নারীর গয়না

একজন নারীর পছন্দের শীর্ষে থাকে গয়না। সময়ের সঙ্গে তাল মিলিয়ে গয়নাতে অনেক পরিবর্তন এসেছে। দেশি-বিদেশি সব ধরনের গয়না এখন হাতের মুঠোয় চলে এসেছে। ৮ মার্চ বিশ্ব নারী দিবস। এ উপলক্ষে প্রিয় মানুষের জন্য ছোট হলেও একটি গয়না উপহার দেওয়া যেতে পারে। তিনি হতে পারেন- মা, বোন, স্ত্রী, মেয়ে অথবা বান্ধবী।

গলার মালা, কানের দুল, চুড়ি, নাকের ফুল, নুপুর, পায়েল এসবের ব্যবহার প্রায়ই দেখা যায়। তবে, বর্তমান ট্রেন্ডে বাংলার প্রাচীন গয়না আবার জায়গা করে নিচ্ছে। পুরনো ডিজাইনের সঙ্গে কিছু ভিন্নতা এনে দেওয়া হচ্ছে নতুন রূপ। একসময় স্বর্ণ এবং রূপার গয়নার বেশি চাহিদা থাকলেও এখন এই দুটির মধ্যে রূপার গয়না বেশি পরতে দেখা যায়। নান্দনিক ডিজাইনে তৈরি হচ্ছে রূপার গয়না। আবার এগুলো দাম তুলনামূলক কম। রূপার এসব ভিন্নধর্মী গয়না পাওয়া যাবে বিভিন্ন অনলাইন পেজ অথবা বিপণিবিতানে।

এ ছাড়াও, কাঁসা ও মাটির গয়না পরতেও স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করেন অনেকে। তাই প্রিয়জনকে কাঁসা বা মাটির গয়না উপহার দিতে পারেন।
নারীদের খুব পছন্দের একটি গয়না হলো চুড়ি। ছোট-বড় সব বয়সী নারী চুড়ি পরতে ভালোবাসেন। সোনা বা রূপার চুড়ি ছাড়াও বিভিন্ন ধরনের চুড়িতে নিজের হাতকে সাজিয়ে তোলেন নারীরা। এর মধ্যে রেশমি চুড়ির জুড়ি নেই।

গয়নার পছন্দের তালিকায় অঙ্গুরি অন্যতম। আর কোনো গয়না পরুক বা না পরুক হাতের অনামিকায় একটি আংটি ঠিকই থাকবে। যারা খুব অল্প গয়না পরে নিজেকে আলাদা করে তুলেন, তাদের বেশিরভাগের অনামিকায় একটা অঙ্গুরি পরা থাকে।
সব নারী নিজের স্বকীয়তা বজায় রেখে পছন্দ মতো গয়না পরে থাকে। কারণ, একজন নারী জানে কীভাবে নিজেকে আলাদাভাবে উপস্থাপন করতে হয়। নারী দিবসে নারীর প্রতি শ্রদ্ধা ও ভালোবাসা জানিয়ে গয়নার বাজারগুলোতে দেওয়া হয় বিশেষ ছাড়। এই সুযোগে মা, স্ত্রী, মেয়ে অথবা বোনকে একটি ছোট্ট গয়না উপহার দিতে পারেন।
Comments