ছাঁট বৈচিত্র্যের ঈদ

পবিত্র রমজান মাসের শেষেই বছরের সবচেয়ে বড় উৎসব। ঈদুল ফিতর। শুধু আনন্দ-আয়োজনই নয়। দেশের ফ্যাশনচিত্রের পরিবর্তনটা সবচেয়ে স্পষ্ট বোঝা যায় এই একদিনের উৎসবকে ঘিরে। এ বছরের ফ্যাশন ও ট্রেন্ডের আদ্যোপান্ত তুলে ধরছেন খাদিজা আক্তার।

পবিত্র রমজান মাসের শেষেই বছরের সবচেয়ে বড় উৎসব। ঈদুল ফিতর। শুধু আনন্দ-আয়োজনই নয়। দেশের ফ্যাশনচিত্রের পরিবর্তনটা সবচেয়ে স্পষ্ট বোঝা যায় এই একদিনের উৎসবকে ঘিরে। এ বছরের ফ্যাশন ও ট্রেন্ডের আদ্যোপান্ত তুলে ধরছেন খাদিজা আক্তার।


রোজার প্রথম দিন মানেই ঈদের কাউন্ট ডাউন শুরু। ছুটির, পরিবারের মিলনমেলার আর অবশ্যই নতুন পোশাকের। ঈদের পোশাক মানেই হাজার রঙের মেলা। অগুনতি নতুন ফ্যাশন, স্টাইল ও ডিজাইন। ক্রেতার সঙ্গে তাল মিলিয়ে দেশি ফ্যাশন ডিজাইনাররা চেষ্টা করেন নতুন কিছু উপহার দিতে। ইন্টারনেট আর স্যাটেলাইটের বদৌলতে আজকাল ক্রেতার মননে প্রভাব ফেলে চলেছে আন্তর্জাতিক ফ্যাশন। সেটা অবহেলার মতো নয়। সব মিলিয়ে, এবারের ঈদে মুখ্য হয়ে উঠছে ক্রেতা পছন্দের ফ্যাশন।
 আশির দশকে আড়ং, এরপর উদ্যোক্তাদের আগ্রহে নব্বইয়ের বুটিক ব্লাস্ট। ডিজাইনারদের জন্য তৈরি হয়েছে একাধিক ফ্যাশন ডিজাইনকেন্দ্রিক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। সেই কালের নিউমার্কেট থেকে শুরু করে এখন ইন্টারনেটের অনলাইন শপ, ফেসবুকের পেজ। ফ্যাশন ঘিরে আবর্তিত হওয়া মানুষগুলোর উদ্যমে আমাদের পোশাক শিল্প পেয়েছে নান্দনিকতার ছোঁয়া। প্রতিবারের মতো এবারও ঈদকে ঘিরে ফ্যাশন হাউসগুলোর রয়েছে নানা আয়োজন। এই ঈদে নজরকাড়া ডিজাইন আর প্যাটার্নকে গুরুত্ব দিচ্ছেন সবাই। বৈচিত্র্যময় নকশার পাশাপাশি কাপড়ের বুনন ও রঙে প্রাধান্য দেয়া হচ্ছে আবহাওয়াকেও।

