৫ উইকেট হারিয়ে শেষের পথে বাংলাদেশ
দরকার ছিল চোয়ালবদ্ধ দৃঢ়তা, একই সঙ্গে দরকার ছিল রান বাড়ানোও। নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ইনিংস হার এড়াতে এরকম কঠিন পরিস্থিতির সামনে অল্প বিস্তর প্রতিরোধ এলেও লড়াই দীর্ঘ হচ্ছে না। বাংলাদেশের ইনিংসে বাজছে বেলা শেষের গান।
প্রথম দুই দিনেই বড় জয়ের মঞ্চ প্রস্তুত করে ফেলেছিল স্বাগতিকরা। তৃতীয় দিনে অপেক্ষা ছিল আনুষ্ঠানিকতা সারার। মঙ্গলবার ক্রাইস্টচার্চে সেই পথে অনেকটাই কাজ সেরে নিয়েছে নিউজিল্যান্ড। তৃতীয় দিনের চা-বিরতি পর্যন্ত ৫ উইকেট হারিয়ে বাংলাদেশ তুলেছে ১৫২ রান। ইনিংস হার এড়াতেই এখনো প্রয়োজন ২৪৩ রান। এই টেস্টে বাংলাদেশের পাওয়ার আছে তাই সামান্য। '
ফলোঅনে পড়ে দ্বিতীয় ইনিংসে নেমে প্রথম সেশনে ২ উইকেটে এসেছিল ৭৪ রান। ওপেনিংয়ে সতর্ক শুরুর পর অধিনায়ক মুমিনুল হক বাড়াচ্ছিলেন রান, নড়বড়ে অবস্থায় ব্যাট করলেও টিকে গিয়েছিলেন নাঈম শেখ। তবে থিতু হয়ে বিদায় দুজনেরই।
টিম সাউদির অফ স্টাম্পের বাইরের বলে খোঁচা দিয়ে নাঈম দিয়েছেন স্লিপে ক্যাচ। অসম্ভব দক্ষতায় তা লাফিয়ে নেন টম ল্যাথাম। তাতে ভাঙ্গে ৩৪ রানের জুটি। পরে লিটনকে নিয়ে আরেক জুটি গড়ার পথে ছিলেন মুমিনুল। শুরুর ঝাপটা সামলে সাবলীল হতে শুরু করেছিলেন তিনি।
কিন্তু থিতু হয়ে থামেন অধিনায়কও। নেইল ওয়েগনারের বলে ৩৭ করা মুমিনুল ধরা দেন প্রথম স্লিপে। আগের ইনিংসে ফিফটি করা ইয়াসির আলি রাব্বি এবার এসেই বিদায়। কেবল ৯ বল টিকে ওয়েগনারের শর্ট বলে ডাক করতে গিয়ে সহজ ক্যাচ দিয়েছেন দ্বিতীয় স্লিপে।
বাকিটা সময় নুরুল হাসান সোহানকে নিয়ে পার করে দেন লিটন দাস। প্রথম ইনিংসে ব্যর্থ লিটন দ্বিতীয় ইনিংসে দেখাচ্ছেন দৃঢ়তা। ওয়েগনার-বোল্টদের ঝাঁজ সামলে টিকে আছেন ক্রিজে। ৫৩ বলে ২৩ রান নিয়ে ক্রিজে তিনি। ১৫ বলে ৬ করে তার সঙ্গী সোহান। খেলা পরের দিনে যাবে কিনা এই দুজনের উপরই অনেকটা নির্ভর করছে।
Comments