বিদ্যুৎ সংকট খুব বেশি দিন থাকবে না: নসরুল হামিদ

কয়লাভিত্তিক তিন বিদ্যুৎকেন্দ্র—পায়রার দ্বিতীয় ইউনিট, রামপাল ও ভারতের গোড্ডা থেকে আমদানিকৃত বিদ্যুৎ এ বছরের মধ্যে জাতীয় গ্রিডে যুক্ত হবে উল্লেখ করে বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বলেছেন, 'আশা করি এই পরিস্থিতি খুব বেশি দিন থাকবে না।'
বিদ্যুৎ জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ। স্টার ফাইল ছবি

কয়লাভিত্তিক তিন বিদ্যুৎকেন্দ্র—পায়রার দ্বিতীয় ইউনিট, রামপাল ও ভারতের গোড্ডা থেকে আমদানিকৃত বিদ্যুৎ এ বছরের মধ্যে জাতীয় গ্রিডে যুক্ত হবে উল্লেখ করে বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বলেছেন, 'আশা করি এই পরিস্থিতি খুব বেশি দিন থাকবে না।'

বিদ্যুৎকেন্দ্রে জ্বালানি সংকটের কারণে গত কয়েক দিনে ঢাকাসহ সারা দেশে ব্যাপকভাবে লোডশেডিং বেড়ে গেছে। জ্বালানি প্রতিমন্ত্রী বলেছেন, বিশ্ববাজারে জ্বালানি তেল ও গ্যাসের দাম বেড়ে যাওয়ায় এই পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। রাশিয়া ও ইউক্রেনের যুদ্ধ থেকে এই অস্থিতিশীলতা তৈরি হয়েছে।

মঙ্গলবার রাতে নসরুল হামিদ তার ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে এক পোস্টে এসব কথা বলেন। সেখানে তিনি দেশের গ্যাসের চাহিদা ও সরবরাহের একটি চিত্র তুলে ধরেছেন।

তিনি জানান, বর্তমানে দেশে দৈনিক গ্যাস উৎপাদন হচ্ছে ২৩০০ মিলিয়ন ঘনফুট। বিদ্যুৎ উৎপাদনের জন্য প্রয়োজন হয় ১৬০০-১৭০০ মিলিয়ন ঘনফুট। কৃষি ও শিল্পখাতকে অগ্রাধিকার দিতে গিয়ে বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলোতে সরবরাহ করা হচ্ছে মাত্র ৯০০ মিলিয়ন ঘনফুট। সার উৎপাদনে প্রচুর পরিমাণ গ্যাস দিতে হচ্ছে।

দেশে গ্যাসের চাহিদার তুলনায় উৎপাদন কম হওয়ায় এতদিন এলএনজি আমদানি করে পরিস্থিতি সামাল দেওয়া হচ্ছিল। কিন্তু বিদেশ থেকে এখন উচ্চ দামে এলএনজি আমদানি করতে গেলে চাপের মুখে পড়তে পারে দেশের অর্থনীতি। সে আশঙ্কা সম্পর্কে নসরুল হামিদ বলেন, কোভিড-১৯ এর আগে এক ইউনিট এলএনজির দাম ছিল সর্বনিম্ন ৪ ডলার। বর্তমানে সেটা ৪১ ডলার ছাড়িয়ে গেছে।

তিনি জানান, এখন কাতার ও ওমানের সঙ্গে দীর্ঘমেয়াদী চুক্তির আওতায় এলএনজি আসছে।

তিনি আরও বলেন, জ্বালানির অনুসন্ধান, উৎপাদন বৃদ্ধি এবং বিদ্যমান কূপগুলো আরও গভীরে খনন করে গ্যাসের অনুসন্ধান চলছে। এরই মধ্যে আগামী ৩ বছরের একটা আপগ্রেডেশন, ওয়ার্কওভারের স্বল্পমেয়াদী পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে যাতে করে ৪৬টি কূপ থেকে দৈনিক ৬১৮ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস নতুন করে জাতীয় গ্রিডে যুক্ত হতে পারে।

পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হওয়া পর্যন্ত গ্যাস-বিদ্যুৎ ব্যবহারে মিতব্যয়ী হওয়ার আহ্বান জানান প্রতিমন্ত্রী।

Comments

The Daily Star  | English
books on Bangladesh Liberation War

The war that we need to know so much more about

Our Liberation War is something we are proud to talk about, read about, and reminisce about but have not done much research on.

15h ago