দেশের শিক্ষাব্যবস্থা বাণিজ্যের হাতে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে: আনু মুহাম্মদ

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক আনু মুহাম্মদ বলেছেন, দেশের শিক্ষাব্যবস্থা বাণিজ্যের হাতে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে৷ পণ্যের মতো যার টাকা আছে, সে কিনে নিচ্ছে৷ আর যার অর্থ নেই, সে বঞ্চিত হচ্ছে৷ শিক্ষাকে বাণিজ্যের হাত থেকে বাঁচাতে হলে রাষ্ট্রের হাতে এর নিয়ন্ত্রণ নিতে হবে৷
ছবি: স্টার 

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক আনু মুহাম্মদ বলেছেন, দেশের শিক্ষাব্যবস্থা বাণিজ্যের হাতে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে৷ পণ্যের মতো যার টাকা আছে, সে কিনে নিচ্ছে৷ আর যার অর্থ নেই, সে বঞ্চিত হচ্ছে৷ শিক্ষাকে বাণিজ্যের হাত থেকে বাঁচাতে হলে রাষ্ট্রের হাতে এর নিয়ন্ত্রণ নিতে হবে৷
আজ ১৭ সেপ্টেম্বর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে মহান শিক্ষা দিবস উপলক্ষে সমাজতান্ত্রিক ছাত্রফ্রন্টের আয়োজিত ছাত্র সমাবেশে এসব কথা বলেন তিনি৷ 
তিনি আরও বলেন, 'সব নাগরিকের সন্তানদের শিক্ষা নিশ্চিত করতে হবে। এটা রাষ্ট্রের দায়িত্ব যাতে সবাই মানসম্মত এবং সমান শিক্ষা পায়৷ শিক্ষাখাতে বরাদ্দ আরও বাড়াতে হবে৷ শিক্ষা সম্পর্কিত সব সিদ্ধান্তে আলোচনা এবং পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে চূড়ান্ত নীতিমালা তৈরি করতে হবে৷ বৈষম্যমূলক শিক্ষা দূর করতে সরকারকে উদ্যোগী হতে হবে৷' 
বাংলাদেশের নাগরিকরা যাতে বিশ্বে প্রতিযোগিতা এবং নেতৃত্ব দেওয়ার যোগ্যতা অর্জন করতে পরে সে অনুযায়ী শিক্ষা ব্যবস্থা গড়ে তোলার অনুরোধ জানান তিনি৷ 

ছবি: স্টার

সমাজতান্ত্রিক ছাত্রফ্রন্টের কর্মসূচিটি সঞ্চালনা করেন সংগঠনটির সাধারণ সম্পাদক নাসির উদ্দিন প্রিন্স এবং সভাপতিত্ব করেন আল কাদেরী জয়।
এদিকে বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়নের উদ্যোগে ঢাবি ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্রে (টিএসসি)-তে আরেকটি কর্মসূচির আয়োজন করা হয়৷ এ কর্মসূচিতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক এম এম আকাশ বলেন, 'এখন জাতীয় সংসদে ৫০ শতাংশ সংসদ সদস্য হলো ব্যবসায়ী৷ ব্যবসায়ীরা শিক্ষাকে পণ্য হিসেবেই দেখবে৷ আজকের শিক্ষায় মুনাফা লাভের উদ্দেশ্যে বিনিয়োগ করা হচ্ছে৷ এর ফলে শিক্ষায় বৈষম্য বেড়েছে৷ পার্লামেন্টকে ব্যবসায়ীমুক্ত করতে পারলে ব্যবসা মুক্ত শিক্ষা পাওয়া যাবে৷' 
সমাবেশে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের অধ্যাপক ড. কাবেরী গায়েন বলেন, 'সর্বশেষ যে শিক্ষানীতি হয়েছে সেখানে টাকা দিয়ে শিক্ষাকে কীভাবে কেনা যায় সেটি প্রাধান্য পেয়েছে৷ করোনার সময়ে শিক্ষার বৈষম্য প্রকট হয়েছে৷ এ সময়ে প্রচুর শিক্ষার্থী ঝরে পড়েছে৷ মেয়েদের বাল্য বিবাহ হয়েছে৷ করোনার সময়ে অন্যান্য বানিজ্যিক খাতে প্রণোদনা আসলেও শিক্ষাখাতে সরকার কোনো বরাদ্দ দেয়নি৷' 
তিনি আরও বলেন, 'ঝরে পড়া শিক্ষার্থীদের ফিরিয়ে আনতে এবং শিক্ষায় বৈষম্য দূর করতে রাষ্ট্র কী ভূমিকা পালন করবে?' 
শিক্ষার গুণগত মান বৃদ্ধি করতে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানান তিনি৷
ছাত্র ইউনিয়নের কর্মসূচিটি সঞ্চালনা করেন সংগঠনটির সাধারণ সম্পাদক দীপক শীল এবং সভাপতিত্ব করেন সভাপতি ফয়েজ উল্লাহ৷ 

 

Comments

The Daily Star  | English
Are schools open? Simple issue unnecessarily complicated

Are schools open? Simple issue unnecessarily complicated

Are the secondary schools and colleges open today? It is very likely that no one can answer this seemingly simple question with certainty.

1h ago