মুনিমের মতো একজনকেই খুঁজছিলেন নির্বাচকরা

Munim Shahriar
২৮ বলে ৫১ রানের পথে মুনিম শাহরিয়ার। ছবি: ফিরোজ আহমেদ

ক্রিজে নেমে নিজের উইকেটের তোয়াক্কা না করে ব্যাট চালাতে জানেন, কুঁকড়ে না থেকে খেলেন ভয়ডরহীন ক্রিকেট। টি-টোয়েন্টিতে এমন একজন ব্যাটসম্যানকে খুঁজছিলেন নির্বাচকরা। মুনিম শাহরিয়ারের মাঝে মিলেছে সেই সমাধানের আভাস। মুনিমকে দলে নেওয়ার ব্যাখ্যায় দ্য ডেইলি স্টারকে এমনটাই জানালেন নির্বাচক হাবিবুল বাশার সুমন।

আফগানিস্তানের বিপক্ষে দুই ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজের দলে বড় চমক মুনিমই। যেকোনো সংস্করণে প্রথমবার জাতীয় দলে ডাক পড়েছে তার।

এবার বিপিএলে ফরচুন বরিশালের হয়ে ওপেন করতে নেমে আলো কাড়েন ময়মনসিংহের ২৩ পেরুনো ডানহাতি ব্যাটার।  ৬ ম্যাচে ১৫২.১৩ স্ট্রাইকরেট আর ২৯.৬৬ গড়ে করেন ১৭৮ রান। ক্রিস গেইলকে ছাপিয়ে তার আগ্রাসী শুরু আলাদা করে নজর কাড়ে সবার। তবে বিপিএলের প্লেয়ার্স ড্রাফটে তাকে শুরুতে কেউই নেয়নি। পরে দল পান বরিশালে। ম্যাচ পেতে লেগে যায় আরও সময়।

বিপিএলে ড্রাফটে তার দল না পাওয়া ছিল বিস্ময়ের কারণ এর আগে গেল বছর ঢাকা প্রিমিয়ার লিগ টি-টোয়েন্টিতে তিনি দেখিয়েছেন ঝলক। আবাহনীর হয়ে ১৪ ম্যাচ খেলে ২ ফিফটিতে ৩৫৫ রান করেছিলেন ১৪৩.১৪ স্ট্রাইকরেটে।  হাবিবুল জানালেন তখন থেকেই তাদের নজরে পড়েন এই তরুণ, 'মুনিম শাহরিয়ারকে ঢাকা প্রিমিয়ার লিগেই আমাদের প্রথম নজরে আসে। ওকে আমাদের ভালো লেগেছিল ওর ব্যাটিংয়ের ধরনে, ভয়ডরহীন, ব্যাট স্যুয়িং সব মিলিয়ে। তারপর তাকে আমরা এইচপি স্কোয়াডে নিয়ে আসি। কোভিডের জন্য এইচপিতে তেমন কিছু করা যায়নি।'

বেশ অনেকদিন ধরেই পাওয়ার প্লেতে জুতসই রান আনতে পারছিলেন না বাংলাদেশের ওপেনাররা। ঝড়ো একটা শুরুর তাগিদ থেকেই খোঁজ ছিল একজন ওপেনারের। মুনিম দলে এসেছেন সেই চিন্তা থেকে,  'মূলত ওকে আমরা টি-টোয়েন্টিতে নিয়েছি কারণ এরকম একজন ব্যাটসম্যান আমাদের দরকার। এরকম একজন চাচ্ছিলাম যে এই স্টাইলে ব্যাট করতে পারে। যেটার ঘাটতি আছে আমাদের টি-টোয়েন্টি দলে।' 

'যদি দেখেন আমাদের প্রথম ছয় ওভার আমরা সেখানে পিছিয়ে থাকি। এমন একজনকে খুঁজছিলাম যে কিনা প্রথম ৬ ওভার ব্যবহার করতে পারে। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে পারবে কি পারবে না সেটা পরের কথা।'

নির্বাচকদের কাজ সহজ করে দেয় এবারের বিপিএল। খেলার ধরণ অনুযায়ী দলের চাহিদা মেটানো রান করায় তাকে দলে নিতে আর দ্বিধা করেননি নির্বাচকরা, 'বিপিএলের পারফরম্যান্স সাহায্য করেছে বটে। ও এই ধরণের ব্যাটিং করে আমরা জানি। যখন এখানেও রান পেল আমরা তখন মনে করেছি এখন চেষ্টা করে দেখা যেতে পারে।'

Comments

The Daily Star  | English

22 sectors still pay wages below poverty line

At least 22 sectors in Bangladesh continue to pay their workers much less than what is needed to meet basic human needs.

11h ago