আখাউড়ায় হাওড়া নদীর বাঁধ ভেঙে ৮ গ্রাম প্লাবিত

ভারী বৃষ্টি ও উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলের তোড়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া উপজেলায় হাওড়া নদীর বাঁধ ভেঙ্গে গেছে। এতে প্লাবিত হয়েছে ২ ইউনিয়নের অন্তত ৮টি গ্রামের বিস্তীর্ণ এলাকা।
সীমান্তবর্তী মনিয়ন্দ ইউনিয়নের কর্নেল বাজার সংলগ্ন আইড়ল এলাকায় ভেঙে যাওয়া বাঁধ। ছবি: সংগৃহীত

ভারী বৃষ্টি ও উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলের তোড়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া উপজেলায় হাওড়া নদীর বাঁধ ভেঙ্গে গেছে। এতে প্লাবিত হয়েছে ২ ইউনিয়নের অন্তত ৮টি গ্রামের বিস্তীর্ণ এলাকা।

আখাউড়ার মনিয়ন্দ ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান মাহবুবুল আলম চৌধুরী দীপক জানান, আজ শনিবার ভোরে সীমান্তবর্তী এই ইউনিয়নের কর্নেল বাজার সংলগ্ন আইড়ল এলাকায় হাওড়া নদীর বাঁধ ভেঙে যায়।

তিনি বলেন, 'পানির প্রবল তোড়ে বাঁধ সংলগ্ন সড়কও ভেসে গেছে। পার্শ্ববর্তী মোগড়া ইউনিয়নের নিলাখাদ গ্রামসহ মনিয়ন্দ ইউনিয়নের আইড়ল, ইটনা, খারকুট, বড় লৌহঘর, ছোট লৌহঘর ও বড় গাঙ্গাইল গ্রামের বিস্তীর্ণ এলাকা প্লাবিত হয়েছে। এতে গ্রামগুলোতে থাকা অনেক পুকুরের মাছ ভেসে যাওয়ায় মৎস্য চাষীরা ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন।'

পাশাপাশি লোকালয়ে পানি ঢুকে পড়ায় বিপাকে পড়েছেন সীমান্তবর্তী এসব গ্রামের বাসিন্দারা। তারা বলছেন, দ্রুত ভেঙে যাওয়া বাঁধটি মেরামত করতে না পারলে আরও অনেক এলাকা প্লাবিত হওয়ার আশঙ্কা তৈরি হয়েছে।  

বাঁধ ভাঙার খবর পেয়ে আজ সকালে আখাউড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা  (ইউএনও) অংগ্যজাই মারমা ও ইউপি চেয়ারম্যান দীপক ভাঙন এলাকাসহ পানিতে তলিয়ে যাওয়া গ্রামগুলো পরিদর্শন করেন।

ইউএনও অংগ্যজাই মারমা বলেন, 'বন্যা পরিস্থিতি মোকাবিলায় উপজেলা প্রশাসন ইতোমধ্যে প্রস্তুতি নিয়েছে। স্থানীয় পানি উন্নয়ন বোর্ডের প্রকৌশলীরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। তাৎক্ষণিকভাবে কী ব্যবস্থা নেওয়া যেতে পারে, তারা সেটি খতিয়ে দেখছেন।'

এদিকে ভারী বর্ষণের কারণে আখাউড়া দক্ষিণ ইউনিয়নের কালিকাপুর ও আবদুল্লাহপুর গ্রামের প্রায় ৯০টি পরিবার পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। এমন পরিস্থিতি কয়েকটি পরিবার স্থানীয় একটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে আশ্রয় নিয়েছে।

Comments