অনুষ্ঠিত আগের টেস্টে ৮ উইকেটে জিতে এগিয়ে গিয়েছিল সফরকারীরা। কিউইদের মাটিতে সব সংস্করণ মিলিয়ে বাংলাদেশের টানা ৩২ হারের বৃত্ত ভাঙা পড়েছিল তাতে।

ম্যাচের পর সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশ অধিনায়ক মুমিনুল বলেন, বিদেশের মাটিতে ম্যাচ জেতার অভ্যাস গড়ে টেস্ট সিরিজ জেতার প্রত্যাশাও পূরণ করবেন তারা, 'উন্নতির তো অনেক কিছুই বাকি আছে। অনেক কিছু করা যাবে। আপনারা জানেন, আমি খুব কঠিন সময়ের মধ্যে অধিনায়কত্ব পেয়েছিলাম। তখন আমি স্বপ্ন দেখতাম বড় দলের সঙ্গে ম্যাচ জেতার। তো মানুষের ওই স্বপ্নটা আসে চোখে দেখার জন্য।'

'আমার কাছে মনে হয়, প্রথম টেস্ট ম্যাচে জেতাটা খুবই দরকার ছিল। আপনারা, আমরা- সবাই অন্তত বিশ্বাস করতে পারছে যে তারা সক্ষম। বিদেশের মাটিতে গিয়ে টেস্ট ম্যাচ জেতা যায়। তো আস্তে আস্তে একটা টেস্ট ম্যাচ জিতলেন, তারপর আরেকটা জিতলেন, এরপর একটা সময় আসবে যে আমরা টেস্ট সিরিজ জিতব। আমার কাছে তাই মনে হয়, ওই বিশ্বাসটা সবার মধ্যে আনা খুবই গুরুত্বপূর্ণ ছিল। সবার মধ্যে বিশ্বাসটা এসেছে।'

প্রথম ইনিংসের বাজে ব্যাটিং ও বোলিংয়ের কথা স্বীকার করে নিয়ে প্রাপ্তির দিকে নজর দেন তিনি, 'ইতিবাচক অনেক কিছুই আছে। আমি সংবাদ সম্মেলনে সব সময় বলি, আমরা তখনই ভালো ফল করি, ভালো খেলি, যখন সবাই সম্মিলিতভাবে আমরা ভালো করি, সেটা ব্যাটিং, বোলিং, ফিল্ডিং যা-ই বলেন। প্রথম টেস্টে এটাই ইতিবাচক দিক ছিল।'

'আর দ্বিতীয় টেস্টের প্রথম ইনিংসে আমরা খুব বাজে ব্যাট করেছি। বোলিংও যেরকম প্রত্যাশা করেছিলাম, ওরকম করতে পারিনি। প্রথম ইনিংসে তা-ও দুই-তিনটা ভালো ভালো ইনিংস ছিল। রাব্বির পঞ্চাশ (৫৫), সোহানের চল্লিশ (৪১) রানের একটা ইনিংস ছিল। আমার কাছে মনে হয়, একজন সিনিয়র খেলোয়াড় ও অধিনায়ক হিসেবে আমার আরও ভালো করা উচিত ছিল। দ্বিতীয় ইনিংসে লিটনের একশ (১০২) রান অসাধারণ একটি ইনিংস ছিল। তারপর সোহানও খুব ভালো ব্যাটিং করছিল। ভালো ভালো, ইতিবাচক বেশ কিছু ব্যাপার ছিল।'

সবশেষে বাংলাদেশ অধিনায়ক মুমিনুল আবারও জোর দেন এই সফরে অর্জন করা দেশের বাইরে টেস্ট জেতার বিশ্বাসের প্রতি, 'আমাদের বিশ্বাস করার জন্য, আমাদের একটা (ইতিবাচক) ফলের দরকার ছিল, যাতে সবাই বিশ্বাস করে যে আমরা পারি।'

Comments

The Daily Star  | English

Govt plans to include private sector in US tariff talks

Bangladesh is currently reviewing the proposals and will send a response within the next couple of days, Commerce Secretary Mahbubur Rahman told The Daily Star yesterday over the phone.

14h ago