নিউজিল্যান্ডের এই স্কোয়াডের তুলনায় চারগুণ বেশি অভিজ্ঞ বাংলাদেশ

নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে তৃতীয় ম্যাচেই প্রথম বাংলাদেশি হিসেবে শততম আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টি ম্যাচ খেলতে নামবেন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। অধিনায়কের মতই পুরো স্কোয়াডের বিচারেও বেশ অভিজ্ঞ বাংলাদেশ। বিশ্বকাপ স্কোয়াডের কোন খেলোয়াড় ছাড়া বাংলাদেশে আসা কিউইদের তুলনায় চারগুণেরও বেশি  ম্যাচ খেলার অভিজ্ঞতা বাংলাদেশের ক্রিকেটারদের।

বাংলাদেশের বিপক্ষে প্রথম দুই ম্যাচেই তিনজন ক্রিকেটারকে অভিষেক করাতে হয়েছে নিউজিল্যান্ডকে। যাদের অভিষেক হয়নি তাদেরও বেশিরভাগের ম্যাচ খেলার অভিজ্ঞতা খুব কম।

১৬ জনের নিউজিল্যান্ড স্কোয়াডের সর্বমোট আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টি খেলার অভিজ্ঞতা ১৪৩ ম্যাচের। সে জায়গায় বাংলাদেশের তিন সিনিয়র তারকা মাহমুদউল্লাহ, সাকিব আল হাসান আর মুশফিকুর রহিম মিলেই ম্যাচ খেলেছেন ২৭৩টি। ১৬ জনের (অতিরিক্ত তিনজন বাইরে রেখে) বাংলাদেশ স্কোয়াড মোট ম্যাচ খেলেছে ৫৭৮টি। অর্থাৎ এই সফরে আসা  নিউজিল্যান্ডের দলের তুলনায় চারগুণেরও বেশি ম্যাচ খেলার অভিজ্ঞতা বাংলাদেশের ক্রিকেটাররদের।

অভিজ্ঞতা আর টি-টোয়েন্টি ম্যাচের সব মিলিয়ে অভ্যস্ততাতেও বিস্তর ফারাক দুই অধিনায়কেরও। শততমের ম্যাচের সামনে যেমন দাঁড়িয়ে বাংলাদেশ অধিনায়ক, শুক্রবার দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টি পর্যন্ত কিউই কাপ্তান ল্যাথামের ম্যাচ সংখ্যা কেবলই ১৫।

শুনলে অবাক লাগতে পারে, বাংলাদেশের বিপক্ষে প্রথম টি-টোয়েন্টিতে নামার আগে ল্যাথাম সর্বশেষ আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টি খেলেছেন চার বছর আগে! এমনকি তিনি ঘরোয়া পর্যায়েও টি-টোয়েন্টি খেলেন না। গত আড়াই বছর ধরে তার কোন রকম টি-টোয়েন্টি খেলারও অভিজ্ঞতা নেই!

নিউজিল্যান্ডর এই দলে সবচেয়ে অভিজ্ঞ কলিন ডি গ্র্যান্ডহোম। তার ম্যাচ সংখ্যা ৩৮টি। বাংলাদেশ স্কোয়াডে তার চেয়ে বেশি ম্যাচ খেলার অভিজ্ঞতা আছে পাঁচজনের। মাঝারি অভিজ্ঞতা আর ১৪০ এর বেশি স্ট্রাইকরেট থাকলেও গ্র্যান্ডহোমের জায়গা হয়নি নিউজিল্যান্ডের বিশ্বকাপ স্কোয়াডে। এতেই প্রমাণিত হয় তাদের মূল স্কোয়াডের সঙ্গে এই দলের পার্থক্য।

বাংলাদেশের বিপক্ষে দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টিতে অভিষেক হয় পেসার বেন সিয়ার্সের। তরুণ এই পেসার সিরিজের আগে জানিয়েছিলেন নিউজিল্যান্ডের ১৫তম পেসার তিনি। বিশেষ পরিস্থিতি আর ভাগ্যের জোরে জায়গা পেয়ে গেছেন জাতীয় দলে।

