ফ্লাট উইকেটের প্রস্তুতি নিয়েই তাইজুলের এমন সাফল্য

Taijul Islam
আবিদ আলিকে আউট করে তাইজুলের উল্লাস। ছবি: ফিরোজ আহমেদ

মিরপুরের মন্থর ও টার্নিং উইকেটে হাত ঘোরালেই মেলে উইকেট। কিন্তু ফ্লাট উইকেটে গেলে পড়তে হয় ভিন্ন পরিস্থিতিতে। গত কয়েক মাসে সেটা হাড়ে হাড়ে টের পেয়েছে বাংলাদেশ। পাকিস্তানের বিপক্ষে নামার আগে তাই বেশ কয়েকদিন ধরেই  ফ্লাট উইকেটে বল করার প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন স্পিনাররা। বাংলাদেশের স্পিন বোলিং কোচ সোহেল ইসলাম জানালেন এই তরিকাতেই এসেছে সাফল্য।

রোববার চট্টগ্রাম টেস্টের তৃতীয় দিনে তাইজুলের কাঁধে চেপে সাফল্যের ভেলায় চড়ে বাংলাদেশ। দারুণ বল করে এই স্পিনার তুলেন ৭ উইকেট। পাকিস্তান গুটিয়ে যায় ২৮৬ রানে। তার কারণেই দল পায় ৪৪ রানের লিড।

ঠিক আগের দুদিনই পরিস্থিতি ছিল ভিন্ন। স্পিনারদের জন্য উইকেটে তেমন কোন সহায়তা দেখা যাচ্ছিল না। বাংলাদেশকে ৩৩০ রানে আটকে দিতে ৯ উইকেট নিয়েছিলেন পাকিস্তানের ৩ পেসার।

দ্বিতীয় দিন লাঞ্চের পর নেমে বিনা উইকেটে ১৪৫ রান তুলে ফেলেছিল পাকিস্তান। মনে হচ্ছিল বড় রানেই ছুটতে যাচ্ছে তারা। কিন্তু সব হিসেব নিকেশ বদলে দেন তাইজুল। তার ফ্লাইট, টার্ন আর বুদ্ধিদীপ্ত বোলিংয়ে ধসে পড়ে পাকিস্তানের ব্যাটিং।

দিনের খেলা শেষে গণমাধ্যমে কথা বলতে এসে স্পিন কোচ সোহেল জানালেন, উইকেটে স্পিনারের জন্য বাড়তি কোন রসদ ছিল না। তবে এসব উইকেটে কি করতে হবে সেই প্রস্তুতিই এক্ষেত্রে কাজে দিয়েছে, 'আজকের বোলিং নিয়ে যেটা বলব- আমরা শ্রীলঙ্কার সঙ্গে যখন খেলছিলাম তখন থেকে পরিকল্পনা ছিল। আমরা যখন মিরপুরে খেলি তখন স্পিনে অনেক সাহায্য  থাকে আর মানসিকতা থাকে  যে আক্রমণাত্মক থাকব। তারপর বাইরে খেলতে গেলে দেখা যায় স্পিনারদের সাহায্য থাকে না।'

'গত বেশ কয়েক মাস ধরে আমরা স্পিনারদের নিয়ে চেষ্টা করছিলাম যে এই ধরনের ফ্ল্যাট ট্রাকের মধ্যে কীভাবে একুরেসি ধরে রেখে ওভারের পর ওভার করা যায়। এই যে মানসিকতা তৈরি হয়েছে একুরেসি ধরে রেখে ওভারের পর ওভার করা এটা আমার মনে হয় বড় বদল। সব জায়গায় আমরা মিরপুরের মতো উইকেট পাব না।'

 

Comments

The Daily Star  | English

‘Allah, heal my father’: A child’s last prayer and a family’s plea for justice

Tanvir, 8, died at DMCH after losing all four limbs; parents allege a misdiagnosis in Bhola

1h ago