শেষ ওভারে শহীদুলকে যা বলে তাতিয়ে দিয়েছিলেন ইমরুল

Comilla Victorians
ছবি: ফিরোজ আহমেদ

শেষ ওভারে ম্যাচ জিততে ফরচুন বরিশালের দরকার ছিল ১০ রান। ওই রান আটকে স্বপ্ন পূরণের লক্ষ্যে শহিদুল ইসলামের হাতে বল তুলে দেন ইমরুল কায়েস। কিছু নির্দেশনার পাশাপাশি ইমরুল জানান তিনি এই তরুণকে তাতিয়ে দিয়েছিলেন কথা দিয়েও।

শুক্রবার মিরপুর শেরে বাংলা ক্রিকেট স্টেডিয়ামে ফাইনালে রোমাঞ্চে ঠাসা ফাইনালে শেষ পর্যন্ত ১ রানের জয়ে কাপ হাতে নেয় কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স। শেষ ওভারের প্রচণ্ড স্নায়ু চাপ জিতে সাফল্য দেখান শহিদুল।

দলের গুরুত্বপূর্ণ বোলার মোস্তাফিজুর রহমান, সুনিল নারাইনদের বোলিং কোটা তখন পূরণ হয়ে গিয়েছিল। শহিদুল ছাড়াও বাকি ছিল আবু হায়দার রনি ও মঈন আলির ওভার। ইমরুল বেছে নেন ডানহাতি পেসার শহিদুলকে।

কুমিল্লার তৃতীয় বিপিএল ট্রফি হাতে নিয়ে ইমরুল জানান তিনি যেভাবে তাতিয়ে দেন শহিদুলকে, 'শহিদুলকে একটা কথাই বলেছিলাম যে, মানুষের জীবনে নায়ক হওয়ার সুযোগ সবসময় আসে না। আমি ওকে বলেছিলাম , "তুই পারবি, আমি বিদেশিদের ওপর আস্থা রাখতে চাই না। তুই ম্যাচ জিতিয়ে দিবি।" ওকে যেভাবে বলা হয়েছিল, ঠিক ওইভাবেই বল করেছে। আমারও তাই মাঠ সাজাতে সুবিধা হয়েছে।'

ঘটনাবহুল ওভারে প্রথম ৪ বলে আসে ৫ রান। পঞ্চম বলে ছক্কা মারতে গিয়ে ক্যাচ উঠিয়েছিলেন তৌহিদ হৃদয়। তানভীর ইসলাম মুঠোয় ধরেও তা ফেলে দেন। হয়ে যায় আরও ২ রান। শেষ বলে তখন দরকার দাঁড়ায় তিন রানের। সাময়িকভাবে নেতিবাচক চিন্তা ভর করেছিল ইমরুলের, 'ওই পরিস্থিতিতে ক্যাচ মিস হলে তো ভেতরে নেতিবাচক চিন্তা কাজ করেই। ১ বলে ৮ রান হলে সেটা ভিন্ন ব্যাপার। কিন্তু ১ বলে ৩ রান মানে খেলা বের হয়ে যেতে পারে। আমি একটু আপসেট হয়ে গিয়েছিলাম। কিন্তু শেষ ডেলিভারি সে খুব ভালো জায়গা করেছে, এজন্য সম্ভব হয়েছে।'

শেষ বলটা কীভাবে করতে হবে তাও বাতলে দিয়েছিলেন ইমরুল, 'আমি বলেছিলাম য অফ স্টাম্পের বাইরে ফিল্ডার রাখছি, পয়েন্ট ছিল, সুইপার (কাভার) ছিল। বলেছিলাম ওয়াইড ইয়র্কার করতে। এরপর চার মারুক বা ছক্কা, সমস্যা নেই। কিন্তু বলটা যেন জায়গায় থাকে। ওটাই করেছে সে।'

Comments

The Daily Star  | English

Yunus meets Chinese ambassador to review China visit, outline next steps

Both sides expressed a shared commitment to transforming discussions into actionable projects across a range of sectors

3h ago