উপাচার্যের দুর্নীতি প্রমাণিত হলে, আইনের আওতায় আনা উচিত: ঢাবি ভিসি

যে সব উপাচার্যের দুর্নীতি প্রমাণিত হয়েছে, তাদেরকে আইনের আওতায় আনা উচিত বলে মন্তব্য করেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান।
শুক্রবার ডিবেট ফর ডেমোক্রেসির আয়োজনে এফডিসিতে শিক্ষাঙ্গনে অস্থিতিশীলতা প্রতিরোধে শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের ভূমিকা নিয়ে এক ছায়া সংসদে তিনি এ সব কথা বলেন।
পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যদের অনিয়ম ও দুর্নীতির সঙ্গে সম্পৃক্ত থাকা উচিত নয় বলেও এ সময় তিনি মন্তব্য করেন।
তিনি বলেন, 'ডাকসু নির্বাচনের জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনের আন্তরিকতার ঘাটতি নেই। দেশের অন্য কোনো বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র সংসদ নির্বাচন না হলেও, অনুকূল পরিবেশ তৈরি হলে পরবর্তী ডাকসু নির্বাচনের উদ্যোগ নেওয়া হবে।'
আখতারুজ্জামান বলেন, 'ক্যাম্পাসে সৌহার্দ্যপূর্ণ পরিবেশ বজায় রাখার জন্য ছাত্র-শিক্ষক উভয়কেই শব্দ চয়নে ও প্রতিপক্ষের সমালোচনায় দায়িত্বশীল আচরণ করতে হবে। উপাচার্য কর্তৃক ছাত্রকে রাজাকারের বাচ্চা বলা অথবা ছাত্র কর্তৃক শিক্ষককে নির্লজ্জ বলার মতো আচরণ গ্রহণযোগ্য নয়।'
তিনি আরও বলেন, 'ঢাবিতে গবেষণায় চৌর্যবৃত্তির সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। যে সব উপাচার্যের দুর্নীতি প্রমাণিত হয়েছে তাদেরকে আইনের আওতায় আনা উচিত।'
অধ্যাপক ড. আখতারুজ্জামান আরও বলেন, 'ঢাবির গণরুম সংস্কৃতি বন্ধের লক্ষ্যে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নিয়েছে কিন্তু দীর্ঘদিনের এই মন্দচর্চা দূর করার ক্ষেত্রে ছাত্র, শিক্ষক ও প্রশাসন সবার সম্মিলিত প্রয়াস প্রয়োজন।'
আন্তর্জাতিক সূচকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অবস্থান ঊর্ধ্বমূখী করার লক্ষ্যে আন্তর্জাতিক মানের জার্নাল প্রকাশনা, গবেষণা সহযোগিতা বৃদ্ধি, বিশ্বের বিখ্যাত বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর সঙ্গে অংশীদারিত্ব বাড়ানো এবং টেকসই উন্নয়ন অভীষ্টের সঙ্গে সংগতি রেখে শিক্ষা কারিকুলাম পুনর্বিন্যাস করা হচ্ছে বলে জানান তিনি।
প্রতিযোগিতায় কুমিল্লা ইউনিভার্সিটি'র বিতার্কিকদের পরাজিত করে চট্টগ্রামের প্রিমিয়ার ইউনিভার্সিটি বিতার্কিকরা বিজয়ী হয়। প্রতিযোগিতা শেষে অংশগ্রহণকারী দলের মাঝে ট্রফি ও সনদপত্র বিতরণ করা হয়।
প্রতিযোগিতায় বিচারক ছিলেন ড. এস এম মোর্শেদ, ড. শাহ আলম চৌধুরী, সাংবাদিক হাসনাত রাব্বি ও উন্নয়নকর্মী নিশাত সুলতানা।
Comments