দ্বিতীয় দিনের মতো বিক্ষোভ করছেন নিটার শিক্ষার্থীরা

সাভারের আশুলিয়ায় দ্বিতীয় দিনের মতো বিক্ষোভ করছে জাতীয় বস্ত্র প্রকৌশল ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের (নিটার) শিক্ষার্থীরা। আজ বুধবার সকালে শিক্ষার্থীরা প্রতিষ্ঠানটির সাবেক অধ্যক্ষ ও বর্তমান আ্যডভাইজার ড. মিজানুর রহমান এবং রেজিস্ট্রার কাজী আন্দালিব আমিনের পদত্যাগের দাবি তোলেন।
সাভারের নয়ারহাট এলাকায় অবস্থিত ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড রিসার্চে ছয় দফা দাবিতে মঙ্গলবার সকাল থেকে প্রশাসনিক ভবন অবরোধ করে বিক্ষোভ করেন শিক্ষার্থীরা। ছবি: প্রথম আলোর সৌজন্যে

সাভারের আশুলিয়ায় দ্বিতীয় দিনের মতো বিক্ষোভ করছে জাতীয় বস্ত্র প্রকৌশল ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের (নিটার) শিক্ষার্থীরা। আজ বুধবার সকালে শিক্ষার্থীরা প্রতিষ্ঠানটির সাবেক অধ্যক্ষ ও বর্তমান আ্যডভাইজার ড. মিজানুর রহমান এবং রেজিস্ট্রার কাজী আন্দালিব আমিনের পদত্যাগের দাবি তোলেন।

তারা বলেন, দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত তারা বিক্ষোভ কর্মসূচি চালিয়ে যাবেন।

এই দাবিতে গতকাল বিকেলে নিটারের প্রশাসনিক ভবনের সামনে শতাধিক শিক্ষার্থী বিক্ষোভ শুরু করেন। রাতেও তারা সেখানেই অবস্থান করেন।

শিক্ষার্থীরা জানান, নিটার পরিচালিত হয় একজন প্রিন্সিপাল ও ১৬ সদস্যের গভর্নিং কাউন্সিলের মাধ্যমে। তবে সবচেয়ে বেশি এখতিয়ার প্রিন্সিপালের হাতে। গত বছরের অক্টোবরে প্রিন্সিপাল ড. মিজানুর রহমান অবসরে যান। তার আগেই তিনি ক্ষমতা কুক্ষিগত করতে আ্যডভাইজার (উপদেষ্টা) পদ সৃষ্টি করেন এবং সেই পদে থেকে থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের মূল নিয়ন্ত্রণ তার হাতেই রাখেন। তার বিরুদ্ধে আর্থিক অনিয়মসহ নানা অভিযোগ রয়েছে।

ইন্ড্রাস্ট্রিয়াল অ্যান্ড প্রোডাকশন ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী সোলায়মান হাওলাদার দ‍্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'আমাদের প্রতিষ্ঠানে দীর্ঘ দিন ধরে নানা অনিয়ম ও দুর্নীতি করে আসছেন বর্তমান অধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মিজানুর রহমান। নিটারের বাৎসরিক আয় প্রায় ২ হাজার ৬০০ কোটি টাকা। তারপরও শিক্ষার্থীদের জন্য পর্যাপ্ত আবাসিক হল, ল্যাব ও শিক্ষক নেই। এমনকি ছাত্রীদের নিরাপত্তা নেই ক্যাম্পাসে।'

তিনি আরও বলেন, 'এসব নিয়ে কথা বলায় ২ শিক্ষককে রেজিস্ট্রার কাজী আন্দালিব আমিন লাঞ্ছিত করেছেন। ওই ঘটনার প্রতিবাদে আমরা প্রশাসনিক ভবনের সামনে বিক্ষোভ ‍শুরু করেছি। যতক্ষণ পর্যন্ত আমাদের দাবি আদায় না হবে, আমরা বিক্ষোভ চালিয়ে যাব।'

Comments

The Daily Star  | English

Will anyone take responsibility for traffic deaths?

The Eid festivities in April marked a grim milestone with a record number of road traffic accidents and casualties.

9h ago