একটাই লক্ষ্য ছিল, উইকেট দিব না: আফিফ

ছবি: ফিরোজ আহমেদ

টপ অর্ডার ব্যর্থ। ব্যর্থ মিডল অর্ডারও। উইকেটে তখন সাত ও আট নম্বর ব্যাটার আফিফ হোসেন ও মেহেদী হাসান মিরাজ। আফগানিস্তানের জয় তখন মনে হয়েছিল সময়ের ব্যাপার। সেখান থেকে অবিশ্বাস্য এক জয়ের গল্পই লিখল এ দুই তরুণ। মূলত উইকেট না দেওয়ার লক্ষ্যটা সামনে রেখে এগিয়ে যাওয়াতেই এমন জয় মিলেছে টাইগারদের। ম্যাচ শেষে সংবাদ সম্মেলনে এমনটাই বলেছেন আফিফ।

বুধবার চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে আফগানিস্তানকে ৪ উইকেটে হারিয়েছে বাংলাদেশ। প্রথমে ব্যাট করতে নেমে ৪৯.১ ওভারে ২১৫ রানে আফগানদের গুটিয়ে দেয় টাইগাররা। এরপর লক্ষ্য তাড়ায় ফজলহক ফারুকির তোপে পড়ে এক সময়ই হারই দেখছিল দলটি। তবে ধ্বংসস্তূপ থেকে বাংলাদেশকে টেনে বের করেন মিরাজ ও আফিফ। জুটির বিশ্বরেকর্ড গড়ে দলকে জয়ও এনে দেন তারা।

অথচ মাঠে যাওয়ার পর জয় নিয়ে কোনো ভাবনাই ছিল না এ তরুণদের। এমনকি এ ব্যাপারে কোনো কথাই বলেননি তারা। কেবল উইকেট ধরে রাখার সংকল্পে দৃঢ় থেকেছেন। শেষ পর্যন্ত চেষ্টা করে যাওয়ার লক্ষ্যই সাফল্যের কারণ বলে জানান আফিফ, 'পুরো খেলাটায় আমরা ম্যাচ জেতানোর ব্যাপারে কথা বলিনি। আমাদের কেবল কথা ওটাই ছিল যে আমরা উইকেট দিব না, শেষ পর্যন্ত চেষ্টা করব।'

নিজের পরিকল্পনার কথা জানিয়ে এ তরুণ আরও বলেন, '৬টা উইকেট পড়ার পর আমাদের শুধু একটাই লক্ষ্য ছিল, আমরা উইকেট দিব না। এই লক্ষ্যটা নিয়েই ব্যাটিং করছিলাম যে উইকেট না দিয়ে যতক্ষণ কাটানো যায়...। রান আসলে ভালো, না আসলে কিছু করার নেই। শেষের দিকে তো খেলা বল টু বল ছিল। পরিকল্পনা ছিল, কেবল স্বাভাবিক খেলাটা খেলব।'

ফারুকির তোপের পর বাংলাদেশের বড় আতঙ্কের নাম ছিলেন আফগানদের তিন স্পিনার। মুজিব তখন বল করলেও সময়ের সেরা লেগস্পিনার রশিদ খান ও মোহাম্মদ নবি তখনও বল হাতে নেননি। কিন্তু এ তিন স্পিনারকে বেশ সাবলীলভাবেই খেলেন আফিফরা, 'নির্দিষ্ট বোলারদের বিপক্ষে লক্ষ্য বলতে, ওদের যে তিন জন স্পিনার আছে, তাদের বিপক্ষে পরিকল্পনা ছিল স্বাভাবিক খেলার...। শেষ ৫ ওভারে যদি ৩০-৪০ বা ৫০ রানও লাগে, আমরা চেষ্টা করব, আমরা যেন শেষ করতে পারি। ওদের স্পিনারদের উইকেট না দিয়ে ব্যাটিং করার পরিকল্পনা ছিল।'

Comments

The Daily Star  | English

US bomber jets leave UK base; Iran launches 'Fattah-1 missiles' towards Israel

Israel and Iran attacked each other for a sixth straight day on Wednesday, and Israeli air power reigns over Iran, but needs US for deeper impact

10h ago