ওই সময় মাঠে থাকলে হার্ট অ্যাটাক হয়ে যেত: বিসিবি সভাপতি

Nazmul Hasan Papon
আইসিসি সভাপতি গ্রেগ বার্কলের সঙ্গে বিসিবি প্রধান নাজমুল হাসান পাপন। ছবি: ফিরোজ আহমেদ/স্টার

টস জিতে  ব্যাট করতে গিয়ে ৭ ওভারের মধ্যে ২৪ রানে ৫ উইকেট হারিয়ে ফেলেছিল বাংলাদেশ দল। কিন্তু দলের ওই বিপর্যস্ত সময়ে মাঠে ছিলেন না বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন। মজা করে বলেছেন, ওই সময়টায় মাঠে থাকলে হার্ট অ্যাটাক করে ফেলতেন তিনি। পরে আলো ঝলমলে দিনের পর দুই সেঞ্চুরিয়ান লিটন দাস ও মুশফিকুর রহিমকে প্রধানমন্ত্রীর অভিনন্দনের কথাও জানান তিনি। 

সোমবার মিরপুরে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে দ্বিতীয় টেস্টে ঘটনাবহুল এক দিন পার করে বাংলাদেশ। ২৪ রানে ৫ উইকেট হারানোর পরিস্থিতি থেকে অবিচ্ছিন্ন ২৫৩ রানের জুটিতে মাত করেন লিটন-মুশফিক।

দিনের খেলা শেষে সফররত আইসিসি সভাপতি গ্রেগ বার্কলেকে নিয়ে সংবাদ সম্মেলনে আসেন বোর্ড প্রধান। বার্কলের প্রশ্ন-উত্তর শেষে কথা বলেন বিসিবি প্রধান। সাংবাদিকদের আবদারে প্রথমে অবশ্য বলেন, 'আগে কার্ডিওলজিস্টের কাছে যাই (হাসি), কালকে (কথা বলব)'

পরে নিজে থেকেই দেন পুরো দিনের তার পরিস্থিতির খবর, 'ওই সময় (মাঠে) থাকলে হার্ট অ্যাটাক হয়ে যেত। আল্লাহর রহমত আমি ছিলাম না (মাঠে)।'

'আমি তখন প্রধানমন্ত্রীর ওখানে। উনি জিজ্ঞেস করলেন, "কি অবস্থা খেলার"। আমি বলেছি - "আপা সাহস নাই দেখার।" আমি যতক্ষণ মাঠে না যাব ততক্ষণ শুনছি না (খবর)। মাঠে এসে তো চমকে গেছি। যেভাবে মুশফিক ও লিটন খেলেছে তাদের বিশেষ বাহবা পাওয়া দরকার। প্রথম টেস্টেও আমাদের দ্রুত কিছু উইকেট পড়ে, না হলে আরও বেশি হতো। এবারও প্রথম দিকে কেউ দাঁড়াতে পারেনি। ২৪ রানে ৫ উইকেট পড়ার পর মুশফিক ও লিটন যেভাবে চাপ সামলেছে এটা অসাধারণ।'

আইসিসি প্রধানকে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাত করতে তার কার্যালয়ে যান নাজমুল। সেখান থেকে ফিরে হেলিকপ্টারে করে তারা যান সিলেট আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে। খেলার যখন ভাল অবস্থা তখন প্রধানমন্ত্রীর অভিনন্দন বার্তা পান তিনি। সেটিকে আইসিসি প্রধানের জন্য একটা ভিন্ন অভিজ্ঞতা হিসেবে উল্লেখ করেন তিনি,  'আমি নিশ্চিত গ্রেগ চমকে গেছে একটা দেশের প্রধানমন্ত্রী ক্রিকেট এতটা ভালোবাসে। এমনকি যখন আমরা হেলিকাপ্টারে ছিলাম। লিটন যেই মুহূর্তে সেঞ্চুরি করল, প্রধানমন্ত্রী আমাকে মেসেজ পাঠিয়েছেন লিটনকে অভিনন্দন। আমি তো দেখতে দেখতে ভয় পাচ্ছিলাম। কারণ আগেরবার লিটন অল্পের জন্য মিস করেছে। তাই দেখতে ভয় পাচ্ছিলাম। এরপর আপার দ্বিতীয় মেসেজ দেখলাম, মুশফিককে অভিনন্দন। এরপর অনেক মেসেজ পাঠিয়েছেন। তো দেখেন, এটা গ্রেগের জন্যও একটা অভিজ্ঞতা। আমরা ক্রিকেট ভালোবাসি ও আরও ভালো ক্রিকেট খেলতে চাই।'

Comments

The Daily Star  | English
National election

Political parties must support the election drive

The election in February 2026 is among the most important challenges that we are going to face.

6h ago