নিউজিল্যান্ডকে শক্ত জবাব দিচ্ছে বাংলাদেশ

রোববার মাউন্ট মাঙ্গানুই টেস্টে দুই সেশনেই স্পষ্ট দাপট বাংলাদেশের। নিউজিল্যান্ডের ৩২৮ রানের জবাবে দ্বিতীয় দিনের চা-বিরতি পর্যন্ত  ৩১ ওভারে ১ উইকেটে ৭০ রান  তুলেছে মুমিনুল হকের দল।
Najmul Hossain Shanto
ক্রিজে আছেন নাজমুল হোসেন শান্ত। ফাইল ছবি: এসএলসি

দিনের শুরুতে বোলাররা রাঙিয়েছিলেন বাংলাদেশের সকাল। নিউজিল্যান্ডের বাকি ইনিংস গুটিয়ে দিয়েছিলেন দ্রুত। পরে ব্যাট করতে নেমে ব্যাটসম্যানরা দেখাচ্ছেন দৃঢ়তা। তাতে বাংলাদেশ আছে ভালো অবস্থানে।

রোববার মাউন্ট মাঙ্গানুই টেস্টে দুই সেশনেই স্পষ্ট দাপট বাংলাদেশের। নিউজিল্যান্ডের ৩২৮ রানের জবাবে দ্বিতীয় দিনের চা-বিরতি পর্যন্ত  ৩১ ওভারে ১ উইকেটে ৭০ রান  তুলেছে মুমিনুল হকের দল। ৩২ রান নিয়ে ক্রিজে আছেন মাহমুদুল হাসান জয়, ১২ রান নিয়ে তার সঙ্গী নাজমুল হোসেন শান্ত।

সকালের সেশনে কিউরদের আর কেবল ৭০ রান নিতে দিয়ে শেষ ৫ উইকেট দ্রুতই তুলে নেয় বাংলাদেশের। অফ স্পিনার মেহেদী হাসান মিরাজই ওই ৫ উইকেটের তিনটিই নেন। টেল এন্ডারদের একদম দাঁড়াতে দেননি তিনি। উইকেট নেন শরিফুল ইসলাম। অধিনায়ক মুমিনুল মুড়ে দেন স্বাগতিক ইনিংস।

প্রথম সেশনেই ব্যাট করতে নেমেছিল বাংলাদেশ। ৩ ওভার খেলে তুলেছিল ৫ রান। লাঞ্চ থেকে ফিরে দুই ওপেনার সাদমান ইসলাম ও মাহমুদুল হাসান জয় খেলতে থাকেন সাবলীলভাবে।

চোয়ালবদ্ধ দৃঢ়তায় সামলে দেন শুরুর ঝাপ্টা। কিউই পেসারদের ঝাঁজ নরম হতে থাকে তাদের ব্যাটে। ১৮ ওভার কাটিয়ে দেওয়ার পর আসে প্রথম বিপর্যয়। দারুণ খেলে থিতু হওয়া সাদমান নেইল ওয়েগনারের বলে ভুল করে বসেন। ২২ রান করে বোলারের হাতেই দেন সহজ ক্যাচ। ৪৩ রানে প্রথম উইকেট হারায় সফরকারীরা।

ওয়েগনারের বলে ফিরতে পারতেন জয়ও। ২০ রানে থাকা ডানহাতি তরুণ ওপেনারের সোজা একটি বলে পরাস্ত হয়ে প্যাডে লাগিয়েছিলেন। জোরালো আবেদন সাড়া দেননি আম্পায়ার। ব্যাটে লেগেছে ভেবে রিভিউ নেয়নি নিউজিল্যান্ড। রিপ্লেতে দেখা যায় রিভিউ নিলে জয়কে ফেরাতে পারত তারা।

সেই জয় পরে নিজেকে সামলে নিয়ে ইনিংস এগিয়ে নিচ্ছেন। যোগ করেছেন আরও ১২ রান। ক্রিজে এসে শুরুতে কিছুটা সময় নিয়ে থিতু হওয়ার চেষ্টায় আছেন শান্ত। দ্বিতীয় উইকেট জুটিতে এসে গেছে ২৭ রান। শেষ সেশনে নাটকীয় বিপর্যয় না হলে দিনটি হতে যাচ্ছে বাংলাদেশের।

Comments

The Daily Star  | English

Create right conditions for Rohingya repatriation: G7

Foreign ministers from the Group of Seven (G7) countries have stressed the need to create conditions for the voluntary, safe, dignified, and sustainable return of all Rohingya refugees and displaced persons to Myanmar

7h ago