সুজন টিম ডিরেক্টর হওয়ায় বরং 'চাপমুক্ত' ডমিঙ্গো

ফাইল ছবি: ফিরোজ আহমেদ

সবশেষ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে ব্যর্থতার পর টিম ডিরেক্টের পদ তৈরি করে খালেদ মাহমুদ সুজনকে সেখানে নিয়োগ দিয়েছে বিসিবি। তার অবস্থান বাংলাদেশ দলের কোচিং স্টাফদের সবার উপরে। দায়িত্ব পাওয়ার পর থেকেই সুজনের সপ্রতিভ উপস্থিতি। মাঠে এবং মাঠের বাইরে। আফগানিস্তানের বিপক্ষে চলমান সিরিজেও সেটার কোনো ব্যত্যয় হচ্ছে না। অনুশীলন চলাকালে প্রধান কোচ রাসেল ডমিঙ্গো ও ব্যাটিং পরামর্শক জেমি সিডন্সের সঙ্গে তিনিও টাইগারদের দিচ্ছেন দিক-নির্দেশনা।

বৃহস্পতিবার ছিল বাংলাদেশ দলের ঐচ্ছিক অনুশীলন। চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে উপস্থিত হন ওয়ানডে অধিনায়ক তামিম ইকবাল, মুশফিকুর রহিম, ইয়াসির আলী চৌধুরী রাব্বি, মাহমুদুল হাসান জয়সহ কয়েক জন। তাদের দেখভালের জন্য ডমিঙ্গো, সুজন ও সিডন্স ত্রয়ীর তিন জনই ছিলেন মাঠে। ক্রিকেটারদের অনুশীলনের ফাঁকে ফাঁকে নিজেদের মধ্যে কথাবার্তা বলতে দেখা যায় তাদের।

আফগানদের বিপক্ষে প্রথম ওয়ানডের আগে সংবাদ সম্মেলনে এসেছিলেন তামিম। আগের দিনের ওই ম্যাচে আফিফ হোসেন ও মেহেদী হাসান মিরাজের বীরত্বে রোমাঞ্চকর জয়ের পর এবার গণমাধ্যমের মুখোমুখি হলেন প্রধান কোচ ডমিঙ্গো। শঙ্কা এড়িয়ে তিন ম্যাচের সিরিজ শুভ সূচনা করায় দলের সবার মতো তিনিও আছেন খোশ মেজাজে। আর চাপহীন থাকার কারণেই হয়তো সাংবাদিকদের কঠিন কঠিন সব প্রশ্নে 'ছক্কা' মারলেন এই দক্ষিণ আফ্রিকান।

ফাইল ছবি: ফিরোজ আহমেদ

প্রধান কোচের সঙ্গে টিম ডিরেক্টর, তাদের সঙ্গে ব্যাটিং পরামর্শকের ভূমিকায় আবার সাবেক এক কোচই। তিন জনের মধ্যে ব্যক্তিগত সম্পর্ক কেমন, দায়িত্বের পরিধি কী সেসব নিয়ে দেশের ক্রিকেট অঙ্গনে আছে নানা গুঞ্জন। রেষারেষি হওয়ার শঙ্কাও শোনা যায় অনেকের মুখে। সংবাদ সম্মেলনে এসব বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে অতীতে বাংলাদেশের প্রধান কোচ হিসেবে কাজ করা সিডন্সকে নিয়ে ডমিঙ্গো স্পষ্ট করে জবাব দেন, 'নির্দিষ্ট দায়িত্ব বলতে... জেমিকে কী সেটা তো তুমিই বললে। ব্যাটিং পরামর্শক। হ্যাঁ, সেটাই তার কাজ।'

টিম ডিরেক্টরের ভূমিকাও পরিষ্কার করেন ডমিঙ্গো। সুজন আসায় নিজের সুবিধাই দেখছেন তিনি, 'আমি যেটা বুঝি, টিম ডিরেক্টর আমার ও বোর্ডের সদস্যদের মধ্যে সেতুবন্ধন হিসেবে কাজ করেন। (দুই পক্ষের মধ্যে) যোগাযোগ ঘটিয়ে দেওয়া, দল নির্বাচনসহ বিভিন্ন বিষয়ে। আমাকে আর বোর্ড পরিচালকদের সঙ্গে লাইনআপ বা টসের সিদ্ধান্ত নিয়ে কথা বলতে হয় না। আমি সেসব বিষয়ে ফোকাস করতেও চাই না। তাই চাচাকে পাওয়াটা দারুণ হয়েছে। তিনি তথ্য আদান-প্রদানের কাজ করেন (আমাদের মধ্যে)। তিনি আমাকে বিভিন্ন চাপ থেকে মুক্ত করেছেন।'

ডমিঙ্গোর ব্যাখ্যায় দেশের ক্রিকেটপ্রেমীদের ভীষণ খুশিই হওয়ার কথা। কারণ, সিডন্স ও সুজনের সঙ্গে নিজেদের ভূমিকা নিয়ে তার অবস্থান পরিষ্কার থাকলে এবং সেই প্রক্রিয়া মেনে চললে লাভবান হবে বাংলাদেশ দলই।

Comments

The Daily Star  | English

4 injured in clashes during NCP rally in Bogura

The incident occurred around 4:30pm near the Titu Auditorium in Bogura town during a programme organised by the NCP

2h ago