ফাইনালেও তাণ্ডব চালিয়ে নারাইনের ফিফটি

ছবি: ফিরোজ আহমেদ

ফাইনালে ওঠার বাঁচা-মরার ম্যাচে বিপিএলের ইতিহাসের দ্রুততম ফিফটির রেকর্ড গড়েছিলেন সুনীল নারাইন। চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্সের বিপক্ষে ১৩ বলে হাফসেঞ্চুরি ছুঁয়ে তিনি শেষ পর্যন্ত করেছিলেন ১৬ বলে ৫৭ রান। ফাইনালেও ওয়েস্ট ইন্ডিজের এই তারকার ব্যাটে উঠল ঝড়। ফরচুন বরিশালের বিপক্ষে ২১ বলে ফিফটি স্পর্শ করলেন কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সের এই ওপেনার।

শুক্রবার বিপিএলের অষ্টম আসরের ফাইনালে মিরপুর শের-ই-বাংলা স্টেডিয়ামে মুখোমুখি হয়েছে বরিশাল ও কুমিল্লা। টস জিতে ব্যাটিংয়ে নেমে উড়ন্ত সূচনা পেয়েছে ইমরুল কায়েসের নেতৃত্বাধীন কুমিল্লা। নারাইনের তাণ্ডবে পাওয়ার প্লের ৬ ওভারে তারা তুলেছে ২ উইকেটে ৭৩ রান।

ষষ্ঠ ওভারে বাঁহাতি পেসার মেহেদী হাসান রানার শিকার হয়ে থেমেছে নারাইনের বিস্ফোরক ইনিংস। এদিনও ৫৭ রান এসেছে তার ব্যাট থেকে। তবে বল কিছু বেশি খেলেছেন তিনি। বরিশালের নির্বিষ বোলিংয়ের বিপরীতে তিনি মেরেছেন সমান ৫টি করে চার ও ছক্কা। তার স্ট্রাইক রেট রীতিমতো আকাশছোঁয়া, ২৪৭.৮২।

প্রথম ওভার থেকেই বরিশালের বোলারদের ওপর চড়াও হন নারাইন। আফগানিস্তানের স্পিনার মুজিব উর রহমানের শেষ তিন বলে মারেন যথাক্রমে ছক্কা, চার ও ছক্কা। পেসার শফিকুল ইসলামকেও পরের ওভারে পাত্তা দেননি তিনি। দ্বিতীয় বলে চার মারার পর তৃতীয় ও শেষ বলে হাঁকান ছয়।

তৃতীয় ওভারে আক্রমণে এসে কুমিল্লার আরেক ওপেনার লিটন দাসের উইকেট তুলে নেন বরিশালের অধিনায়ক সাকিব আল হাসান। তাতে ভাঙে ৪০ রানের উদ্বোধনী জুটি। তবে অন্যপ্রান্তে নারাইন দেননি থামার কোনো আভাস। সাকিব আবার আক্রমণে ফিরলে তাকেও দুবার সীমানাছাড়া করেন এই ক্যারিবিয়ান। আর ওভারের শেষ বলে তিন রান নিয়ে পৌঁছে যান ফিফটিতে।

পাওয়ার প্লের শেষ ওভারে রানাকে ছক্কা মেরে স্বাগত জানান নারাইন। পরের বলেই আবার বড় শট খেলার চেষ্টায় সাজঘরে ফিরতে হয় তাকে। লং-অনে  ঠাণ্ডা মাথায় তার ক্যাচটি নেন নাজমুল হোসেন শান্ত। এর আগেই অবশ্য দলকে বড় সংগ্রহের ভিত দিয়ে যান নারাইন।

Comments

The Daily Star  | English
Nat’l election likely between January 6, 9

EC suspends registration of AL

The decision was taken at a meeting held at the EC secretariat

9h ago