বাংলাদেশের সাদামাটা দিনে উজ্জ্বল কেবল সাকিব

দিনের শুরুটা ছিল দারুণ। প্রথম আধা ঘণ্টার মধ্যেই আগের দিনের দুই অপরাজিত ব্যাটারকে ফেরাতে পারে টাইগাররা। পরে উইকেটে থিতু হয়ে হতাশা বাড়াতে থাকেন অ্যাঞ্জেলো ম্যাথিউজ ও ধনাঞ্জয়া ডি সিলভা। এর মাঝে এক সেশনের পুরোটাই গেল বৃষ্টির পেটে। তবে সকালের মতো শেষ বিকেলে বাংলাদেশের ত্রাতা সেই সাকিব। তাতে জুটি ভাঙার সন্তুষ্টি নিয়ে মাঠ ছাড়তে পেরেছে টাইগাররা।
ছবি: ফিরোজ আহমেদ

দিনের শুরুটা ছিল দারুণ। প্রথম আধা ঘণ্টার মধ্যেই আগের দিনের দুই অপরাজিত ব্যাটারকে ফেরাতে পারে টাইগাররা। পরে উইকেটে থিতু হয়ে হতাশা বাড়াতে থাকেন অ্যাঞ্জেলো ম্যাথিউজ ও ধনাঞ্জয়া ডি সিলভা। এর মাঝে এক সেশনের পুরোটাই গেল বৃষ্টির পেটে। তবে সকালের মতো শেষ বিকেলে বাংলাদেশের ত্রাতা সেই সাকিব। তাতে জুটি ভাঙার সন্তুষ্টি নিয়ে মাঠ ছাড়তে পেরেছে টাইগাররা।

বুধবার মিরপুর শেরে বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামের তৃতীয় দিন শেষে নিজেদের প্রথম ইনিংসে ৫ উইকেটে ২৮২ রান করেছে শ্রীলঙ্কা। এদিন খেলা হয়েছে ৫১ ওভার। তাতে ৩ উইকেট হারিয়ে ১৩৯ রান করে সফরকারীরা। প্রথম ইনিংসে এখনও ৮৩ রানে পিছিয়ে আছে দলটি।

প্রথম সেশনে এদিন পাঁচ বল বাকি থাকতেই নামে বৃষ্টি। সে বৃষ্টি গিলে ফেলে এক সেশনের বেশি সময়। বেলা চারটার দিকে ফের গড়ায় ম্যাচ। তবে এ সময়ে শতরানের জুটি গড়ে বাংলাদেশকে হতাশাই উপহার দেন ম্যাথিউজ ও ধনাঞ্জয়া। পঞ্চম উইকেটে স্কোরবোর্ডে ১০২ রান যোগ করেন এ দুই ব্যাটার।

ক্ষতিটা আরও বড় হওয়ার আগেই বাংলাদেশ শিবিরে স্বস্তি আনেন সাকিব আল হাসান। ফেরান ধনাঞ্জয়াকে। শ্রীলঙ্কা দলের সহ-অধিনায়ককে উইকেটরক্ষকের তালুবন্দি করেন সাকিব। তবে আউট হওয়ার আগে ৯৫ বলে ৯টি চারের সাহায্যে ৫৮ রানের ইনিংস খেলেন তিনি। 

মজার ব্যাপার এ উইকেট প্রাপ্তির পুরো কৃতিত্বটাই যেতে পারে স্লিপে দাঁড়ানো মাহমুদুল হাসান জয় ও নাজমুল হোসেন শান্ত এবং উইকেটরক্ষক লিটন দাসের। কারণ কোনো আবেদনই করেননি সাকিব। উইকেটের পেছন থেকে আবেদন করেন তারা। এমনকি রিভিউ নেওয়ার প্রতি আগ্রহ দেখান তারাই। রিপ্লেতে দেখা যায় লিটনের হাতে যাওয়ার আগে বল হালকা চুমু খেয়ে যায় ব্যাটে।

তবে মাথাব্যথার কারণ হয়ে এখনও টিকে আছেন ম্যাথিউজ। চট্টগ্রাম টেস্টে এই ব্যাটার খেলছিলেন ১৯৯ রানের অনবদ্য এক ইনিংস। এদিনও পেয়েছেন ফিফটি। ৫৮ রানের ইনিংস খেলে অপরাজিত রয়েছেন। এরমধ্যেই দিনেশ চান্দিমালকে নিয়ে গড়েছেন অবিচ্ছিন্ন ১৬ রানের জুটি। প্রথম টেস্টের প্রথম ইনিংসে ১৩৬ রানের জুটি উপহার দিয়েছিলেন এ দুই ব্যাটার।  

এর আগে সকালে আগের দিনের দুই উইকেটে ১৪৩ রান নিয়ে ব্যাট করতে নামা শ্রীলঙ্কাকে শুরু থেকেই চাপে রাখে টাইগাররা। দিনের দ্বিতীয় বলেই রাজিথাকে বোল্ড করে দেন ইবাদত। তার লেংথ খেলতে গিয়ে লাইন মিস করে সাজঘরে ফেরেন নাইটওয়াচম্যান হিসেবে নামা এ ক্রিকেটার। কোনো রান করতে পারেননি রাজিথা। তাতে টাইগারদের শুরুটা হয় দারুণ।

উইকেট পেয়ে উজ্জীবিত ইবাদত দারুণ নিয়ন্ত্রিত বোলিং করতে থাকেন। বাজে বল দিয়েছেন খুব কমই। অপর প্রান্তে সাকিবও বজায় রাখেন চিরায়ত ধারা। তাতে রানের জন্য কিছুটা হলেও হাঁসফাঁস করতে থাকে লঙ্কানরা। তার ফলাফল দ্রুতই পায় টাইগাররা।

স্কোরবোর্ডে আর ২০ রান যোগ হতে লঙ্কান অধিনায়ক দিমুথ করুনারাত্নেকে তুলে নেন সাকিব। লঙ্কান অধিনায়ককে ড্রাইভ করতে প্রলুব্ধ করেছিলেন সাকিব। ফাঁদে পান দেন তিনি। বাঁকের মুখে লাইন মিস করলে ব্যাট-প্যাডে থাকা ফাঁক গলে বল আঘাত হানে স্টাম্পে। ১৫৫ বল মোকাবেলা করে ৯টি চারের সাহায্যে ৮০ রান করেন করুনারাত্নে।

বাংলাদেশের পক্ষে অসাধারণ বোলিং করে ৩টি উইকেট নিয়েছেন সাকিব। সকালে দারুণ বোলিং করলেও পরে সে ধারা ধরে রাখতে পারেননি ইবাদত। তার শিকার ২টি।

Comments