সিলেট-সুনামগঞ্জ: ত্রাণ মজুত থাকলেও পৌঁছাচ্ছে না ভুক্তভোগীদের কাছে

ছবি: মাইনুল ইসলাম শাওন

সিলেট-সুনামগঞ্জে বন্যা পরিস্থিতি আজ সোমবারও প্রায় অপরিবর্তিত আছে। আশ্রয়কেন্দ্রে অবস্থানরত মানুষের অনেকেই দিন কাটাচ্ছেন অর্ধাহার বা অনাহারে। সিলেট-সুনামগঞ্জে বিস্তীর্ণ এলাকার বন্যাদুর্গতদের জন্য ত্রাণের পর্যাপ্ত মজুত থাকলেও প্রতিকূল পরিস্থিতির কারণে তা ভুক্তভোগীদের কাছে পৌঁছানো সম্ভব হচ্ছে না বলে দাবি করেছে স্থানীয় প্রশাসন।

বন্যা পূর্বাভাস কেন্দ্রের তথ্য অনুসারে, সিলেট ও সুনামগঞ্জে সব জেলাই এখন প্লাবিত। দেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের সবকটি প্রধান নদীর পানি এখনো বিপৎসীমার ওপর দিয়েই প্রবাহিত হচ্ছে।

স্থানীয় প্রশাসন বলছে, বন্যার্তদের মাঝে ত্রাণ সহায়তা পৌঁছে দেওয়াটাই বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে। বন্যা পরিস্থিতির কারণে এখনো অনেকের কাছে সহায়তা পৌঁছে দেওয়া যায়নি। পাশাপাশি আশ্রয়কেন্দ্রে যারা আছে, তাদের জন্য রান্না করা খাবারের জোগান দেওয়াটাও বেশ কঠিন হয়ে পড়েছে।

সিলেট জেলার ৪৯৭ আশ্রয়কেন্দ্রে ২ লাখ ৩০ হাজার ৬৩২ জন মানুষ আশ্রয় নিয়েছেন। গতকাল সন্ধ্যা পর্যন্ত সেখানে বিতরণ করা হয়েছে ৬১২ টন চাল, ৭ হাজার ৯০০ প্যাকেট শুকনো খাবার ও নগদ ৩৫ লাখ ৪০ হাজার টাকা।

গাড়ি দেখলেই ত্রাণের আশায় ছুটে আসছেন বন্যার্তরা। ছবি: স্টার

সুনামগঞ্জে ২২০ আশ্রয়কেন্দ্রে ৭০ হাজার মানুষ আশ্রয় নিয়েছেন। সেখানে গতকাল সন্ধ্যা পর্যন্ত ৪৫০ টন চাল, ৫ হাজার প্যাকেট শুকনো খাবার ও ৩০ লাখ নগদ সহায়তা বিতরণ করা হয়েছে। গতকাল পর্যন্ত সেখানে মোট ৩০ হাজার মানুষের জন্য খিচুরি রান্না করা হয়েছে।

সিলেটের অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার দেবজিৎ সিংহ দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'আমাদের কাছে যে পরিমাণ সহায়তা আছে, সেটা বন্যার্তদের মাঝে পৌঁছে দেওয়াটাই বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে। সেনাবাহিনী ও নৌবাহিনী মাঠপর্যায়ে কাজ করছে। কিন্তু, বন্যা পরিস্থিতির কারণে সহায়তা অনেকের কাছেই এখনো পৌঁছে দেওয়া যায়নি।'

'ত্রাণ সহায়তার জন্য প্রয়োজনীয় বরাদ্দ আমাদের আছে। যেকোনো মুহূর্তে চাইলে নতুন করে সহায়তা পাঠানোও হবে। কিন্তু, যা আছে, সেগুলোই তো আমরা এখনো মানুষের হাতে পৌঁছে দিতে পারছি না। অনেক দুর্গম জায়গা আছে, যেখানে পৌঁছানোই মুশকিল হয়ে পড়েছে। তবে, আজ পানি কিছুটা কমায় চেষ্টা চলছে। পাশাপাশি আশ্রয়কেন্দ্রে যারা আছেন, তাদের জন্য রান্না করা খাবারের জোগান দেওয়াটা বেশ মুশকিল হয়ে পড়েছে', বলেন তিনি।

Comments

The Daily Star  | English
rickshaws banned on Dhaka's main roads

Rickshaws no longer allowed on main roads: DNCC

More than 100 illegal battery-powered rickshaws were seized during the joint operation

43m ago