স্কিপিং রোপে রেকর্ড গড়ে গিনেস বুকে ঠাকুরগাঁওয়ের রাসেল

স্কিপিং রোপে নির্দিষ্ট সময়ে এক পায়ে সর্বোচ্চ লাফিয়ে (ত্রিশ সেকেন্ড ও এক মিনিটে) গিনেস বুক অব ওয়ার্ল্ড রেকর্ডে নাম লিখিয়েছেন ঠাকুরগাঁওয়ের তরুণ মো. রাসেল ইসলাম (১৮)।
গিনেস বুক কর্তৃপক্ষের পাঠানো সনদ হাতে মো. রাসেল ইসলাম। ছবি: কামরুল ইসলাম রুবাইয়াত/স্টার

স্কিপিং রোপে নির্দিষ্ট সময়ে এক পায়ে সর্বোচ্চ লাফিয়ে (ত্রিশ সেকেন্ড ও এক মিনিটে) গিনেস বুক অব ওয়ার্ল্ড রেকর্ডে নাম লিখিয়েছেন ঠাকুরগাঁওয়ের তরুণ মো. রাসেল ইসলাম (১৮)।

রাসেল ইসলাম এক পায়ে ৩০ সেকেন্ডে ১৪৫ বার ও এক মিনিটে ২৫৮ বার দড়ি লাফিয়ে (স্কিপিং করে) এ রেকর্ড গড়েন।

রাসেল দ্য ডেইলি স্টারকে জানিয়েছেন, গত ২৯ জুলাই বিশ্ব রেকর্ডের স্বীকৃতি হিসেবে গিনেস বুক কর্তৃপক্ষের পাঠানো দুটি সনদ ডাকযোগে তার কাছে পৌঁছেছে।

এর আগে, ২০২০ সালের জুন ও জুলাইয়ে অনলাইনে এক পায়ের ওপর স্কিপিং রোপে এ দুটি ইভেন্টে বিশ্বসেরা হওয়ার আবেদন করেন রাসেল। আবেদনের তিন মাস পর গিনেস বুক কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণের নির্দেশনাসহ চিঠি পান তিনি।

সেই নির্দেশনা অনুযায়ী গত বছরের ৩০ ডিসেম্বর ৩০ সেকেন্ডের ভিডিও ক্লিপ এবং চলতি বছরের ২ জানুয়ারি এক মিনিটে ভিডিও ক্লিপ তৈর করে গিনেস বুক অব ওয়ার্ল্ড রেকর্ড কর্তৃপক্ষের কাছে পাঠান।

তিনি জানান, ৩০ সেকেন্ডে করা ওয়ার্ল্ড রেকর্ডটি এখনো অক্ষুণ্ণ থাকলেও এক মিনিটে করা রেকর্ডটি গত ১০ এপ্রিল ভারতের লক্ষ্ণৌর এক তরুণ ভেঙে ফেলেছেন। ভারতীয় তরুণ এক মিনিটে ২৫৮ বারের জায়গায় ২৫৯ বার লাফিয়েছেন।

রাসেল দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'এক মিনিটের রেকর্ডটি পুনরুদ্ধারসহ আরও বেশ কয়েকটি ইভেন্টে ওয়ার্ল্ড রেকর্ডের জন্য শিগগির আবার আবেদন করব।'

এছাড়াও, তিনি বিভিন্ন আন্তর্জাতিক পর্যায়ের প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সহযোগিতা কামনা করেন।

রাসেলের বাবা বজলুর রহমান বলেন, 'ছেলের এই খেলা আমি কিছুই বুঝি না। সে নিজের ইচ্ছেতে এই খেলার চর্চা করে। তার অতি আগ্রহের কারণে আমি তাকে কখন বাঁধা দেইনি। কারণ আমি এইটুকু বুঝেছি যে ছেলে খারাপ কিছু করছে না।'

সালন্দর ডিগ্রি কলেজের শরীরচর্চা শিক্ষক আফজালুর রহমান বলেন, 'রাসেলের একাগ্রতা দেখে মনে হয়েছে ও সফলতা পাবে। তবে, এতো বড় একটা রেকর্ড করে ফেলবে সেটা মনে হয়নি।'

জেলা ক্রীড়া সংস্থার সাধারণ সম্পাদক মাসুদুর রহমান বাবু বলেন, 'রাসেলের সাফল্য আমাদের গৌরবান্বিত করেছে। বিভিন্ন আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণে জেলা ক্রীড়া সংস্থা যোগাযোগ করার উদ্যোগ নেবে।'

জেলা প্রশাসক মো. মাহবুবুর রহমান জানান, 'গিনেস বুক অব ওয়ার্ল্ড রেকর্ডে স্থান করে নেওয়া একটি সম্মানজনক অর্জন। আমাদের দেশের জন্য এটি গৌরবের। আগামীতেও তার সাফল্যের ধারাবাহিকতা বজায় রাখতে পৃষ্ঠপোষকতার প্রয়োজন হলে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে তা করা হবে।'

রাসেল ঠাকুরগাঁও শিবগঞ্জ ডিগ্রি কলেজের মানবিক বিভাগের এইচএসসি প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী।

Comments

The Daily Star  | English
Representational image of Bangladeshi migrant workers.

UN experts express dismay over situation of Bangladeshi migrants in Malaysia

UN experts today expressed dismay about the situation of Bangladeshi migrants in Malaysia, who had travelled there in the hope of employment after engaging in the official labour migration process

10m ago