টাঙ্গাইলে যমুনা, ধলেশ্বরী ও ঝিনাই নদীর পানি বৃদ্ধি, শতাধিক গ্রাম প্লাবিত
টাঙ্গাইলে যমুনা ও এর শাখা ধলেশ্বরী এবং ঝিনাই নদীর পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকায় জেলার ৬ উপজেলার চরাঞ্চল এবং নদী তীরবর্তী শতাধিক গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন প্রায় ৫০ হাজার মানুষ। উপদ্রুত এলাকায় ফসলের মাঠ এবং নলকূপ তলিয়ে যাওয়ায় গোখাদ্য এবং বিশুদ্ধ পানির সংকট দেখা দিয়েছে। বন্যাদুর্গত এলাকায় এখনো কোনো ত্রাণ সহায়তা পৌঁছেনি।
টাঙ্গাইল পানি উন্নয়ন বোর্ড সূত্রে জানা গেছে, গত ২৪ ঘণ্টায় যমুনা নদীর পানি পোড়াবাড়ী পয়েন্টে ১৫ সেন্টিমিটার বৃদ্ধি পেয়ে বিপদসীমার ৪৭ সেন্টিমিটার, ঝিনাই নদীর পানি জোকারচর পয়েন্টে ১৫ সেন্টিমিটার বৃদ্ধি পেয়ে বিপদসীমার ৫৪ সেন্টিমিটার এবং ধলেশ্বরী নদীর পানি এলাসিন পয়েন্টে ১৬ সেন্টিমিটার বৃদ্ধি পেয়ে বিপদসীমার ১২ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
সোমবার বিকেলে যমুনার পানির স্রোতে ভূঞাপুর উপজেলার গোবিন্দাসী-ভালকুটিয়া সড়ক ভেঙে যাওয়ায় ৬ গ্রামে যোগাযোগ ব্যবস্থা বন্ধ হয়ে গেছে। একই দিন পানির তোড়ে বাসাইল উপজেলার বাসাইল-নাটিয়াপাড়া সড়কের একটি কাঠের সেতু ভেঙে এই এলাকার সড়ক যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে।
ভূঞাপুর উপজেলার গোবিন্দাসী ইউনিয়নের কষ্টাপাড়া গ্রামের বাসিন্দা অভিজিত ঘোষ দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'সোমবার সকালে হুট করেই যমুনা নদীর পানি পাড় উপচে লোকালয়ে প্রবেশ করেছে। ঘরবাড়ি ও আশপাশে পানি প্রবেশ করায় গবাদি পশু নিয়ে বিপাকে রয়েছেন খামারিরা। দেখা দিচ্ছে গোখাদ্যের অভাব। এখন পর্যন্ত কোনো সহায়তা নিয়ে কেউ আসেনি।'
এদিকে, নদীতে পানি বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে অব্যাহত রয়েছে নদী ভাঙন। ভাঙন আতঙ্কে রয়েছেন জেলার কয়েকটি উপজেলার নদী তীরবর্তী মানুষ।
টাঙ্গাইলের জেলা প্রশাসক ড. মো. আতাউল গণি ডেইলি স্টারকে বলেন, 'জেলায় কয়েকটি উপজেলায় বন্যার পানি বাড়ছে। বন্যার্তদের জন্য শুকনো খাবারসহ ত্রাণ সহায়তা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। বন্যাকে কেন্দ্র করে মেডিকেল টিম গঠন করা হয়েছে। ভাঙনরোধ ও বন্যা মোকাবিলায় পানি উন্নয়ন বোর্ডকে বলা হয়েছে। এ ছাড়া, বন্যা কবলিত এলাকায় গবাদি পশু চুরি বা ডাকাতি যাতে না হয় সেজন্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে পুলিশ প্রশাসনকে অহ্বান জানানো হয়েছে।'
Comments