মেরে খেলার চেষ্টা করি, সিম্পল প্ল্যান: মুনিম 

Munim Shahriar
২৮ বলে ৫১ রানের পথে মুনিম শাহরিয়ার। ছবি: ফিরোজ আহমেদ

ক্রিজে গিয়ে প্রথম বল থেকেই আক্রমণের নীতি নিয়ে নামেন মুনিম শাহরিয়ার। আগ্রাসী এই কৌশলে টানা দুই ম্যাচে এই ওপেনারের ব্যাট থেকে এসেছে ঝড়ো ইনিংস। যাতে শক্ত ভিত তৈরি হয়ে যায় ফরচুন বরিশালের। দলের জয়ে অবদান রাখা মুনিম জানালেন, টি-টোয়েন্টির চাহিদা মেনে তার পরিকল্পনা খুবই সরল। 

মঙ্গলবার সিলেট সানরাইজার্সের বিপক্ষে ২৬ বলে পঞ্চাশ স্পর্শ করেন মুনিম। তার ঝড়ে পাওয়ার প্লেতেই চলে আসে ৬৭ রান। ওই ভিত পেয়ে পরে সাকিব আল হাসান, ডোয়াইন ব্রাভোরা দলকে নিয়ে যান ১৯৯ রানে। যে রান তাড়া করে বরিশাল পেয়েছে টানা চতুর্থ জয়। 

আগের দিনও দলের জয়ে অবদান ছিল মুনিমের। কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সের বিপক্ষে করেছিলেন ২৫ বলে ৪৫ রান। সিলেটকে হারিয়ে ম্যাচ শেষে মুনিম জানালেন তার সহজ চিন্তার কথা, 'আমি পাওয়ার প্লেটা ব্যবহার করার চেষ্টা করি। ওই জিনিসটাতে আমার সুবিধা হয়, পাওয়ার প্লে ব্যবহার করতে পছন্দ করি খুব। যে কারণে আমার স্ট্রাইকরেট বেশি থাকে। চেষ্টা করি মেরে মেরে খেলতে। সিম্পল প্ল্যান, বেশি কিছু না।'

টানা দুই ম্যাচে ভালো করেছেন। তবু তার মনে হচ্ছে ইনিংসগুলো আরও বড় হলে ভাল হতো। তবে মুনিম জানান, এমনিতে ফিফটি করার লক্ষ্য থাকে না তার, দলের দ্রুত রান তুলার গতিটাই ঠিক রাখা তার কাছে বেশি গুরুত্বের, 'ফিফটি করার কোন লক্ষ্য থাকে না। দলের যেটা চাহিদা সেটাই পালন করার চেষ্টা করি। আমি এজ ইজ্যুয়াল খেলেছি। ফিফটি পরে আমিও শট খেলে আউট হয়েছি। ওটাও আমার জোনের বল ছিল। হয়তবা হয় নাই।'

২৩ পেরুনো এই ডানহাতি ব্যাটসম্যানের ইতিবাচক চিন্তার দূরে জাতীয় দলের কোন কোন ব্যাটসম্যানও। টি-টোয়েন্টিতে তাই পাওয়ার প্লের সুবিধা তুলতে ধুঁকে বাংলাদেশ। 

মুনিম তার মারকাটারি ব্যাটিং দেখিয়েছেন ঢাকা প্রিমিয়ার লিগ টি-টোয়েন্টিতেও। ১৪ ম্যাচে দুই ফিফটিতে করেন ৩৫৫ রান। মন্থর ঘরানার উইকেটেও স্ট্রাইকরেট ছিল ১৪৩.১৪। এবার বিপিএলে ড্রাফটে তাকে কেউ দলে নেয়নি। পরে দল পান বরিশালে। একাদশে জায়গা পেতে লেগে যায় আরও সময়। সীমিত সুযোগে নিজেকে মেলে ধরে আগ্রহ তৈরি করেছেন তিনি।
 

Comments

The Daily Star  | English

Exporters fear losses as India slaps new restrictions

Bangladesh’s exporters fear losses as India has barred the import of several products—including some jute items—through land ports, threatening crucial trade flows and millions of dollars in earnings.

6h ago