বাংলাদেশের ব্যর্থতায় নিরাপদ জায়গায় শ্রীলঙ্কা

শঙ্কা ছিল অ্যাঞ্জেলো ম্যাথিউজ ও দিনেশ চান্দিমালের জুটি নিয়ে। চট্টগ্রাম টেস্টেও এ জুটি ভুগিয়েছিল টাইগারদের। শেষ পর্যন্ত বাংলাদেশের ক্ষুরধারহীন বোলিংয়ে সে শঙ্কাই সত্যি হয়েছে। বড় লিড নিয়ে নিরাপদ জায়গায় পৌঁছে গেছে শ্রীলঙ্কা। যেখান থেকে হারা প্রায় অসম্ভব একটি ব্যাপার। এখন তাদের নজর টেস্ট সিরিজ জয়ে। 

বৃহস্পতিবার মিরপুর শেরে বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে দ্বিতীয় ও শেষ টেস্টের চতুর্থ দিনে এসে নিজেদের প্রথম ইনিংসে ৫০৬ রানে অলআউট হয়েছে শ্রীলঙ্কা। আগের দিনের ৫ উইকেটে ২৮২ রান নিয়ে খেলতে নামা দলটি এদিন শেষ পাঁচ উইকেট হারিয়ে যোগ করে ২২৪ রান। ফলে ১৪১ রানের লিড পেয়েছে তারা।

এদিন প্রথম দুটি সেশন কেবল হতাশাই উপহার দিয়েছেন টাইগাররা। ধারহীন বোলিংয়ের সুযোগে নিজেদের লিডটা বাড়িয়ে নিতে থাকে শ্রীলঙ্কা। যার নেতৃত্ব দেন অ্যাঞ্জেলো ম্যাথিউজ ও দিনেশ চান্দিমাল। দুইজনই তুলে নেন সেঞ্চুরি। তবে দিনের শেষ সেশনে সাকিব আল হাসান ও ইবাদত হোসেনের বোলিংয়ে কিছুটা স্বস্তি মেলে টাইগারদের।

চট্টগ্রাম টেস্টে মাত্র ১ রানের জন্য ডাবল সেঞ্চুরি মিস করেছেন অ্যাঞ্জেলো ম্যাথিউজ। ঢাকা টেস্টে সে আক্ষেপ ঘোচানোর ইঙ্গিত দিয়েছিলেন তিনি। দিনেশ চান্দিমালকে নিয়ে দারুণ এক জুটি গড়েছিলেন। তবে এ জুটি ভাঙতেই ভেঙে পরে তাদের ব্যাটিং লাইনআপ। ৪১ রানের ব্যবধানে হারায় শেষ পাঁচ উইকেট। তবে অপর প্রান্তে অপরাজিত থেকে যান ম্যাথিউজ।

পঞ্চম উইকেটে আগের দিন অবিচ্ছিন্ন ১৬ রানের জুটিটি এদিন টাইগারদের মাথাব্যথার কারণ হয়ে দাঁড়ায়। শুরু থেকেই বেশ সাবলীল ব্যাটিং করতে থাকেন ম্যাথিউজ ও চান্দিমাল। গড়েন ১৯৯ রানের অসাধারণ এক জুটি। তাতেই লিড পেয়ে যায় দলটি।

তবে হতাশার এ জুটি ভাঙতে পারতো আগেই। মুমিনুলের বলে চান্দিমালের কট বিহাইন্ডের আবেদনে সাড়া দিয়েছিলেন আম্পায়ার জোয়েল উইলসন। এরপর ম্যাথিউজের বিপক্ষে সৈয়দ খালেদ আহমেদের আবেদনেও সাড়া দেন। দুই ওভার পর ম্যাথিউজের বিপক্ষে খালেদের এলবিডাব্লিউর আবেদনেও সাড়া দিয়েছিলেন এ আম্পায়ার। কিন্তু তিনবারই রিভিউ বাঁচেন লঙ্কান ব্যাটাররা।

দিনভর টাইগারদের ভোগানোর পর ইবাদতের বলে ড্রাইভ করতে গিয়ে কভারে তামিম ইকবালের হাতে ধরা পড়েন চান্দিমাল। তবে এর আগে তুলে নেন ক্যারিয়ারের দ্বাদশ সেঞ্চুরি। যার পাঁচটিই আবার বাংলাদেশের বিপক্ষে। তবে চার বছর অপেক্ষার পর মিলে এ সেঞ্চুরি। ২১৯ বলে ১১ চার ও ১ ছক্কায় খেলেন ১২৪ রানের ইনিংস।

জুটি ভেঙ্গেই দারুণ উজ্জীবিত টাইগারদের বোলিংয়ের ধার বাড়ে। নিরোশান ডিকভেলা, রমেশ মেন্ডিসদের খুব বেশি আগাতে দেননি সাকিব ও ইবাদত। লেজও ছাঁটাই করা গেছে সময় মতোই। তাতে অন্তত শেষের স্বস্তিটা পেয়েছে তারা।  

ক্যারিয়ারের আরও একটি ফাইফার পেয়েছেন সাকিব। ৯৬ রানের খরচায় পেয়েছেন পাঁচ উইকেট। সুযোগ ছিল ইবাদতের সামনেও। দেশের মাটিতে ২০০৮ সালে শাহাদাত হোসেনের পর প্রথম পেসার হিসেবে ফাইফার পাওয়ার হাতছানি। তবে চার উইকেট নিয়ে থেমেছেন তিনি। সাকিবের দারুণ থ্রোয়ে আসিথা ফার্নান্ডো রানআউট হলে শেষ হয়ে যায় আশা।

তবে অপর প্রান্তে অপরাজিত থেকেই মাঠ ছেড়েছেন ম্যাথিউজ। টানা দুই টেস্টে সেঞ্চুরি পাওয়া এ ব্যাটার খেলেছেন ১৪৫ রানের ইনিংস। ৩৪২ বলে ২টি চার ও ২টি ছক্কায় এ রান করেন তিনি। অথচ এই সিরিজের আগে বাংলাদেশের বিপক্ষে ছয় টেস্টে খেলেও কোনো সেঞ্চুরি ছিল না তার।

Comments

The Daily Star  | English

Sada Pathor Looting: Admin officials, law enforcers involved

Some government officials  including members of law enforcement agencies were involved in the rampant looting of stones from Bholaganj’s Sada Pathor area, found a probe committee of the Sylhet district administration.

6h ago