নদীতে বিলীন স্কুল ভবন, খোলা আকাশের নিচে পাঠদান

খোলা আকাশের নিচে ক্লাস করছে চর সিলিমপুর স্কুলের শিক্ষার্থীরা। ছবি: স্টার

রাজবাড়ী সদর উপজেলার চর সিলিমপুর স্কুলের ভবনটি সম্প্রতি নদী ভাঙনের কবলে পড়ে বিলীন হয়ে গেছে। এতে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানটির ১০৮ শিক্ষার্থী খোলা আকাশের নিচে ক্লাস করছেন।

বিদ্যালয়টি চতুর্থ শ্রেণির শিক্ষার্থী রোমানা আক্তার দ্য ডেইলি স্টারকে বলে, 'আমার শ্রেণিকক্ষে ক্লাস করতে মন চায়।'

আজ রোববার সকালে সরেজমিনে দেখা যায়, খোলা আকাশের নিচে পঞ্চম শ্রেণির এক শিক্ষার্থী বসে আছে ক্লাসের আশায়।

খোলা আকাশের নিচে ক্লাস নেওয়ার বিষয়ে স্কুলের প্রধান শিক্ষক ঈমান আলী জানান, স্কুলটি ভেঙে যাওয়ার কারণে শিশুদের পাঠদানের কোনো সুযোগ নেই। কিছু আসবাবপত্র আমরা রক্ষা করেছি। টিনের যে ঘর ছিল সেটা ভেঙে স্থানীয় একজন বাসিন্দা জমি দিয়েছেন, সেখানে ঘর বানানোর প্রস্তুতি নিচ্ছি।

ভাঙনের কবল থেকে রক্ষা পাওয়া চর সিলিমপুর স্কুলের কিছু আসবাবপত্র। ছবি: স্টার

সরকারের কাছ থেকে কোনো সহায়তা পাননি বলে দাবি করেন প্রধান শিক্ষক।

এ বিষয়ে জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার হোসনে ইয়াসমিন করিমী বলেন, 'আমরা বিদ্যালয় ভবনের নদীতে বিলীন হওয়ার বিষয়টি জেনেছি। শিক্ষার্থীদের যেন ক্ষতি না হয় সেজন্য কারো বাড়িতে বা অন্য কোনোভাবে ক্লাস নেওয়ার ব্যবস্থা করতে বলেছি।'

সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ফাওমি মো. সায়েম হলে দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'বিষয়টি আমরা পর্যবেক্ষণের রেখেছি। আমরা নতুনভাবে স্কুল করার বিষয়ে চিন্তা করছি।'

সরেজমিনে দেখা যায়, রাজবাড়ী সদর উপজেলাতে অতি ঝুঁকির মধ্য আছে আরও কয়েকটি বিদ্যালয়। এর মধ্যে অন্যতম চরধুনচী, মহাদেবপুর প্রাথমিক বিদ্যালয়, বেলায়েদ হোসেন প্রাথমিক বিদ্যালয়।

ভাঙন ঝুঁকিতে আছে মহাদেবপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়। ছবি: স্টার

নাম প্রকাশ না করার শর্তে মিজানপুর ইউনিয়নের একজন বাসিন্দা জানান, সরকার কোনো ঘটনা ঘটলে চিন্তা করে। ঘটনার আগে চিন্তা করলে এসব ঘটত না। যে স্কুলগুলো ঝুঁকিতে আছে সেগুলোর ব্যাপারে দ্রুত সিদ্ধান্ত না নেওয়া হলে বড় ধরনের ক্ষতি হয়ে যেতে পারে।

অতিরিক্ত ঝুঁকির মধ্যে যেসব স্কুল আছে সেগুলো রক্ষায় কোনো সিদ্ধান্ত হয়েছে কিনা এমন প্রশ্নে নির্বাহী কর্মকর্তা বলেন, 'স্কুল কর্তৃপক্ষ লিখিত অভিযোগ দিলে আমরা ব্যবস্থা নেব।'

Comments

The Daily Star  | English

Aid allocation to be trimmed in next budget

The plan comes as $42.85b foreign funds remained unused at start of current FY

15h ago