পরিবেশ
ফৌজদারহাট-বায়েজিদ বোস্তামী সংযোগ সড়ক

ধস ঠেকাতে ‘ঝুঁকিপূর্ণ’ পাহাড় কাটতে চায় প্রশাসন

ঢাকা ট্রাংক রোডের ফৌজদারহাট অংশ থেকে চট্টগ্রাম নগরীর বায়েজিদ বোস্তামী পর্যন্ত সংযোগ সড়ক ঝুঁকিমুক্ত করতে পাহাড় কাটতে চায় ব্যবস্থাপনা কমিটি।
byzid.jpg
ছবি: রাজীব রায়হান/স্টার

ঢাকা ট্রাংক রোডের ফৌজদারহাট অংশ থেকে চট্টগ্রাম নগরীর বায়েজিদ বোস্তামী পর্যন্ত সংযোগ সড়ক ঝুঁকিমুক্ত করতে পাহাড় কাটতে চায় ব্যবস্থাপনা কমিটি।

প্রায় ৬ কিলোমিটার দীর্ঘ এই সড়ক নির্মাণে দুপাশে ৯০ ডিগ্রি খাড়া করে পাহাড় কাটে চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (সিডিএ)। এভাবে পাহাড় কাটায় যে কোনো সময় ধসে পড়ার ঝুঁকি তৈরি হয়েছে।

আজ রোববার চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিশনার মো. আশরাফ উদ্দিন নতুন করে পাহাড় কাটার বিষয়ে একটি বিশেষজ্ঞ কমিটি গঠন করার প্রস্তাব দেন।

এদিন দুপুর সাড়ে ৩টায় চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিশনারের কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে পাহাড় ব্যবস্থাপনা কমিটির ২৩তম সভা শুরু হয়।

আশরাফ উদ্দিন বলেন, পরিবেশ মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে এ বিষয়ে কথা হয়েছে। আমরা একমত, এমন ব্যবস্থা করা দরকার যেন কোনো ধরনের দুর্ঘটনা বা মাটি ধসে মানুষের মৃত্যু না হয়।

এর আগে অনুমোদনের তুলনায় ৬৯ হাজার ২১৯ দশমিক ৭২০ ঘন ফুট বেশি পাহাড় কাটার প্রমাণ পেয়েছিল অধিদপ্তরের মনিটরিং অ্যান্ড এনফোর্সমেন্ট বিভাগ। পাশাপাশি হিল কাটিং ম্যানেজমেন্ট প্ল্যানের নির্দেশনা না মেনে ৯০ ডিগ্রি অ্যাঙ্গেলে খাড়া করে পাহাড় কাটার প্রমাণ মেলে। এ জন্য গত বছরের ২৯ জানুয়ারি পরিবেশ অধিদপ্তরের প্রধান কার্যালয়ে শুনানি শেষে সিডিএকে ১০ কোটি ৩৮ লাখ ২৯ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।

আশরাফ উদ্দিন আরও বলেন, আমার মনে হয়, যথাযথভাবে কাটা হয়নি। যদিও এই পাহাড় কাটা নিয়ে পরিবেশ অধিদপ্তর জরিমানা করেছে। কিন্তু ১০ কোটি টাকা জরিমানা করার পরও পাহাড়গুলো এত খাড়া কেন, এটা তো সোজা হওয়ার কথা, ঠিকঠাক হওয়ার কথা ছিল।

গত বছর খাড়া পাহাড় ধসে পড়ার ঝুঁকি কমাতে এই সড়কের দুপাশের পাহাড়গুলো থেকে আরও ২ লাখ ঘন ফুট পাহাড় কাটার প্রস্তাব পরিবেশ অধিদপ্তরে জমা দিয়েছিল সিডিএ। এর মধ্যে পাহাড় ব্যবস্থাপনা কমিটিও এসব পাহাড় কাটার কথা বলছে।

বিভাগীয় কমিশনার বলেন, পাহাড় কর্তন বা যে কোনো চেঞ্জ করতে হলে প্রধানমন্ত্রীর অনুমোদন লাগে, এটা অথরিটি হচ্ছেন আইন মোতাবেক প্রধানমন্ত্রী। পরিবেশ মন্ত্রণালয়ের সচিব যেহেতু অবগত, তাই এই বিষয়ে বিশেষজ্ঞ কমিটি আমরা গঠন করবো। তারা নির্ধারণ করবে কতটুকু পাহাড় কাটতে হবে।

আজকের সভায় সিডিএ প্রতিনিধি অনুপস্থিত থাকায় তাৎক্ষণিক কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়া সম্ভব হয়নি।

২০১৬ সালের জুন মাসে ১৭২ কোটি ৪৯ লাখ টাকার এই লিংক রোড প্রকল্পের উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। শুরুতে ২ লেনের সড়ক করার কথা থাকলেও ২০১৬ সালের অক্টোবরে সড়কটি ৪ লেনে উন্নীত করার সিদ্ধান্ত হয়। এতে খরচ বেড়ে দাঁড়ায় ৩২০ কোটি টাকা।

পুরো কাজ শেষ না হলেও ৩৩২ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মাণাধীন লিংক রোডটির বায়েজিদমুখী অংশ পণ্যবাহী যান চলাচলের জন্য খুলে দেওয়া হয়েছে। বন্ধ অংশে ব্যক্তিগত গাড়ি চলাচল করে।

Comments

The Daily Star  | English

PUST postpones Turkey lift-inspection tour

The Pabna University of Science and Technology (PUST) today postponed a tour of Turkey, which was set to be undertaken by a six-member team to inspect lifts, after the president told the university to do so

3h ago