তিস্তা ভাঙছেই

ভাঙছে নদী গড়ছে চর। ভূমিহীন গৃহহীন ও নিঃস্ব হচ্ছেন মানুষ। এভাবে চলছে তিস্তাপাড়ের জীবন। লালমনিরহাটে বেশ কয়েকটি স্থানে তিস্তায় ভাঙন চলছে। অনেকের ভিটামাটি, আবাদি জমি ও ফলের বাগান চলে গেছে নদীগর্ভে।
এ ছাড়াও, তিস্তায় ভাঙন আতঙ্কে রয়েছে কয়েক হাজার পরিবার। অনেকে ঘরবাড়ি সরিয়ে নিয়ে চলে যাচ্ছেন নিরাপদ স্থানে। পাশাপাশি তিস্তাপাড়ে চলছে বেঁচে থাকার শেষ অবলম্বন হারানোর কান্না।
সরেজমিনে দেখা গেছে— লালমনিরহাট সদর উপজেলার চর গোকুন্ডা, গোকুন্ডা, বগুড়াপাড়া, খুনিয়াগাছ, চর খারুয়া, কুরুল, আদিতমারী উপজেলার কুটিরপাড়, গোবর্ধন, দক্ষিণ বালাপাড়া, কালীগঞ্জ উপজেলার চর শোলমারী, ভোটমারী, হাতীবান্ধা উপজেলার সিন্দুর্না, ডাউয়াবাড়ী ও পাটগ্রাম উপজেলার দহগ্রামে চলছে ভাঙন।
স্থানীয়রা দ্য ডেইলি স্টারকে জানিয়েছেন, এ বছর এখনো তেমন বন্যা পরিস্থিতি দেখা না দিলেও বিভিন্নস্থানে তিস্তায় ভাঙন দেখা দিয়েছে। কোথাও কোথাও ভাঙন পরিস্থিতি তীব্র হয়েছে। নদীগর্ভে চলে যাচ্ছে বসতভিটা, আবাদি জমি ও ফলের বাগান।
লালমনিরহাট সদর উপজেলার চর গোকুন্ডার ভাঙন-কবলিত কৃষক সেকেন্দার আলী (৬০) ডেইলি স্টারকে বলেন, 'ভাঙন আতঙ্কে দিন কাটছে তিস্তাপাড়ের কয়েক হাজার পরিবারের। অনেকে ভাঙনের কবল থেকে রক্ষা পেতে ঘরবাড়ি নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নিচ্ছেন। অনেকে আশ্রয় নিচ্ছেন আত্মীয়স্বজনের জমিতে, অনেকে সরকারি রাস্তার উপর। দারিদ্রসীমার নিচে চলে যাচ্ছে তাদের জীবন।
আদিতমারী উপজেলার দক্ষিণ বালাপাড়া গ্রামের ভাঙন-কবলিত মকবুল হোসেন (৬৫) ডেইলি স্টারকে বলেন, 'তিস্তায় ভাঙনের কারণে বসতভিটা হারানো পরিবারের সংখ্যা দিনদিন বাড়ছে। ভাঙন ঠেকাতে পানি উন্নয়ন বোর্ডের তেমন কোনো উদ্যোগ চোখে পড়ছে না।'
'বেশি ভাঙন-কবলিত স্থানে জিও ব্যাগ ফেলে ভাঙন ঠেকানোর কাজ চলছে' উল্লেখ করে লালমনিরহাট পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মিজানুর রহমান ডেইলি স্টারকে বলেন, 'আমরা ভাঙন-কবলিত স্থানগুলো পরিদর্শন করে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে বিষয়টি জানিয়েছি। বরাদ্দ পেলে ভাঙন ঠেকানোর কাজ করা হবে।
Comments