পূজার সাজে শাড়ি

স্টার ফাইল ফটো

আকাশে সাদা মেঘের খেলা আর দিগন্তজুড়ে ফুটে আছে কাঁশফুল। বাতাসে ভাসছে পূজার আগমনী বার্তা। দুর্গাপূজা মানেই উৎসব। সেই উৎসবকে রাঙিয়ে তুলতে নিজেকে সাজাতে হয় একটু আলাদা ঢঙে।

পূজার সাজের অন্যতম অনুষঙ্গ হলো শাড়ি। বিশেষ করে বাঙালি নারীদের কাছে পূজার সময় শাড়ির কদর অনেকখানি বেড়ে যায়। দশ দিনব্যাপী এই ধর্মীয় অনুষ্ঠানের প্রতিটি দিনই হওয়া চাই স্পেশাল।

শরৎকালের আবহাওয়া অনুযায়ী শাড়ি খুবই আরামদায়ক। এ সময় সকালে রোদ থাকে এবং বিকেলের আকাশ থাকে একটু মেঘলা। অনেক সময় শীতের আমেজও পাওয়া যায়। তবে, শারদীয় দুর্গোৎসব ১০ দিনব্যাপী হলেও মূলত ষষ্ঠী থেকে দশমী পর্যন্ত উৎসব বেশি জমে ওঠে। এই ৬ দিন একজন নারীর সাজপোশাকের আমেজও থাকে বেশি। ষষ্ঠী ও সপ্তমী এই ২ দিন স্নিগ্ধ সাদা বা হালকা রঙের সুতি শাড়িতে অঞ্জলি দেওয়া যেতে পারে। বিকেলে হাফ সিল্ক বা জামদানি পরে মণ্ডপে ঘোরা যেতে পারে।

তারপর দিন থাকে কুমারি পূজা। সাধারণত এদিন জমকাল সাজে আগ্রহ থাকে সবার। তাই এদিনে কাতান, বেনারসি অথবা কাজ করা সিল্ক শাড়ি পরা যেতে পারে।

স্টার ফাইল ছবি

নবমীতে আবারও একটু হালকা সাজে ফিরে যেতে পারেন। দশমীর দিনে পূজার পর বিসর্জনেই থাকে বিশেষ আকর্ষণ। সেদিন সকাল থেকে রাত পর্যন্ত থাকে উৎসব। মণ্ডপে থাকে উপচে পড়া ভিড়। দশমীর দিনে লাল পাড় সাদা শাড়ি দিয়ে সাজানো হয় দেবী দুর্গাকে। সেই ঐতিহ্য ধরে অধিকাংশ নারীরা লাল পাড়ের সাদা শাড়ি পরতে পছন্দ করেন। লাল পাড়ের সাদা কাতান, বেনারসি পরতেই বেশি দেখা যায়। এছাড়া, জমকালো জামদানি বা জরি সুতার কাজ করা সিল্ক বা মসলিন শাড়ি পরেন অনেকে। তবে শাড়ি যেমনই হোক তাতে লাল সাদা রঙের প্রাধান্য থাকে।

দরদাম ও কোথায় পাবেন:

দেশিয় ফ্যাশন হাউসগুলোতে ২ হাজার থেকে শুরু করে ৭ হাজার টাকার মধ্যে বেশ সুন্দর শাড়ি পাওয়া যাবে। আড়ঙে জামদানি ১০ হাজার থেকে শুরু করে দেড় লাখ টাকার মধ্যে পাওয়া যাবে। পূজায় সবচেয়ে বেশি চাহিদা থাকে কাতান এবং বেনারসির। এগুলোর সবচেয়ে ভালো কালেকশন পাবেন মিরপুর বেনারসি পল্লীতে। সেখানে ১ হাজার টাকা থেকে শুরু করে ৩০ হাজার টাকার মধ্যে ভালো শাড়ির খোঁজ পাওয়া যাবে।

Comments

The Daily Star  | English

Over 14 million people could die from US foreign aid cuts: study

USAID had provided over 40 percent of global humanitarian funding until Trump returned to White House

26m ago