সাদা বলে সাকিবের ৪০০
নিঃসন্দেহে দেশের ক্রিকেটের সবচেয়ে বড় বিজ্ঞাপনের নাম সাকিব আল হাসান। আর কেন তা আরও একবার বুঝিয়ে দিলেন এ অলরাউন্ডার। আফগানিস্তানের বিপক্ষে প্রথম টি-টোয়েন্টি ম্যাচে মোহাম্মাদ নবিকে তুলে নেওয়ার পথে প্রথম বাংলাদেশি বোলারদের মধ্যে সীমিত ওভারের ক্রিকেটে ৪০০ উইকেট নেওয়ার কীর্তি গড়লেন এ অলরাউন্ডার। আর ইতিহাসের নবম বোলার হিসেবে গড়েন এ কীর্তি।
পরিসংখ্যানটা সহজই ছিল সাকিবের সামনে। একটি উইকেট পেলেই সীমিত ওভারের ম্যাচে ৪০০ উইকেট ক্লাবে যোগ দিবেন তিনি। নিজের দ্বিতীয় ওভারেই করে ফেলেন কাজটা। তার বলে ক্রিজ ছেড়ে বেরিয়ে ইনসাইড আউট খেলার চেষ্টা করেছিলেন নবি। কিন্তু দুর্ভাগ্য তার, ঠিকঠাকভাবে বলে সংযোগ করতে না পারায় কভারে আফিফ হোসেনের সহজ ক্যাচ পরিণত হন আফগান অধিনায়ক।
এ মাইলফলকে পা রাখতে সাকিবকে খেলতে হয়েছে ৩১৩ ম্যাচ। এরমধ্যে ৯৫টি টি-টোয়েন্টি ম্যাচ। যেখানে তার উইকেট সংখ্যা ১১৮। আর পঞ্চাশ ওভারের ম্যাচ খেলেছেন ২১৮টি। সেখানে পেয়েছেন ২৮২টি উইকেট। সবমিলিয়ে ২৬.৫৯ গড়ে পান ৪০০ উইকেট। তাতে মোট ১৬বার পেয়েছেন কমপক্ষে ৪টি উইকেট করে উইকেট। ফাইফার রয়েছে ৪ বার।
সাদা বলে অবশ্য সবচেয়ে সফল বোলার শ্রীলঙ্কান কিংবদন্তি মুত্তিয়াহ মুরালিধরন। ৩৬২ ম্যাচ খেলে পেয়েছেন ৫৪৭ ম্যাচ। তার পরেই আছেন পাকিস্তানি কিংবদন্তি ওয়াসিম আকরাম। ৩৫৬ ম্যাচে পান ৫০২ উইকেট। অবশ্য তিনি কেবল খেলেছেন ওয়ানডে সংস্করণ। তার সময়ে টি-টোয়েন্টি সংস্করণ চালু হয়নি।
এছাড়া সাকিবের উপরে আছেন পাকিস্তানের শহীদ আফ্রিদি (৪৯৭ ম্যাচে ৪৯৩ উইকেট), শ্রীলঙ্কার লাসিথ মালিঙ্গা (৩১০ ম্যাচে ৪৪৫ উইকেট), পাকিস্তানের ওয়াকার ইউনুস (২৬২ ম্যাচে ৪১৬ উইকেট), শন পোলক (৩১৫ ম্যাচে ৪০৮ উইকেট), ব্রেট লি (২৪৬ ম্যাচে ৪০৮ উইকেট), চামিন্দা ভাস (৩২৮ ম্যাচে ৪০৬ উইকেট)।
বৃহস্পতিবার মিরপুর শেরে বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে আফগানিস্তানের বিপক্ষে লড়ছে বাংলাদেশ। সফরকারীদের ১৫৬ রানের লক্ষ্য দিয়ে নাসুম আহমেদের ঘূর্ণিতে আফগানকে কোণঠাসা করে ফেলে টাইগাররা। এরপর নবি ও নজিবুল্লাহ যখন ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টা করেন, তখন রুদ্ররূপ ধারণ করে সাকিব। এ দুই ব্যাটারকে তুলে নিয়ে বাংলাদেশকে সহজ জয়ের পথে দেখান এ অলরাউন্ডার।
Comments