চরম বিপর্যয়ে মুশফিক-লিটনের প্রতিরোধ
ফলোঅনে পড়ে দ্বিতীয় ইনিংসে নেমে টপটপ ৪ উইকেট হারিয়ে চরম বিপর্যয়ে পড়ে যায় বাংলাদেশ। বিপর্যস্ত সেই পরিস্থিতি থেকে প্রতিরোধ গড়েছেন মুশফিকুর রহিম ও লিটন দাস। দিনের বাকি সময়ে তাদের জন্য কাজটা অবশ্য বেশ কঠিন।
বুধবার মিরপুর টেস্টের পঞ্চম দিনের লাঞ্চ বিরতি পর্যন্ত দ্বিতীয় ইনিংসে ৪ উইকেটে ৭২ রান তুলেছে বাংলাদেশ। ইনিংস হার এড়াতেই বাংলাদেশের চাই ১৪১ রান। ম্যাচ বাঁচাতে ব্যাট করতে হবে পুরো দিন। দিনের বাকি দুই সেশনে ৬ উইকেট নিয়ে ম্যাচ কঠিন চ্যালেঞ্জের মুখে মুমিনুল হকের দল।
প্রথম ইনিংসে ৮৭ রানে গুটিয়ে ফলোঅনে পড়ে দ্বিতীয় ইনিংসে ২৫ রানেই পড়ে যায় ৪ উইকেট। সেই জায়গা থেকে ১৪.৫ ওভার টিকে ৪৭ রানের জুটিতে কিছুটা স্বস্তি এনে লাঞ্চে গেলেন মুশফিক-লিটন। লিটন অপরাজিত আছেন ২৭ রানে, মুশফিক খেলছেন ১৬ রান নিয়ে।
এর আগে উইকেট পতনের মিছিলে বিব্রতকর পরিস্থিতিতে পড়ে বাংলাদেশ। আগের দিনের ৭ উইকেটে ৭৬ রান নিয়ে নেমে আর ১১ যোগ করেই গুটিয়ে যায় তারা। মিরপুরে নিজেদের সর্বনিম্ন রানে গুটিয়ে পড়ে ফলোঅনে। প্রথম সেশনে দুই ইনিংস মিলিয়ে বাংলাদেশ করেছে ৮৩ রান, হারিয়েছে ৭ উইকেট।
অভিষিক্ত মাহমুদুল হাসান জয় প্রথম ইনিংসে ফিরেছিলেন শূন্য রানে। দ্বিতীয় ইনিংসে বাউন্ডারিতে রানের খাতা খুলেন তিনি। তবে চতুর্থ ওভারে তার বিদায়েই ধসের শুরু। প্রথম ইনিংসে বলই পাননি হাসান আলি। এই পেসার দ্বিতীয় ইনিংসে শুরুতেই উইকেট এনে দেন পাকিস্তানকে। হাসানের বলে ফুটওয়ার্কের দুর্বল ব্যবহারে অফ স্টাম্প খোয়ান জয়। ৬ বলে ৬ রানে থামে তার দৌড়।
পরের ওভারেই বিদায় নড়বড়ে সাদমান ইসলামের। শাহীন শাহ আফ্রিদিকে সামলাতে না পারে মাত্র ২ রান করে এলবিডব্লিউ হন তিনি। অধিনায়ক মুমিনুল হক এক চারে শুরুটা করেছিলেন। দলের বিপর্যয়ে তার ব্যাটের দিকেই প্রত্যাশা ছিল চড়া। কিন্তু হাসানের অ্যাঙ্গেল তৈরি করে ভেতরে ঢোকানো বলে এলবিডব্লিউর শিকার তিনিও। ৮ বলে মুমিনুল ফেরেন ৭ রান করে।
তিনে নামা নাজমুল হোসেন শান্তকে ছাঁটেন শাহীন। তার লাফানো বল সামলাতে না পারে গালিতে ক্যাচ দেন ৬ রান করা শান্ত। ২৫ রানেই বাংলাদেশ হারিয়ে ফেলে ৪ উইকেট।
চরম কঠিন পরিস্থিতি থেকে দলকে বাঁচাতে জুটি বাধেন মুশফিক-লিটন। প্রথম ইনিংসের পাগলাটে অ্যাপ্রোচ ঝেড়ে তাদের দেখা যায় সতর্ক পথে। ২১তম বলে রানের খাতা খুলেন লিটন। পরে অবশ্য এগিয়েছেন সাবলীল গতিতে। থিতু হতে সময় নেন মুশফিকও। দ্বিতীয় সেশনে তারা কেমন করেন তার উপর নির্ভর করছে ম্যাচের গতিপথ।
Comments