চুল পড়া রোধে পিআরপি থেরাপি

চুল পড়া ও টাক নিয়ে মানুষের দুশ্চিন্তার শেষ নেই। এখন পর্যন্ত টাক মাথায় চুল গজানোর কোনো আশাব্যঞ্জক চিকিৎসা আবিষ্কার না হলেও ব্যয়বহুল অপচিকিৎসার শিকারে পরিণত হয়ে থাকেন অনেকেই। চুলের বাইরের অংশ চামড়ার নিচে থাকা গোঁড়া থেকে বৃদ্ধি পেয়ে থাকে। নানা রোগ ও বংশজনিত কারণে চুল পড়ে থাকে।
তবে, একবার চুল গোঁড়াসহ পড়ে গেলে তা আর গজানোর কোনো সম্ভাবনা থাকে না। অনেক রোগের কারণে চুলের বাইরের অংশ ঝরে পড়লেও গোঁড়া অটুট থাকে। যা থেকে পরবর্তীতে স্বাভাবিক চুল গজায়। আবার কিছু রোগ চুলের গোঁড়া সম্পূর্ণ নষ্ট করে দেয়। সেসব ক্ষেত্রে আর চুল গজায় না।
পুরুষদের ক্ষেত্রে বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে অনেকের দুই পাশের চুল হালকা হতে থাকে। যা অনেকের ক্ষেত্রে পুরো মাথায় বিস্তৃত হয়ে টাকে পরিণত হয়। এক্ষেত্রে চুল গোঁড়াসহ ধ্বংস হয়ে যায়। কোনো কারণে চুল পড়তে শুরু হলে যদি গোঁড়া অক্ষত থাকে, তাহলে কিছু চিকিৎসা চুল গজাতে সাহায্য করে থাকে। তারই একটি পিআরপি থেরাপি চিকিৎসা।
পিআরপি থেরাপি মানে প্লাজমা রিচ প্রোটিন থেরাপি। এ চিকিৎসায় রোগীর দেহের রক্ত আহরণ করে তা থেকে কিছু উপাদান যন্ত্রের মাধ্যমে আলাদা করা হয়। তারপর এই প্লাজমা সমৃদ্ধ রক্তের অংশ সিরিঞ্জের মাধ্যমে পড়ে যাওয়া চুলের গোঁড়ায় প্রবেশ করিয়ে দেওয়া হয়। সাধারণত প্রথম তিন মাস প্রতিমাসে একবার করে এই চিকিৎসা দেওয়া হয়। এরপর প্রতি চার মাস অন্তর এই চিকিৎসা চালিয়ে যাওয়া হয়। চুল গজানোর ওপর ভিত্তি করে কতদিন চিকিৎসা দেওয়া হবে, তা নির্ধারণ করে থাকেন চিকিৎসক।
তবে, যাদের চুলের গোঁড়া সম্পূর্ণ নষ্ট হয়ে গেছে, তাদের জন্যে এই চিকিৎসা কোনো উপকারে আসবে না। তবে, চুল হালকা হতে শুরু হলে চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে পারেন। চিকিৎসা নেওয়ার আগে চুল গজানোর সম্ভাবনা ও খরচ বিষয়ে জেনে নেওয়া উচিত।
ডা. এম আর করিম রেজা: ত্বক ও সৌন্দর্য বিশেষজ্ঞ
Comments