এই গরমে শিশুর ঈদের পোশাক
ঈদ মানে আনন্দ, ঈদ মানে খুশি। এই আনন্দের জোয়ার যেন শিশুদের মধ্যে সব চেয়ে বেশি। ঈদে পরিবারের ছোট সদস্যের পোশাক নিয়ে তাই বাড়তি ভাবনা থাকে। কারণ পোশাক যেমন হতে হবে তাদের পছন্দসই, আবার গরমের বিষয়টিও ভুলে গেলে চলবে না। তবে সময়ের সঙ্গে কেবল বড়দের পোশাক নয়, ছোটদের পোশাকেও এসেছে ভিন্নতা, এসেছে নান্দনিকতার ছোঁয়া।
চলুন দেখে নেওয়া যাক এই গরমে ঈদে শিশুদের পোশাক কেমন হতে পারে।
পোশাকের রঙ
শিশুদের পোশাক বরাবরই রঙিন ভালো লাগে। লাল, হলুদ, কমলা, নীল, গোলাপি, আকাশী এমনকি সাদা রঙও শিশুদের ভালো মানায়। ছেলে শিশুদের পোশাকে সাদা, পেস্টাল ঘরানার রং, সাদার সঙ্গে হলুদ, নীলের ব্যবহার অনেক বেশি। মেয়েদের পোশাকে নীলের অনেক ধরন, লাল, স্কাইব্লু, সী গ্রিন, সাদা, হলুদ, ফিরোজা, গোলাপি, বাদামি, হালকা সবুজ ইত্যাদি রঙের ব্যবহার হয়েছে বেশি।
বাহারি পোশাক
মেয়ে শিশুদের ঈদের পোশাকে এবার এসেছে নতুন সব ধরন। শুধু ফ্রক নয় সঙ্গে সালোয়ার কামিজ, ঘাগরা-চোলি, শর্ট টপ, কাফতান, থ্রি-পিস, জাম্প স্যুট, লেগিংস, পালাজ্জো, ধুতি স্টাইলের পায়জামাসহ আরও বেশ কিছু বৈচিত্র্য এসেছে। গরম বেশি থাকায় শিশুদের জন্যে ছোট হাতার জামা আর ঢিলেঢালা পায়জামা কেনা ভালো।
ছেলে শিশুদের জন্য ছোট হাতার শার্ট, গেঞ্জি, ছোট ও মাঝারি প্যান্ট আজকাল বেশি চলছে। এক রঙের প্যান্টের পাশাপাশি আছে ব্লিচ করা ডেনিমের প্যান্ট। উৎসব ও আরামের কথা ভেবে এবার উজ্জ্বল ও হালকা দুই ধরনের পোশাকই পাওয়া যাচ্ছে।
পোশাকের কাপড়
ছেলে শিশুদের পোশাকে সব থেকে বেশি ব্যবহার হয়েছে সুতি, লিনেন, পাতলা খাদি ও গেঞ্জি কাপড়। ছোট হাতার ক্যাজুয়াল শার্ট, ফতুয়া, পায়জামা-পাঞ্জাবি সবই পাওয়া যাচ্ছে সব বারের মতই। একরঙা পাঞ্জাবি ছাড়াও পাতলা খাদি কাপড়ে চেকের ব্যবহার হয়েছে। তাছাড়া অনেক পাঞ্জাবিতে রয়েছে বুকে ও হাতায় এমব্রয়ডারির পাতলা কাজ।
মেয়েশিশুদের জন্য সুতি ও নেটের পোশাকের উপর সুতা, পুঁতি বা সিকুইন কাজের বাহারি ডিজাইনের পোশাক মিলছে। পোশাকের মোটিফে থাকছে ফুলেল নকশা ও রূপকথার প্রাধান্য। তাছাড়া গরমের বিষয়টা মাথায় রেখে লিলেন বা সুতির কাপড়ের ওপর জোর দেওয়া হচ্ছে। আজকাল জামদানি ও মসলিন কাপড় দিয়েও শিশুদের জন্য জামা, সালোয়ার কামিজ বিক্রি হচ্ছে ফ্যাশন হাউজগুলোতে।
Comments