টিকিট বিক্রি শুরুর সময় নিয়ে বিভ্রান্তি, দর্শকদের ভোগান্তি

ছবি: ফিরোজ আহমেদ

দুইদিন আগে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি) সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছিল, মঙ্গলবার সকাল নয়টা থেকে শুরু হবে টিকিট বিক্রি। কিন্তু চট্টগ্রামের বিটাক মোড়ের বুথে দেখা গেল ভিন্ন চিত্র। বাংলাদেশ ও আফগানিস্তানের প্রথম ওয়ানডের টিকিট বিক্রি নির্ধারিত সময়ে শুরু হয়নি। দুপুর দুইটায় বুথ খোলায় ভোগান্তি পোহাতে হয় টিকিটপ্রত্যাশী দর্শকদের।

করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের পর এবারই প্রথম চট্টগ্রাম জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে বসে খেলা দেখার সুযোগ পাচ্ছেন দেশের ভক্ত-সমর্থকরা। স্বাভাবিকভাবেই তারা মুখিয়ে আছেন টিকিটের জন্য। সকালে টিকিট কেনার প্রত্যাশায় অনেক আগেভাগেই চলে আসেন তারা। কেউ কেউ তো ভোরে এসেই হাজির হন বুথের সামনে। কিন্তু টিকিট বিক্রি দুপুরে শুরু হওয়ায় দীর্ঘ সময় তাদের পার করতে হয় অপেক্ষায়।

তবে বিসিবির মিডিয়া কমিটির চেয়ারম্যান তানভীর আহমেদ টিটু দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে সকাল নয়টা থেকে টিকিট বিক্রির কথা উল্লেখ ছিল না, 'আজ কোনো ঝামেলা হয়নি। ঝামেলার কিছু ছিল না। মানুষজন একটু আগে চলে এসেছে। টিকিট ছাড়ার কথা ছিল দুপুর দুইটা থেকে। কিন্তু তারা হয়তো জেনেছিল যে, সকাল থেকে ছাড়া হবে। আমি তো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে কিছু লিখিনি (সকাল থেকে ছাড়ার বিষয়ে)। দুপুর থেকে ছেড়েছে।'

আগামীকাল বুধবার মাঠে গড়াবে তিন ম্যাচ সিরিজের প্রথম ওয়ানডে। এই ম্যাচের জন্য প্রায় চার হাজার টিকিট ছাড়ার কথা জানান তানভীর, 'প্রথম খেলার জন্য তিন-চার হাজার টিকিট, এরকমই হবে। সরকার অনুমতি দিয়েছে গত পরশু দিন বিকালে। তাই আমরা নতুন করে টিকিট ছাপাতে পারিনি। কারণ, গতকাল ২১ ফেব্রুয়ারির বন্ধ ছিল।'

করোনাভাইরাসের ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্টের প্রাদুর্ভাবে সরকার যে বিধিনিষেধ আরোপ করেছিল, তা উঠে গেছে এদিন থেকে। তাই সামনের ম্যাচগুলোতে টিকিট বেশি ছাড়ার প্রত্যাশা জানান তানভীর, 'পরের খেলাগুলোর বিষয়ে আলাপ করেছি। বাড়তে পারে। টিকিট ছাপানোর উপর নির্ভর করবে। আশা করছি, যা আগামীকাল হবে, তার দ্বিগুণ তো নিশ্চয়ই হবে (দ্বিতীয় ম্যাচে)। এখন তিন-চার হাজার আছে। সেটা সাত-আট হাজার হবে। শেষ ম্যাচে আরেকটু বাড়বে। আমরা ক্রমান্বয়ে বাড়ানোর চেষ্টা করছি।'

দ্য ডেইলি স্টারের সঙ্গে আগের আলাপে স্টেডিয়ামের সব টিকিট বিক্রির পরিকল্পনার কথা বলেছিলেন তানভীর। তবে পরবর্তীতে বিসিবির এই পরিচালক দেন ভিন্ন তথ্য, 'ফুল হাউজ করার এখনও পরিকল্পনা হয়নি। কারণ, সামাজিক দূরত্ব মানার বিষয়টি এখনও আছে। কারণ, অন্যান্য বিধিনিষেধ উঠে গেলেও মাস্ক পরা ও সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা, এই দুইটা এখনও আছে। সেকারণে ফুল হাউজ হবে কিনা তা আগামীকাল নিশ্চিত করা হবে।'

Comments

The Daily Star  | English
AI-manipulated image of Shahbagh engineering students’ protest, DMP claims

Debunking DMP claim, frame by frame

The Daily Star photographer, who was present at the scene, described the incident as it unfolded

2h ago