বাবরের মতে ‘টিপিকাল বাংলাদেশি উইকেট, মুমিনুল বলছেন ‘রান হবে’

Chattagram wicket
প্রথম টেস্টের উইকেট কেমন হবে, তলিয়ে দেখছে দুই দল। ছবি: ফিরোজ আহমেদ

এশিয়ার বাইরের দেশগুলোর বিপক্ষে ঘরের মাঠে মন্থর ও টার্নিং উইকেট বানিয়ে খেলে সাফল্য পেতে চায় বাংলাদেশ। তবে এই ফরমুলা বুমেরাং হতে পারে এশিয়ার দেশগুলোর সঙ্গে। পাকিস্তানের বিপক্ষে প্রথম টেস্টের উইকেট কেমন হবে তা নিয়ে তাই কৌতূহল আছে। ম্যাচের আগের দিন চট্টগ্রামের বাইশগজ নিয়ে আলাদা মত দিয়েছেন দুই দলের দুই অধিনায়ক।

বুধবার উইকেটে দেখা গিয়েছিল বেশ খানিকটা ঘাস। মাঠের বাকিটা থেকে উইকেট আলাদা করা ছিল মুশকিল। তবে বৃহস্পতিবার সেই ঘাসের বেশ কিছুটা অনুপস্থিত। তবে এখনো উইকেটে আছে ঘাসের আচ্ছাদন আছে। 

পাকিস্তান অধিনায়ক বাবর আজম দুই দিনই উইকেট দেখেছেন। তার পর্যবেক্ষণে এখনো পর্যন্ত উইকেট বাংলাদেশের চিরায়ত ঘরানার। যাতে আসলে স্পিনাররাই সাহায্য পাবেন বেশি, 'পিচ দেখে মনে হচ্ছে টিপিকাল বাংলাদেশি উইকেট। কালতে যা দেখলাম, তাতে ঘাস ছিল কিছুটা সেখানে। আজকে আবার গিয়ে চূড়ান্তভাবে দেখব কী অবস্থা। এখানে তো স্পিনারদের সহায়তা মেলে, পেসারদেরও সহায়তা মেলে শুরুতে। আমার মতে তাই, যতটা কন্ডিশন কাজে লাগাতে পারব, আমাদের জন্য ততটা ভালো।'

বাংলাদেশ অধিনায়ক মুমিনুলের মতে উইকেট হবে রান প্রসবা, সাগরিকার বাইশগজ কথা বলবে ব্যাটসম্যানের হয়ে, 'আমার কাছে মনে হয় খুব ভাল ব্যাটিং উইকেট হবে, ব্যাটিংয়ের জন্য সহায়ক হবে। চট্টগ্রামের উইকেট শেষ কয়েকটা সিরিজ ত দেখেছেন, আমার চেয়ে আপনারা ভাল জানেন, ভালো বুঝেন। চট্টগ্রামের উইকেট ব্যাটিংয়ের জন্য ভাল হয়'

গত জানুয়ারিতে এই মাঠে চতুর্থ ইনিংসে বাংলাদেশের দেওয়া ৩৯৫ রান তাড়া করে জিতে গিয়েছিল ওয়েস্ট ইন্ডিজ।  অভিষেকে চতুর্থ ইনিংসে ডাবল সেঞ্চুরির রেকর্ড করে বসেছিলেন কাইল মেয়ার্স। সেই টেস্টে ম্যাচের প্রথম দিকে উইকেট স্পিনারদের হয়ে কথা বলবে শেষ দিনে আবার ব্যাটসম্যানরা সহায়তা পেয়েছিলেন।

এর আগে আফগানিস্তানের বিপক্ষে এখানে টার্নিং উইকেট বানিয়ে ফল নিজেদের দিকে আনতে পারেনি বাংলাদেশ। ২০১৮ সালে  শ্রীলঙ্কা-বাংলাদেশের টেস্টে এখানারকার উইকেট নিষ্প্রাণ আচরণের জন্য ডেমিরেট পেয়েছিল। পাকিস্তানের বিপক্ষে ম্যাচ বাঁচানোর চিন্তা থেকে এবারও ব্যাটিং উইকেট থাকা অস্বাভাবিক হবে না।

Comments

The Daily Star  | English

At least 10 incidents in 7 years: Why clashes between CU students and locals keep happening

Housing shortage, resentment, and administrative inaction blamed for repeated clashes

1h ago