হতাশার সেশনে রিভিউ না নেওয়ার আক্ষেপ

রিভিউ নিবে কিনা এই দোলাচলে ভুগল বাংলাদেশ। ছবি: ফিরোজ আহমেদ

প্রথম সেশনে মাত্র ৭৭ রান যোগ করে বাকি ৬ উইকেট হারিয়ে গুটিয়ে যায় বাংলাদেশ। বড় রান করতে না পারার আক্ষেপের সঙ্গে যোগ হয় বোলিংয়ে বিবর্ণ শুরু। সেইসঙ্গে রিভিউ না নেওয়ার ভুলে একটি নিশ্চিত উইকেট না পাওয়ায় অস্বস্তি নিয়ে একটি সেশন পার করেছে বাংলাদেশ।

শনিবার চট্টগ্রাম টেস্টের দ্বিতীয় দিনের দ্বিতীয় সেশনও পাকিস্তানের। বাংলাদেশের ৩৩০ রানের জবাবে ব্যাট করতে নেমে তারা বিনা উইকেটে ৭৯ রান তুলে চা-বিরতিতে গিয়েছে ।  আবিদ আলি ব্যাট করছেন  ৫২ রানে , সঙ্গী অভিষিক্ত আব্দুল্লাহ শফিকের রান  ২৭। 

তবে দলের ৩১ রানে এই দুজনের জুটি ভাঙ্গার বড় সুযোগ এসেছিল বাংলাদেশের সামনে।  তাইজুল ইসলামের করা ১৩তম ওভারের পঞ্চম বলটা ভেতরে ঢুকছিল। একটু সরে কাট করতে গিয়ে পরাস্ত হন শফিক।  বাংলাদেশের এলবিডব্লিউ আবেদনে সাড়া দেননি আম্পায়ার। বল আগে ব্যাটে নাকি আগে প্যাডে লেগেছিল এই দোলাচলে আর রিভিউ নেননি মুমিনুল হক।

খানিক পর রিপ্লেতে দেখা যায় বল আগে লেগেছিল প্যাডেই। ছিল ইন লাইন, উইকেটও হিট করছিল। অর্থাৎ রিভিউ নিলেই উইকেট পেত বাংলাদেশ।

তখন ৯ রানে থাকা শফিক ২৭ রান নিয়ে ক্রিজে আছে। তিনি যতক্ষণ ক্রিজে থাকবেন তত অস্বস্তি বাড়বে মুমিনুলদের।

লাঞ্চের পর নেমে কোন রকম সমস্যা ছাড়াই ইনিংস এগুতে থাকে পাকিস্তান। দুই পেসার আবু জায়েদ রাহি ও ইবাদত হোসেন ছিল একদম সাদামাটা। তাদের বলে ছিল না কোন বিষ। বাউন্সার মারা, মুভমেন্ট আদায় কোন কিছুই করতে পারেননি।

ওভারে একাধিক ওভারপিচড বল দিয়ে ব্যাটারদের থিতু হতে সাহায্য করেন এই দুজন। তাইজুল এসে উইকেট নেওয়ার পরিস্থিতি তৈরি করেছিলেন।

ওই একবারই। এরপর কোন বোলারই আর চাপ রাখতে পারেননি। মেহেদী হাসান মিরাজও তার সামর্থ্যের কাছাকাছি ছিলেন না। কোন বোলারই হুমকি হতে না পারায় পাকিস্তানের রান বাড়ানো কোন সমস্যাই হচ্ছে না

 

সংক্ষিপ্ত স্কোর

 

(দ্বিতীয় দিন চা-বিরতি পর্যন্ত)

পাকিস্তান প্রথম ইনিংস:  ২৯ ওভারে ৭৯/০ (আবিদ ৫২* , শফিক ২৭* ;জায়েদ ০/২০ , ইবাদত ০/২১ , তাইজুল ০/১৬ , মিরাজ ০/২২ )

বাংলাদেশ প্রথম ইনিংস: ৩৩০

Comments

The Daily Star  | English
Sector-wise subsidy and incentive allocation

Subsidy load swells despite weak revenue

The government’s target to provide subsidies and incentives amounting to Tk 125,741 crore in fiscal year 2025-26 is creating high pressure on fund mobilisation amid a challenging macroeconomic situation.

13h ago