সহজেই আনুষ্ঠানিকতা সারল পাকিস্তান

Abid Ali
বাংলাদেশের বিপক্ষে চট্টগ্রাম টেস্টে প্রথম ইনিংসে সেঞ্চুরির পর দ্বিতীয় ইনিংসে ৯১ করেন পাকিস্তানের ওপেনার আবিদ আলি। ফাইল ছবি: ফিরোজ আহমেদ

পঞ্চম দিনে উত্তাপ, উত্তেজনা বা দোলাচলের কিছুই ছিল না। পাকিস্তানের জন্য বাকি ছিল কেবল আনুষ্ঠানিকতার। সেই আনুষ্ঠানিকতার কাজ খুব বেশি কঠিনও করতে পারেনি বাংলাদেশ। দুই ওপেনারকে অবশ্য আউট করা গেছে। তাতে কেবল কমেছে হারের ব্যবধান।

মঙ্গলবার চট্টগ্রাম জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে সিরিজের প্রথম টেস্টে বাংলাদেশকে ৮ উইকেটে হারিয়েছে পাকিস্তান। বাকি ৯৩ রান তুলতে তারা খেলেছে ২৫.৩ ওভার। লাঞ্চের আগেই শেষ হয়ে গেছে ম্যাচ।

শেষ দিন সকালে তেমন কোন ঘটনার আভাস ছিল না।  তবে সকালের সবচেয়ে বড় ঘটনা প্রথম ইনিংসে সেঞ্চুরি করা আবিদ আলির দ্বিতীয় ইনিংসে সেঞ্চুরির কাছে গিয়ে আউট হওয়া।

পাকিস্তানের এই ওপেনার আউট হন ৯১ রানে। আরেক ওপেনার আব্দুল্লাহ শফিক করেন ৭৩ রান। ২০২ তাড়ায় এই দুজনই খেলা করে দেন ম্যাড়ম্যাড়ে।

বিনা উইকেটে ১০৯ রান নিয়ে দিন শুরুর পর আবিদ- আবদুল্লাহ শফিক মিলে খেলতে থাকেন সাবলীল ক্রিকেট। প্রথম দুই ওভার দেখেশুনে খেলার পর খোলস ছাড়েন তারা। ঝুঁকিহীন পথে আনতে থাকেন বাউন্ডারি, স্কোর বাড়তে থাকে সহজেই।

দেড়শো পেরিয়ে যাওয়ার পর এই ওপেনিং জুটি অবশ্য ভাঙতে পারে বাংলাদেশ। পুরো ম্যাচে বিবর্ণ থাকা মেহেদী হাসান মিরাজের অফ স্পিনে এলবিডব্লিউ হয়ে বিদায় নেন শফিক। প্রথম ইনিংসে ফিফটি করে এই অভিষিক্ত ওপেনার দ্বিতীয় ইনিংসেও করেন ফিফটি। আউট হন ১২৯ বলে ৭৩ করে।

অভিজ্ঞ আজহার আলিকে নিয়ে বাকি পথে এগুনো আবিদের ব্যক্তিগত মাইলফলকের হাতছানি ছিল। দুই ইনিংসেই সেঞ্চুরি করার খুব কাছে ছিলেন তিনি। তবে তাইজুল ইসলাম তা হতে দেননি। তার বলে ব্যাকফুটে খেলতে গিয়ে এলবিডব্লিউতে কাটা পড়েন আবিদ। ১৪৮ বলের ইনিংসে ১২ চারে ৯১ আসে তার ব্যাটে।

বাকি কাজ দ্রুতই শেষ করেন আজহার আলি ও বাবর আজম।

খেলার ফল অনেকটা নির্ধারিত হয়ে গিয়েছিল চতুর্থ দিনেই। হাতে ৬ উইকেট নিয়ে ৮৩ রানের লিডটা খুব বেশি যে বড় করা হয়নি বাংলাদেশের। লিটন দাস ও ইয়াসির আলির ব্যাটে ২০২ রানের যে লক্ষ্যে দেওয়া গিয়েছিল পাকিস্তানি ওপেনাররা খেলতে নেমে সেটা করে দেন সহজ।

উইকেটের আচরণ খুব একটা বিপদজনক না হওয়ায় বাংলাদেশের বোলাররা মোটেও সুবিধা করতে পারেননি। প্রথম ইনিংসে দারুণ বল করা তাইজুল ইসলামও তার তূণ থেকে বের করতে পারেননি বিশেষ কোন ডেলিভারি। মুমিনুল হকের দলকেও তাই হারতে হয় বড় ব্যবধানে।

অথচ প্রথম ইনিংসে ৪৪ রানের লিড নিয়ে একটা সময় জেতার আশাও জাগিয়ে ফেলেছিল বাংলাদেশ। টেস্টের টেম্পারমেন্ট, স্কিল আর অভিজ্ঞতার ঘাটতি স্বাগতিকদের লাগাম ধরে রাখতে দেয়নি।

সংক্ষিপ্ত স্কোর:

বাংলাদেশ প্রথম ইনিংস: ৩৩০

পাকিস্তান প্রথম ইনিংস:  ২৮৬

বাংলাদেশ দ্বিতীয় ইনিংস:  ৫৬.২ ওভারে ১৫৭  (সাদমান ১, সাইফ ১৮, শান্ত ০, মুমিনুল ০, মুশফিক ১৬, ইয়াসির ৩৬* (আহত অবসর), লিটন ৫৯, মিরাজ ১১, সোহান ১৫, জায়েদ ০, ইবাদত ০ ; শাহীন ৫/৩২, হাসান ২/৫২, ফাহিম ০/১৬, নোমান ০/২৩, সাজিদ ০/৩৩)

পাকিস্তান দ্বিতীয় ইনিংস:   ওভারে  /২  (আবিদ ৯১, শফিক ৭৩, আজহার ২৪*, বাবর ১৩* ; তাইজুল ০/৮৯, ইবাদত ০/৩০, মিরাজ ১/৫৯, জায়েদ ০/২৩)

ফল: পাকিস্তান ৮ উইকেটে জয়ী।

ম্যান অব দ্য ম্যাচ: আবিদ আলি।

Comments

The Daily Star  | English
chief adviser yunus on july charter 2025

Yunus rules out referendum over July Charter

Chief adviser insists party agreement key to polls; vows justice, reform ahead of election

6h ago