কাল প্রথম বল থেকেই মারব: মাহমুদউল্লাহ

ওয়ানডের জড়তা গা ঝাড়া দিয়ে প্রথম বল থেকেই চার-ছয়ের চেষ্টায় থাকবেন তিনি।
Mahmudullah
নেটে বড় শটের অনুশীলনে মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। ছবি: ফিরোজ আহমেদ

ওয়ানডে সিরিজে ব্যাটিং পজিশন অনুযায়ী  মাহমুদউল্লাহর কাছে দলের চাওয়া ছিল আগ্রাসী অ্যাপ্রোচের। কিন্তু আফগাননের বিরুদ্ধে ওয়ানডে সিরিজে তার ব্যাট ছিল একদম নীরব। পুরো সিরিজে ৭৯ বল মোকাবেলা করে মারতে পেরেছেন কেবল একটাই বাউন্ডারি। চাপে থাকা এই অভিজ্ঞ ক্রিকেটারই আবার টি-টোয়েন্টিতে দলের অধিয়ানায়ক। টি-টোয়েন্টিতে নামার আগে জানালেন, ওয়ানডের জড়তা গা ঝাড়া দিয়ে প্রথম বল থেকেই চার-ছয়ের চেষ্টায় থাকবেন তিনি।

আফগানদের বিপক্ষে প্রথম ওয়ানডেতে দলের বিপর্যয়ে ১৭ বল খেলে ১ বাউন্ডারিতে মাহমুদউল্লাহ করেন ৮ রান। পরের ম্যাচে নেমেছিলেন স্লগ ওভারে দ্রুত রান আনার চাহিদায়। হাতে উইকেট থাকলেও তিনি ৯ বল কোন বাউন্ডারি ছাড়া করেন ৬ রান। শেষ ম্যাচে ৫৩ বল খেলেও তার ব্যাট থেকে আসেনি কোন বাউন্ডারি। ২৯ রানে অপরাজিত থাকায় তার গড় অবশ্য হয়েছে ভালো। কিন্তু মেটেনি দলের চাহিদা। 

স্বাভাবিকভাবেই টি-টোয়েন্টি সিরিজের আগে ওয়ানডের জড়তার প্রসঙ্গে এসেছে। বুধবার এমন প্রসঙ্গ উঠতেই বাংলাদেশের টি-টোয়েন্টি অধিনায়ক জানিয়ে দিলেন তার মনোভাব,  'আমি ইনশাল্লাহ কালকে প্রথম বল থেকেই মারব। চার মারার চেষ্টা করব, ছয় মারার চেষ্টা করব।'

'আমি সব সময় প্রেফার করে ইন্টেন্ট নিয়ে ব্যাট করা, পজিটিভ অ্যাপ্রোচ নিয়ে ব্যাট করা।'

ব্যাটিংয়ের মতো অভিজ্ঞ এই ক্রিকেটারদের ফিল্ডিংও ছিল হতাশার নাম। ওয়ানডে সিরিজে ছেড়েছেন সহজ দুই ক্যাচ। অনেকবার সহজ ফিল্ডিং মিস করতে দেখা গেছে তাকে। গ্রাউন্ড ফিল্ডিংয়ে বলের কাছে যেতেও ভুগেছেন বিস্তর। নিজের ফিল্ডিংয়ের এই সংকট অনুধাবন করে বাড়তি নিবেদনের খুঁজে মাহমুদউল্লাহ,  'আমি অবশ্যই চেষ্টা করব আমার ফিল্ডিং এফোর্টটা যেন ভালো থাকে। আমি হয়তবা ওরকম ভালো ফিল্ডিং করতে পারিনি। চেষ্টা করব ভালো ইনপুট দিতে।'

সময়টা ভালো না যাওয়ায় মাহমুদউল্লাহর দলে জায়গা নিয়েও প্রশ্ন উঠছে। তবে তিনি তার অবস্থানে কোন সংশয় দেখছেন না,  'আলহামদুলিল্লাহ্ আমার কোনো সংশয় নেই। আমার মনে হয় আমি ঠিক রাস্তায় আছি। আমার হয়তো ভালো কিছু বল খেলতে হবে। ইনশা আল্লাহ আমি ভালোভাবেই ফিরব। কারণ, আমার কাছে দলের চাহিদা অমনই থাকে। ওয়ানডে ম্যাচগুলোয় হয়তো বা আমি সেভাবে ভালো করতে পারিনি। আমি চেষ্টা করব। দলের আমার কাছে যে প্রত্যাশা, আমি চেষ্টা করব সেটা পূরণ করার।'

Comments

The Daily Star  | English
Bangladeshi-Americans eager to help build new Bangladesh

July uprising and some thoughts of Bangladeshi-Americans

NRBs gathered in New Jersey showed eagerness to assist in the journey of the new Bangladesh forward.

9h ago