অনভিজ্ঞ নিউজিল্যান্ড বাংলাদেশে এসে পেয়েছে ভীষণ কঠিন উইকেট। প্রথম ম্যাচ কিছু বুঝে উঠার আগেই ৬০ রানে গুটিয়ে বড় ব্যবধানে হারে তারা। দ্বিতীয় ম্যাচে উইকেট ছিল তুলনায় অনেক ভালো। তাতে অনভিজ্ঞতা ছাপিয়ে লড়াই জমিয়ে তুলে নিউজিল্যান্ড। বাংলাদেশের ১৪১ রান টপকাতে গিয়ে শেষ বল পর্যন্ত খেলায় ছিল তারা। ম্যাচ হেরেছে ৪ রানে।

লম্বা সময় খেলার অভিজ্ঞতা না থাকলেও বাংলাদেশের কঠিন কন্ডিশনে ল্যাথাম খেলে ফেলেছেন ৪৯ বলে ৬৫ রানের ইনিংস। নিজেদের চেনা কন্ডিশনে বাংলাদেশী ব্যাটসম্যানরাও যা এখনো করতে পারছেন না।

অধিনায়ক রান পেলেও সব মিলিয়ে বাংলাদেশের সঙ্গে কুলিয়ে উঠতে পারেনি তারা।  অভিজ্ঞতার এই ফারাকের কারণে বাংলাদেশের বিপক্ষে এই সিরিজের একটা-দুইটা ম্যাচ জয় পাওয়া হবে কিউইদের জন্য বড় ব্যাপার।

৩ সেপ্টেম্বর দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টি ম্যাচ পর্যন্ত দুই দলের ক্রিকেটারদের ম্যাচ সংখ্যাঃ- 

বাংলাদেশ স্কোয়াড: (সম্মিলিত ম্যাচ ৫৭৮)

মাহমুদউল্লাহ - ৯৯, সাকিব আল হাসান- ৮৬, মুশফিকুর রহিম- ৮৮, সৌম্য সরকার- ৬১, মোস্তাফিজুর রহমান- ৫০, লিটন দাস - ৩৫, আফিফ হোসেন- ২৫, নাঈম শেখ- ১৯, আমিনুল বিপ্লব- ৭, শেখ মেহেদী- ১৬, মোহাম্মদ সাইফুদ্দিন- ২৩, নাসুম আহমেদ- ১১, নুরুল হাসান সোহান- ১৯, শরিফুল ইসলাম- ১০, শামীম পাটোয়ারি- ৬, তাসকিন আহমেদ- ২৩। 

স্কোয়াডের সঙ্গে থাকলেও মোসাদ্দেক হোসেন, রুবেল হোসেন ও তাইজুল ইসলামকে বাইরে রেখে হিসাব করা হয়েছে।

নিউজিল্যান্ড স্কোয়াড: (সম্মিলিত ম্যাচ)

টম ল্যাথাম- ১৫, ফিন অ্যালেন- ৩, হামিশ বেনেট- ১০, টম ব্লান্ডেল- ৫, ডগ ব্রেসওয়েল- ২০,  কলিন গ্র্যান্ডহোম- ৩৮, জ্যাকব ডাফি- ২, ম্যাট হেনরি- ৬, স্কট কুগলেইন - ১৬, কোল ম্যাকনসি- ২, হেনরি নিকোলস - ৭, এজাজ প্যাটেল - ৪, রাচিন রবীন্দ্র- ২, বেন সিয়ার্স- ১, ব্লেয়ার টিকনার- ৭, উইল  ইয়ং- ৫।

 

 

Comments

The Daily Star  | English
Graphical representation of navigating the job market without connections

No good news in job creation

Skills mismatch persists with a gap between education and job needs; no major reforms seen in the past year, says an economist

56m ago