শাবিপ্রবিতে শিক্ষার্থীদের উন্মুক্ত আলোচনা সন্ধ্যায়

শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটক। ফাইল ছবি

শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের পদত্যাগের দাবিতে ১৯ জানুয়ারি থেকে শুরু হওয়া আমরণ অনশনের ইতি টানার পর সকাল থেকে ক্যাম্পাসে শুনশান নিরবতা। শিক্ষার্থীরা জানিয়েছেন, উপাচার্যের পদত্যাগের আগ পর্যন্ত আন্দোলন চলবে।

তারই অংশ হিসেবে আজ বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৬টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের মুক্তমঞ্চে 'কেমন শাবিপ্রবি চাই' শীর্ষক একটি উন্মুক্ত আলোচনা অনুষ্ঠিত হবে। আন্দোলনকারীদের একজন মুখপাত্র দ্য ডেইলি স্টারকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

এর আগে গত রাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটক এবং উপাচার্যের বাসভবনের সামনে অবরোধ কর্মসূচি প্রত্যাহার করেন শিক্ষার্থীরা।

গতকাল অধ্যাপক ড. মুহম্মদ জাফর ইকবালের আশ্বাসে অনশন ভাঙা ২৮ শিক্ষার্থীর মধ্যে ২ জন জালালাবাদ রাগীব রাবেয়া মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি আছেন। বাকিরা তাদের পরিবারের দায়িত্বে কেউ নিজের বাড়িতে কিংবা বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন।

গত ১৩ জানুয়ারি শাবিপ্রবির বেগম সিরাজুন্নেসা চৌধুরী হলের প্রাধ্যক্ষের পদত্যাগ দাবির আন্দোলনের মধ্যে ১৬ জানুয়ারি উপাচার্যকে অবরুদ্ধ করলে তাকে মুক্ত করতে শিক্ষার্থীদের ওপর পুলিশ হামলা চালায়।

সেই রাতেই উপাচার্যের পদত্যাগের দাবিতে আন্দোলন শুরু করেন সাধারণ শিক্ষার্থীরা। গত ১৯ জানুয়ারি উপাচার্যের বাসভবনের সামনে আমরণ অনশনে বসেন ২৪ শিক্ষার্থী।

পরবর্তীতে একজন অনশনরত শিক্ষার্থীর বাবা হৃদরোগে আক্রান্ত হলে তিনি বাড়ি ফিরে যান এবং নতুন করে আরও ৫ শিক্ষার্থী অনশনে বসেন।

শিক্ষামন্ত্রী সঙ্গে আলোচনায় কোনো সমাধান না আসায় আন্দোলন যখন তীব্র এবং অধিকাংশ অনশনরত শিক্ষার্থীর জীবন সংকটে, তখন অধ্যাপক ড. মুহম্মদ জাফর ইকবাল ও অধ্যাপক ড. ইয়াসমীন হকের সঙ্গে যোগাযোগ করেন সরকারের উচ্চ পর্যায়ের একটি প্রতিনিধিদল।

শিক্ষার্থীদের দাবি দ্রুত মানা হবে, এমন আশ্বাসে শাবিপ্রবির সাবেক এই অধ্যাপক দম্পত্তি মঙ্গলবার রাতেই সিলেটের উদ্দেশে রওনা হয়ে ভোররাত ৪টায় ক্যাম্পাসে পৌঁছান।

তাদের আশ্বাসে বুধবার সকাল ১০টা ২০ মিনিটে ১৬৩ ঘণ্টা দীর্ঘ অনশন ভাঙেন আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা। তাদের অনুরোধেই শিক্ষার্থীরা ক্যাম্পাসে অবরোধ কর্মসূচি প্রত্যাহার করেন।

Comments

The Daily Star  | English
government decision to abolish DSA

A law that gagged

Some made a differing comment, some drew a political cartoon and some made a joke online – and they all ended up in jail, in some cases for months. This is how the Digital Security Act (DSA) and later the Cyber Security Act (CSA) were used to gag freedom of expression and freedom of the press.

11h ago