শাবিপ্রবির আটক ৫ সাবেক শিক্ষার্থীসহ ১৫০ জনের বিরুদ্ধে মামলা

শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শাবিপ্রবি) উপাচার্য অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন আহমেদের পদত্যাগের দাবিতে চলমান আন্দোলনে অর্থসহায়তা দেওয়ার অভিযোগে আটক বিশ্ববিদ্যালয়টির সাবেক ৫ শিক্ষার্থীসহ অজ্ঞাতনামা ১৫০ জনের বিরুদ্ধে একটি মামলা দায়ের হয়েছে।
শাবিপ্রবিতে শিক্ষার্থীদের আন্দোলন। ছবি: শেখ নাসির/স্টার

শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শাবিপ্রবি) উপাচার্য অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন আহমেদের পদত্যাগের দাবিতে চলমান আন্দোলনে অর্থসহায়তা দেওয়ার অভিযোগে আটক বিশ্ববিদ্যালয়টির সাবেক ৫ শিক্ষার্থীসহ অজ্ঞাতনামা ১৫০ জনের বিরুদ্ধে একটি মামলা দায়ের হয়েছে।

সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের অতিরিক্ত উপকমিশনার (গণমাধ্যম) বিএম আশরাফ উল্যাহ তাহের দ্য ডেইলি স্টারকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

তিনি বলেন, 'আজ (মঙ্গলবার) রাতে জালালাবাদ থানায় মামলাটি দায়ের করেন সিলেট নগরীর আম্বরখানার বাসিন্দা সুজাত আহমেদ লায়েক। মামলায় আটক ৫ জনের নামোল্লেখ করে অজ্ঞাতনামা আরও ১৫০ জনকে আসামি করা হয়েছে।'

মামলার অভিযোগের বিষয়ে বিস্তারিত পরে জানানো হবে বলে জানান তিনি।

গতকাল সন্ধ্যা থেকে রাতের মধ্যে ঢাকার বিভিন্ন স্থান থেকে শাবিপ্রবির সাবেক ৫ শিক্ষার্থীকে আটক করে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ।

তারা হলেন- হাবিবুর রহমান খান (২৬), রেজা নুর মুইন (৩১), এ এফ এম নাজমুল সাকিব (৩২), একেএম মারুফ হোসেন (২৭) ও ফয়সাল আহমেদ (২৭)।

পরে আজ তাদেরকে সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়।

আজ সন্ধ্যায় দ্য ডেইলি স্টারকে সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের কমিশনার মো. নিশারুল আরিফ বলেন, 'সাবেক ৫ শিক্ষার্থীকে আটকের মূল কারণ তারা অপরাধমূলক ষড়যন্ত্রের সঙ্গে জড়িত হয়েছিলেন অর্থের জোগানদাতা হিসেবে এবং শান্তিপূর্ণ আন্দোলনকে উস্কানি দিয়ে অশান্ত করা এবং অন্যদিকে প্রবাহিত করা।'

তিনি বলেন, 'ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের আদেশে ঢাকায় অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি) তাদের আটক করে পরে সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের কাছে হস্তান্তর করেছে। তাদের বর্তমানে জালালাবাদ থানায় জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।'

এসএমপি কমিশনার আরও বলেন, 'অর্থের জোগানদাতা হিসেবে তাদের উদ্দেশ্য কী তাও তদন্তে আসবে। যেমন জঙ্গিদের অর্থ জোগানদাতা আছে, আর এই অর্থ দিয়ে জঙ্গিরা কেবলমাত্র খাবার খায় না, বরং এটা দিয়ে বোমা বানায় বা কিনে। অর্থাৎ তাদের উদ্দেশ্য কী তা আসবে তদন্তে।'

Comments

The Daily Star  | English

Displaced bearing pad disrupted metro rail service: DMTCL official

Both local and Japanese workers and engineers were seen working to lift the pad back onto the pier

1h ago