বল লাগায় মাঠ ছাড়লেন দারুণ খেলতে থাকা ইয়াসির

ডাক করলেও শাহিন শাহ আফ্রিদির শর্ট বল গিয়ে লাগে তার হেলমেটের পেছনের অংশে।
ছবি: ফিরোজ আহমেদ

বল যতটা উপরে উঠবে ভেবেছিলেন ইয়াসির আলি চৌধুরী, ততটা ওঠেনি। চোখ সরিয়ে নিয়ে ডাক করেছিলেন। কিন্তু পাকিস্তানের পেসার শাহিন শাহ আফ্রিদির শর্ট বল গিয়ে লাগে তার হেলমেটের পেছনের অংশে। কনকাশন প্রোটোকল অনুসরণের পর আবার ক্রিজে ফেরত যান তিনি। তবে এক ওভার পরই অসুস্থতা বোধ করায় মাঠ ছাড়তে হলো দারুণ খেলতে থাকা বাংলাদেশের এই ডানহাতি ব্যাটারকে। চট্টগ্রাম টেস্টে তার আর মাঠে নামা হবে না।

ম্যাচের চতুর্থ দিনের প্রথম ওভারেই অভিজ্ঞ মুশফিকুর রহিমের উইকেট হারায় বাংলাদেশ। এরপর অভিষিক্ত ইয়াসিরের সঙ্গে জমে উঠেছিল লিটন দাসের জুটি। কিন্তু কনকাশনের কারণে ইয়াসিরের মাঠ থেকে বেরিয়ে যাওয়াটা বড় ধাক্কা হয়ে এসেছে স্বাগতিকদের জন্য। বাংলাদেশের টিম ডিরেক্টর খালেদ মাহমুদ সুজন জানিয়েছেন, এই টেস্ট থেকে ছিটকে গেছেন ইয়াসির, 'সে আর ব্যাট করতে পারবে না। স্ক্যান করতে তাকে হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।'

সোমবার চট্টগ্রাম জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে নিজেদের দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট করছে বাংলাদেশ। এই প্রতিবেদন লেখার সময়, তাদের সংগ্রহ ৩৪ ওভারে ৫ উইকেটে ৯৮ রান। লিড বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৪২ রান। প্রথম ইনিংসের সেঞ্চুরিয়ান লিটন ২৩ ও মেহেদী হাসান মিরাজ ৩ রানে খেলছেন।

ইয়াসির মাঠ ছাড়েন ৩৬ রান নিয়ে। তার ৭২ বলের ইনিংসে চার ৬টি। লিটনের সঙ্গে ৬৯ বলে ৪৭ রানের জুটিতে তিনিই ছিলেন সপ্রতিভ। দারুণ কিছু শটে নিজের ব্যাটিং সামর্থ্যের ছাপ রাখেন দীর্ঘ অপেক্ষার পর আন্তর্জাতিক মঞ্চে পা রাখা এই ক্রিকেটার। জুটিতে ইয়াসিরের অবদান ৩৮ বলে ২৮ রান। কিন্তু দুর্ভাগ্যজনকভাবে এই টেস্ট শেষ হয়ে গেল তার।

আগের দিনের ৪ উইকেটে ৩৯ রান নিয়ে খেলতে নামে বাংলাদেশ। প্রথম বলেই পেসার হাসান আলিকে ফ্লিক করে চার মারেন মুশফিক। কিন্তু এই দারুণ শুরু শেষ হয় অঙ্কুরেই। ওই ওভারের তৃতীয় বলে বোল্ড হয়ে যান মুশফিক। শট না খেলে বল ছেড়ে দেওয়ার খেসারত দিতে হয় তাকে। ৩৩ বলে ২ চারে ১৬ রান আসে তার ব্যাট থেকে।

দলীয় ৪৩ রানে ৫ উইকেট খুইয়ে মহাবিপাকে পড়া বাংলাদেশের হাল এরপর ধরেন ইয়াসির ও লিটন। লিড বাড়িয়ে পাকিস্তানকে দ্বিতীয় ইনিংসে চ্যালেঞ্জিং লক্ষ্য ছুঁড়ে দেওয়ার প্রত্যাশায় এই জুটির দিকেই তাকিয়ে ছিল স্বাগতিকরা। প্রথম ঘণ্টা শেষে পানি পানের বিরতির সময় ইয়াসিরের মাঠ ছাড়াটা দলের জন্য অস্বস্তির কারণ হলেও উইকেটে আশার আলো হয়ে টিকে আছেন লিটন।

ইয়াসির ও লিটনকে বিচ্ছিন্ন করার বেশ কিছু সুযোগ তৈরি অবশ্য করেছে পাকিস্তান। কিন্তু সফল হতে পারেনি। ব্যক্তিগত ৮ রানে বড় বাঁচা বেঁচে যান লিটন। স্পিনার নুমান আলিকে উড়িয়ে মারতে চেয়েছিলেন ক্রিজ ছেড়ে বেরিয়ে। ব্যাটে-বলে সংযোগ হয়নি। উইকেটরক্ষক মোহাম্মদ রিজওয়ান গ্লাভসে বল জমাতে না পারায় নষ্ট হয় সুযোগ।

Comments

The Daily Star  | English
Strong dollar spillover: How Bangladesh manages it

Strong dollar spillover: How Bangladesh manages it

The crawling peg system for the taka is a delayed response to reserve erosion

1h ago