গ্রামে কুমির আতঙ্কে!

ফরিদপুরের কুমিরের আতঙ্কে আছেন একটি গ্রামের লোকজন।
রোববার সকালে ফরিদপুর সদরের নর্থ চ্যানেল ইউনিয়নের ৩৮ দাগ এলাকায় সালাম খাঁর ডাঙ্গী গ্রামে একটি জলাশয়ে কুমির দেখতে পাওয়ার কথা জানান গ্রামবাসী। পরে স্থানীয় মসজিদের মাইকে ঘোষণা দিয়ে জলাশয়টিতে নামতে নিষেধ করা হয়।
ওই গ্রামে প্রায় ৩০০ ফুট দীর্ঘ ও ২০০ ফুট প্রস্থের একটি জলাশয় আছে। সেখানেই কুমিরটি এসে আস্তানা গেড়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, রোববার সালাম খাঁর ডাঙ্গী গ্রামের জেলে হজরত মিয়া পদ্মা নদী থেকে প্রায় চার কেজি ওজনের একটি বোয়াল মাছ শিকার করেন। মাছটি তাজা রাখতে মুখে দড়ি বেঁধে জলাশয়ের রাখেন। মাছটি তুলে আনতে কিছুক্ষণ পর পর দড়ি ধরে টান দিলে তিনি কুমিরটি দেখতে পান।
এলাকাবাসী জানায়, পদ্মা নদী থেকে একটি সরু চ্যানেল ওই জলাশয়ের কাছে গেছে। এর মধ্যে নদীতে পানি কমে যাওয়ায় চ্যানেলের পানি শুকিয়ে যায়।
এলাকাবাসী বলেন, ধারণা করা হচ্ছে কোন মাছ তাড়া করতে করতে কুমিরটি এই জলাশয়ে এসে আটকা পড়েছে।
কুমিরের কথা প্রচার হওয়ার পর ওই এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। স্থানীয় মসজিদের মাইকে ঘোষণা দিয়ে এলাকাবাসীকে সতর্ক থাকতে বলা হয়।
নর্থ চ্যানেল ইউনিয়ন পরিষদের ইউপি চেয়ারম্যান মো. মোস্তাকুজ্জামান দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, কুমিরটির দৈর্ঘ্য আনুমানিক পাঁচ ফুট। কুমিরটি দেখা যাওয়ার পর থেকে এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে। এ ব্যাপারে বন বিভাগকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে অনুরোধ করা হয়েছে।
ফরিদপুর সদরের বন বিভাগের রেঞ্জ কর্মকর্তা মো. সাইদুর রহমান দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, রোববার আমি ঘটনাস্থলে গিয়েছিলাম। কুমিরটি যেখানে আছে সেখানে পানির গভীরতা ১৫ থেকে ২০ ফুট। ওই জলাশয় থেকে কুমিরটি ধরা কষ্টসাধ্য। যে চ্যানেল দিয়ে কুমির সেখানে ঢুকেছে সেই চ্যানেলের মুখে হাঁস-মুরগি বেঁধে রেখে কুমিরটিকে প্রলুব্ধ করে বের করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এভাবে দুই তিন দিন দেখা হবে। এভাবে সফল না হলে খুলনায় বন্যপ্রাণী ও প্রকৃতি সংরক্ষণ বিভাগে খবর দেওয়া হবে যাতে তারা কুমিরটিকে উদ্ধার করে বড় কোনো নদীতে ছেড়ে দেয়।
Comments