লিটনকে আরেকটু ভালো করা সিডন্সের জন্য চ্যালেঞ্জ

ছবি: ফিরোজ আহমেদ

২৪ ঘণ্টার কিছু বেশি সময় পেরিয়েছে লিটন দাসের সেঞ্চুরির। ভক্ত-সমর্থকদের চোখে এখনও লেগে থাকার কথা অনবদ্য ইনিংসটি। আফগানিস্তানের বোলারদের বিপক্ষে ছড়ি ঘুরিয়ে এই ডানহাতি ব্যাটার করেন শৈল্পিক ব্যাটিং। তার সামর্থ্য, দক্ষতা ও মান নিয়ে প্রশ্ন নেই বললেই চলে। বাংলাদেশ দলের ব্যাটিং পরামর্শক জেমি সিডন্সও জানান, আরেকটু ভালো করতে পারলেই পূর্ণতা পাবে লিটনের 'ক্লাস'। আর সেটাই চ্যালেঞ্জ এই অস্ট্রেলিয়ান কোচের কাছে।

সিডন্সের মতে, লিটনকে নিয়ে কাজ করার আছে খুব কমই। অর্থাৎ টেকনিক থেকে টেম্পারমেন্ট, প্রায় সবকিছুই নিখুঁত তার। সামান্য যে ঘাটতি আছে তা, পূরণ করতে লাগবে সময়। আর দায়িত্ব নেওয়ার পর কাজে যোগ দিয়ে এই অল্প কয়েক দিনে সিডন্স বাংলাদেশের যেসব তরুণ ব্যাটারদের দেখেছেন, তাদের প্রতিভা ইতোমধ্যে নির্ভার করে দিয়েছে তাকে।

শনিবার চট্টগ্রাম জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে সংবাদ সম্মেলনে সিডন্স মাতেন লিটনের বন্দনায়, 'আমি মনে করি, প্রতিভা দেখে ইতোমধ্যেই আমার ওপর থাকা চাপ প্রায় সরে গেছে। তারা এমনিতেই বড় ম্যাচে পারফর্ম করতে সক্ষম। লিটনের মতো খেলোয়াড় টেস্ট ম্যাচে তা করে দেখিয়েছে। আমি তাকে উন্নতিতে সাহায্য করার মতো খুব অল্প কিছু জিনিসই দেখি। তার যে ক্লাস, সেখানে শেষ পরশ দিয়ে পূর্ণতা দিতে সময় লাগবে। তখন সে সফল হতে পারবে বিশ্বের প্রতিটি বোলারের বিপক্ষে, বিপরীতে যেকোনো দুর্দান্ত ফাস্ট বোলার বা স্পিনারই থাকুক না কেন। এটা আমার চ্যালেঞ্জ, তাকে আরেকটু ভালো করা।'

আফগানদের বিপক্ষে প্রথম ওয়ানডেতে বাংলাদেশের জয়ের যৌথ নায়ক ছিলেন আফিফ হোসেন ও মেহেদী হাসান মিরাজ। দ্বিতীয় ওয়ানডেতে ম্যাচসেরার পুরস্কার ওঠে লিটনের হাতে। তাদের এমন উজ্জ্বল পারফরম্যান্স আশাবাদী করছে সিডন্সকে, 'আমি ইতোমধ্যে দুটি ম্যাচে কিছু তরুণ প্রতিভা দেখেছি: মিরাজ, আফিফ ও লিটন। তারা মানসম্পন্ন, ক্ল্যাসি আর শান্ত মেজাজের ক্রিকেটার। তারা কেবল আরও ভালো হতে থাকবে। তারা যত বেশি খেলবে, তত বড় বড় ম্যাচে পারফর্ম করবে।'

দুই ম্যাচ জিতে সিরিজ নিজেদের করে নিয়েছে বাংলাদেশ দল। তাদের সামনে এখন রশিদ খান-মোহাম্মদ নবিদের হোয়াইটওয়াশ করার অভিযান। তার আগে সিডন্সের মুখে শোনা যায় সিনিয়র-জুনিয়রদের মেলবন্ধনের প্রত্যাশা, 'এই খেলাগুলো আমাদের (তরুণ) ছেলেদের জন্য চাপের। এই খেলাগুলোতে তাদের জিততেই হবে। তরুণ খেলোয়াড়রা উঠে দাঁড়িয়েছে, যা দেখতে দারুণ। আমাদের পরিচিত সিনিয়র খেলোয়াড়রাও এক পর্যায়ে ঘুরে দাঁড়াবে। কিন্তু তাদের সাহায্য করার জন্য তরুণ খেলোয়াড়দেরও প্রয়োজন। এমন কিছু ঘটলে একটা উত্তেজনাপূর্ণ ব্যাপার হবে।'

Comments

The Daily Star  | English

Students’ unions: Legal bars, admin delays stall polls in many universities

Of 56 public universities across the country, only seven have the legal provision for a central students' union

5h ago