ট্যানারির দূষণে ধলেশ্বরীর জীববৈচিত্র্য ধ্বংস হয়ে গেছে

সংসদীয় কমিটিকে পরিবেশ অধিদপ্তর
সাভার ট্যানারি ইন্ডাস্ট্রিয়াল এস্টেটের বর্জ্যের পানি এসে পড়ছে ধলেশ্বরী নদীতে। স্টার ফাইল ফটো

ধলেশ্বরী নদীর বর্তমান অবস্থা নিয়ে সংসদীয় কমিটির কাছে একটি পরিসংখ্যান উপস্থাপন করেছে পরিবেশ অধিদপ্তর। এতে বলা হয়েছে, সাভার ট্যানারি ইন্ডাস্ট্রিয়াল এস্টেটের বর্জ্যের দূষণে নদীর জলজ জীবন এবং জীববৈচিত্র্য ধ্বংস হয়ে গেছে।

পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির বৈঠকে পরিবেশ অধিদপ্তর বলেছে, ধলেশ্বরী নদীর অক্সিজেনের ন্যূনতম মাত্রা প্রতি লিটারে ২০০ মিলিগ্রাম থাকা উচিত। কিন্তু, এই নদীর পানিতে অক্সিজেনের মাত্রা অনুমোদিত সীমার চেয়ে ২ থেকে ৩ গুণ কম।

আজ রোববার জাতীয় সংসদে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য সাবের হোসেন চৌধুরীর সভাপতিত্বে এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।

বৈঠক শেষ সাবের হোসেন চৌধুরী বলেন, শুধু অক্সিজেনের মাত্রা নয়, ধলেশ্বরী নদীতে ধাতব ক্রোমিয়ামের পরিমাণও অনুমোদিত মাত্রার চেয়ে অনেক বেশি।

পরিবেশ অধিদপ্তরের পরিসংখ্যান তুলে ধরে সাবের হোসেন জানান, পানিতে ক্রোমিয়ামের অনুমোদিত মাত্রা প্রতি লিটারে ২ মিলিগ্রাম। কিন্তু, ধলেশ্বরী নদীতে ক্রোমিয়ামের পরিমাণ প্রতি লিটারে ৫ থেকে ৭ মিলিগ্রাম।

তিনি আরও জানান, সাভার ট্যানারি ইন্ডাস্ট্রিয়াল এস্টেটের কারণে সৃষ্ট দূষণের কারণে এসব হচ্ছে। এই লাগামহীন দূষণের কারণে, ধলেশ্বরী নদীর মৎস্য ও জীববৈচিত্র্য ধ্বংস হয়ে গেছে এবং যদি দূষণ অব্যাহত থাকে তাহলে বুড়িগঙ্গার ভবিষ্যৎ আরও ভয়াবহ হবে।

সাবের হোসেন জানান, জুলাই মাসে ধলেশ্বরী নদীর জল নিয়ে গবেষণার পর পরিবেশ অধিদপ্তর এই পরিসংখ্যান প্রস্তুত করে।

সংসদীয় কমিটি বৈঠকে ট্যানারি শিল্পের সব শিল্প ইউনিটকে কেন্দ্রীয় বর্জ্য শোধনাগারের আওতায় আনার ব্যবস্থা গ্রহণে শিল্প মন্ত্রণালয়কে ৩ থেকে ৬ মাস সময় দিয়েছে।

Comments

The Daily Star  | English

Can't afford another lost decade for education

Whenever the issue of education surfaces in Bangladesh, policymakers across the political spectrum tend to strike a familiar chord. "Education is our top priority," they harp

2h ago