লাঠিটিলায় সাফারি পার্কের সড়ক নির্মাণেই কাটা পড়বে ১০ হাজার গাছ: বেলা

লাঠিটিলা সংরক্ষিত বন পরিদর্শনে যায় বেলার প্রতিনিধি দল। ছবি: স্টার

বন্যপ্রাণীদের অভয়ারণ্য লাঠিটিলা সংরক্ষিত বনভূমিতে সাফারি পার্ক নির্মাণের পরিকল্পনা বাতিলের দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ পরিবেশ আইনজীবী সমিতি (বেলা)। এছাড়া এত বড় প্রকল্পের জন্য শুধু সড়ক নির্মাণ করলেই প্রায় ১০ হাজার গাছ কাটা পড়বে বলেও জানিয়েছে বেলার প্রতিনিধি দল। 

আজ বৃহস্পতিবার বেলার ১০ সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল মৌলভীবাজারের লাঠিটিলা সংরক্ষিত বন পরিদর্শনে গিয়ে গণমাধ্যমকর্মীদের সঙ্গে আলাপকালে এসব কথা বলেন।

গভীর বনটিকে রক্ষা করার জন্য এখনো সময় আছে উল্লেখ করে বেলার প্রতিনিধি দল বলেন, 'সাফারি পার্ক হোক, ব্যবসা-বাণিজ্য বাড়ুক, বিনোদনের জায়গা বাড়ুক। কিন্তু সংরক্ষিত বনে সাফারি পার্ক চাই না।'

বেলার ওই টিমের নেতৃত্বে থাকা সিলেটের সমন্বয়ক শাহ সাহেদা আক্তার বলেন, 'বন বিভাগ পাঁচ হাজার ৬৩১ একর আয়তনের ক্রান্তীয় চিরসবুজ এই বনে সাফারি পার্ক নির্মাণের পরিকল্পনা নিয়েছে। এ কাজে প্রায় ৯৮০ কোটি টাকা ব্যয় নির্ধারণ করা হয়েছে। এত বড় প্রকল্পে শুধু সড়ক নির্মাণ করলেই প্রায় ১০ হাজার গাছ কাটা পড়বে। সঙ্গে কাটা পড়বে পাহাড় ও টিলা। এতে হুমকির মুখে পড়বে জীব বৈচিত্র্য।'

শাহ সাহেদা আক্তার আরও বলেন, 'এখানকার মানুষের মতামত জানার চেষ্টা করেছি। এ বিষয়ে সরকারের পরিকল্পনার কথা জানার চেষ্টা করব। এর আলোকে পরবর্তী সময়ে সাংগঠনিক উদ্যোগ নেওয়া হবে।'

লাঠিটিলা ফরেস্ট ভিলেজারের হেডম্যান আব্দুর রাজ্জাক বলেন, 'সাফারি পার্ক তৈরি হলেই বন বিপন্ন হবে। বিপন্ন হব আমরা।'

আজ দুপুর ১২টার দিকে বেলার প্রতিনিধি দল লাঠিটিলা বনের লালছড়া এলাকায় যায়। এ সময় দলের সদস্যরা বনের বিভিন্ন অংশ ঘুরে দেখেন। তারা বনে বসবাসকারী বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষের সঙ্গে কথা বলেন।

বেলার প্রতিনিধি দলে বাংলাদেশ পরিবেশ সাংবাদিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক নুরুল মোহাইমীন মিল্টন ও বেলার মাঠ কর্মকর্তা আল আমিন সরদার রেজাসহ অনেকে উপস্থিত ছিলেন।

Comments

The Daily Star  | English

Rohingya influx: 8 years on, repatriation still elusive

Since the repatriation deal was signed with Myanmar in November 2017, Bangladesh tried but failed to send Rohingyas back.

10h ago