স্বাস্থ্যবিধি মেনে দুর্গাপূজা উদযাপন

আশ্বিনের মাঝামাঝি-উঠিল বাজনা বাজি, পূজার সময় এলো কাছে। মহালয়ার মধ্যে দিয়ে শুরু হলো দেবীপক্ষ। হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দুর্গোৎসবকে ঘিরে পূজা মণ্ডপগুলোতে সাজসাজ রব। মণ্ডপে মণ্ডপে ঘুরে বেড়ানো আর দেবী দর্শন করাই পূজার মূল আকর্ষণ।
ঢাকায় সার্বজনীন দুর্গাপূজা উদযাপন হয় ঢাকেশ্বরী মন্দিরে। গত বছর করোনা মহামারির কারণে প্রতি বছরের মতো দুর্গোৎসবের আনুষ্ঠানিকতা না হলেও, এ বছর সীমিত পরিসরে উদযাপিত হবে শারদীয় দুর্গোৎসব।
তবে, মহামারি যেহেতু এখনও কাটেনি, তাই এবারের উৎসবে মেনে চলতে হবে বাড়তি সতর্কতা। স্বাস্থ্যবিধি মেনেই যোগ দিতে হবে শারদীয় দুর্গোৎসবে। আনন্দ উদযাপনের পাশাপাশি নিজেদের ও পরিবারের স্বাস্থ্যের ব্যাপারেও সচেতন থাকতে হবে।
চলুন জেনে নেওয়া যাক পূজার সময় আমরা কি কি স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে পারি।
করোনা পরিস্থিতি মোকাবিলায় বাড়ি থেকে বের হওয়ার সময় অবশ্যই সঠিক নিয়মে মাস্ক পরতে হবে। করোনা মোকাবিলায় সঠিক নিয়মে মাস্ক পরার কোনো বিকল্প নেই। বাড়ির ছোট সদস্যকেও মাস্ক পরাতে ভোলা যাবে না।
মণ্ডপের দায়িত্বে থাকাকালে কর্মীদের অবশ্যই স্বাস্থ্যবিধি মেনে দর্শনার্থীদের থেকে নিরাপদ দূরত্ব বজায় রাখতে হবে। মণ্ডপের প্রবেশ ও বাহিরের পথে যেন ভিড় না জমে সে বিষয়ে খেয়াল রাখতে হবে।
দর্শনার্থীদের মণ্ডপে প্রবেশের পর যতটা সম্ভব ভিড় এড়িয়ে চলতে হবে এবং অবশ্যই সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে মণ্ডপে অবস্থান করতে হবে।
বাইরে অবস্থানকালে কিছুক্ষণ পরপর স্যানিটাইজার দিয়ে হাত স্যানিটাইজ করে নিতে হবে। সুযোগ থাকলে সাবান পানি দিয়ে হাত ধুয়ে ফেলতে হবে। বাইরে ঘোরাঘুরির সময় রাস্তার পাশের খোলা খাবার এড়িয়ে চলতে হবে।
মণ্ডপের প্রবেশ পথে জীবাণুনাশক টানেল থাকতে পারে। শিশু ও বয়স্কদের বিষয়টা অবশ্যই খেয়াল রাখা উচিত। অতিরিক্ত ভিড়ের সময় বয়স্ক ও শিশুদের মণ্ডপে যাওয়া থেকে বিরত রাখা যেতে পারে।
যারা করোনা টিকা নিয়েছেন তাদেরও স্বাস্থ্যবিধি মেনেই পূজো উদযাপন করতে হবে। কাশি বা হাঁচির সময় কনুই বা টিস্যু দিয়ে অবশ্যই নাক ও মুখ ঢেকে রাখতে হবে।
এ সময়ে জ্বর, কাশি বা শ্বাসকষ্ট দেখা দিলে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে এবং বাড়িতে অবস্থান করতে হবে। এমন অবস্থায় ঘরের বাইরে না যাওয়া নিজের ও অন্যদের সবার জন্যই মঙ্গল।
Comments