তাইজুলের নৈপুণ্যে বাংলাদেশের সেশন

ইতোমধ্যে ৩৫ ওভার হাত ঘুরিয়েছেন তাইজুল। ৮ মেডেনসহ ৭০ রান দিয়ে তার শিকার ৩ উইকেট।
লিটনকে ঘিরে বাংলাদেশের উল্লাস। ছবি: ফিরোজ আহমেদ

দিনের প্রথম ওভারেই তাইজুল ইসলাম তুলে নেন ২ উইকেট। আবিদ আলি এক পাশে টিকে সেঞ্চুরি করে দলকে এগিয়ে নিলেও মেহেদী হাসান মিরাজ ফেরান পাকিস্তানের অধিনায়ক বাবর আজমকে। টানা বল করতে থাকা বাঁহাতি স্পিনার তাইজুল এরপর দারুণ এক বলে আউট করেন ফাওয়াদ আলমকে। তার নৈপুণ্যে চট্টগ্রাম টেস্টের তৃতীয় দিনের প্রথম সেশনে দাপট দেখাল বাংলাদেশ।

বিনা উইকেটে ১৪৫ রান নিয়ে খেলতে নেমে রোববার মধ্যাহ্ন বিরতি পর্যন্ত পাকিস্তানের সংগ্রহ ৪ উইকেটে ২০৩ রান। উইকেটে আছেন আবিদ ২৬৯ বলে ১২৭ ও মোহাম্মদ রিজওয়ান ৩১ বলে ৫ রানে। এই সেশনে ৩১ ওভার ব্যাট করেছে সফরকারীরা। মাত্র ৫৮ রান খরচ করে মুমিনুল হকের দল তুলে নিয়েছে ৪ উইকেট।

ইতোমধ্যে ৩৫ ওভার হাত ঘুরিয়েছেন তাইজুল। ৮ মেডেনসহ ৭০ রান দিয়ে তার শিকার ৩ উইকেট। দুই পেসার আবু জায়েদ রাহি ও ইবাদত হোসেন কোনো উইকেট পাননি এখনও।

দিনের শুরুটা দারুণভাবে করে বাংলাদেশ। প্রথম ওভারেই পরপর দুই বলে উইকেট তুলে নেন তাইজুল। তবে এরপর খেলা অনেকটা সহজ করে দেন আবিদ। অনায়াসে তুলে নেন ক্যারিয়ারের চতুর্থ টেস্ট সেঞ্চুরি। বাবরকে ফিরিয়ে মিরাজ বাংলাদেশকে আবার খেলায় আনার পর ফাওয়াদকে বিদায় করেন তাইজুল।

দিনের প্রথম ওভারেই বল করতে আসেন তাইজুল। তার প্রথম ৪ বল থেকে আসে একটি সিঙ্গেল। পঞ্চম বলটা কাট করতে গিয়ে পরাস্ত হন আবদুল্লাহ শফিক। বল আগে লাগে তার পায়ে। জোরালো আবেদনে সাড়া দেন আম্পায়ার। আগের দিন প্রায় একই রকম একটি অবস্থায় বাংলাদেশ রিভিউ না নেওয়ায় ৯ রানে বেঁচে গিয়েছিলেন তিনি।

১৬৬ বলে ৫২ রান করার পর অবশেষে ফেরানো যায় অভিষিক্ত শফিককে। পরের বলেই আসে বড় উইকেট। পাকিস্তানের সবচেয়ে অভিজ্ঞ ব্যাটসম্যান আজহার আলি তাইজুলের প্রথম বলেই হয়ে যান এলবিডব্লিউ।

আবিদ দারুণ খেলে সেঞ্চুরি তুলে নিলেও আরেক পাশে থিতু হওয়ার আগেই ফেরেন বাবর। ৪৬ বল খেললেও ছিলেন একটু জড়সড়। ৪৫তম বলে চার মারার পর মিরাজের সোজা বল লাইন মিস করে বোল্ড হয়ে যান তিনি। তার ব্যাট থেকে আসে ১০ রান।

৭৮তম ওভারে তাইজুল ও উইকেটরক্ষক লিটন দাসের সমন্বয়ে ফের উল্লাসে মাতে বাংলাদেশ দল। তৃতীয় বলটা টার্ন করে ভেতরে ঢুকছিল। বাঁহাতি ফাওয়াদ ব্যাকফুটে খেলতে গিয়ে পরাস্ত হন। বল তার গ্লাভস স্পর্শ করে পায়ে লেগে প্রথম স্লিপের দিকে যাচ্ছিল। লিটন বাঁদিকে সরে গিয়ে ঝাঁপিয়ে জমান চোখ ধাঁধানো ক্যাচ।

আম্পায়ার শরফুদৌল্লাহ সৈকত আউট না দিলে রিভিউ নেয় বাংলাদেশ। রিপ্লেতে দেখা যায়, বল স্পর্শ করেছিল ফাওয়াদের গ্লাভসে। খানিক পরই আসতে পারত ভীষণ গুরুত্বপূর্ণ আরেক উইকেট। তাইজুলের বলে স্লিপে ক্যাচ দিয়েছিলেন আবিদ। ১১৩ রানে থাকা এই ব্যাটারের ক্যাচ হাতে রাখতে পারেননি নাজমুল হোসেন শান্ত।

সেশনের শেষ ডেলিভারিতে চার মেরে পাকিস্তানের সংগ্রহ দুইশ পার করান আবিদ। হাতে ৬ উইকেট নিয়ে বাংলাদেশের প্রথম ইনিংসের সংগ্রহের চেয়ে তারা এখনও পিছিয়ে আছে ১২৭ রানে।

আগের দুই দিনে কেবল প্রথম সেশনেই পড়েছে উইকেট। প্রথম দিনে চারটি, দ্বিতীয় দিনে ছয়টি। দ্বিতীয় ও তৃতীয় সেশনে বোলারদের উৎসবের মুহূর্তের দেখা মেলেনি। এদিনও কি তেমন কিছু ঘটবে? বাংলাদেশ দল নিশ্চয়ই সেটা চাইবে না। বরং মধ্যাহ্ন বিরতির আগে ৪ উইকেট তুলে নেওয়ার ধারা বজায় রেখে পাকিস্তানকে আরও চেপে ধরার প্রত্যাশা থাকবে তাদের।

Comments

The Daily Star  | English

Bangladesh to loosen interest rate on IMF prescription

However, the BB governor did not announce when Bangladesh Bank would introduce the flexible interest rate and exchange rate.

3h ago