এখনো লং কামিজ
সত্যি, এখন শাড়ি নয়, সালোয়ার-কামিজই হয়ে উঠেছে বাঙালি নারীর প্রধান পরিধেয়। এবারের ঈদের সালোয়ার-কামিজে এসেছে বেশকিছু পরিবর্তন। লং কামিজ এবারো ফ্যাশন ট্রেন্ড, তবে কামিজের লেন্থ কিছুটা বেড়েছে এবং রাউন্ড কাট গুরুত্ব পেয়েছে। বেড়েছে একই কামিজে দুটি লেয়ারের ব্যবহার। কখনো কোটির
মতো, কখনো শেরোয়ানির মতো। অনেকে একে শ্রাগ নামেও চেনেন। তবে ছোট কোটির ব্যবহারও এখনো ফুরিয়ে যায়নি।
লং কামিজের বটমে ফিট সালোয়ারের প্রভাবটা কমবে। গরমের কথা মাথায় রেখেই পালাজ্জোর দাপট বজায় থাকছে এখনো। তবে পালাজ্জো মানেই অত ঢিলে নয় আবার। তারও ঘের কমে এসেছে বেশ। পালাজ্জোতে এবার লেয়ার ব্যবহার করেও বৈচিত্র্য আনা হয়েছে। পাশাপাশি বাড়ছে নরম কাপড়ের লুজ প্যান্টস আর টাইটসের ব্যবহার। তবে সালোয়ার বলুন আর কামিজ, দুটোতেই দেখা যাবে বহুরঙের ব্যবহার।
বাজার ঘুরে দেখা গেল, ঈদে গরমের বিষয়টি মাথায় রেখেই পোশাকের ফ্যাব্রিক নির্বাচন করা হয়েছে। যেমন, অঞ্জন’স এবারের ঈদের পোশাকে মূলত সুতি ও লিলেনের কাপড় ব্যবহার করেছে। একই সঙ্গে উৎসবের আমেজ আনতে ব্যবহার করা হয়েছে সিল্ক। কামিজের পাশাপাশি লম্বা আনারকলি স্টাইলের জামাও থাকছে। তবে অঞ্জন’স তাদের এবারের ঈদের পোশাকে নতুনত্ব এনেছে কটির ব্যবহারের মাধ্যমে। কামিজের সঙ্গে থাকছে একই কাপড়ের লম্বা কটি। কটিগুলো কামিজের সঙ্গে সংযুক্ত করেই ডিজাইন করা হয়েছে।
বিবিয়ানা ঈদের পোশাকে বরাবরই নতুনত্ব আনার চেষ্টা থাকে। ঈদের পোশাকে নতুনত্ব আনতে এবার ভারী কাজের লং কামিজের পাশাপাশি তৈরি করা হয়েছে কটি কামিজ। আবার কামিজের সঙ্গে স্কার্টের জোড়ও দেখা গেল। কুর্তি, টপসের প্যাটার্নে বৈচিত্র্য আনা হয়েছে। এবার বেশি ঘের দেয়া কামিজের ওপর গুরুত্ব দিয়েছে তারা। শাড়ির সঙ্গে পরার জন্য শাড়ির কাপড়েই লং শ্রাগের ব্যবহার বেশ নজরে পড়েছে। অন্য পোশাকগুলো গর্জিয়াস করে তুলতে ব্যবহার করা হয়েছে এম্ব্রয়ডারি, হাতের কাজ, স্ক্রিনপ্রিন্টসহ নানা কিছু।
ফ্যাশন হাউস নিপুণে এবার প্রাধান্য পেয়েছে গ্রীষ্মের উজ্জল রঙ। নিয়ন সবুজ, ঝলমলে নীল আর গোলাপি ও পিচের উজ্জ্বল সব শেডে তৈরি হয়েছে তাদের এবারের পোশাক। ফুটিয়ে তোলা হয়েছে ফুলেল প্রিন্ট ও জিওমেট্রিক প্রিন্ট। পাশাপাশি কিছু পেশাকের প্রিন্টে গয়না নকশাও ব্যবহার হয়েছে। কুর্তি এবার কিছুটা লং কামিজের মতো লম্বা করা হয়েছে। বৈচিত্র্য আনা হয়েছে পকেট এবং কুচি ব্যবহার করে। প্রিন্টের কুর্তাতেও এবার বেশ গুরুত্ব দিচ্ছে তারা। পালাজ্জো, প্যান্টের পাশাপাশি চোষও রয়েছে। যেহেতু গরম এবং ঈদ একটি গর্জিয়াস উৎসব তাই সালোয়ার-কামিজ, শাড়ি, পাঞ্জাবিসহ সব ধরনের পোশাকেই কটনের পাশাপাশি ব্যবহার করা হয়েছে মসলিন, সিল্ক, জয়সিল্ক কাপড়।’
এই ঈদের ফ্যাশন ট্রেন্ড সম্পর্কে রঙ বাংলাদেশের প্রধান ডিজাইনার সৌমিক দাস জানান, ‘তুরস্কের হায়া সোফিয়া মসজিদ, ইন্দোনেশিয়ান বাটিক, দেশীয় গয়না ও কাঠ খোদাইয়ের মতো আকর্ষণীয় চারটি বিষয়কে ভিত্তি করে এবার কাজ করছি আমরা। পোশাকের স্ক্রিনপ্রিন্টের পাশাপাশি গুরুত্ব দিয়েছি হ্যান্ড এম্ব্রয়ডারিকে। এ ছাড়া টাই-ডাই, অ্যাপলিক, মেশিন এম্ব্রয়ডারি, কারচুপি, আড়ি ইত্যাদিও ব্যবহার করেছি নান্দনিক রূপে। কামিজের ঘের এবং লেন্থ দুটোই বেশি রাখা হয়েছে। এ ছাড়া আনারকলি প্যাটার্নও এসেছে কামিজে। ঈদটা এবার পড়ছে বেশ বৃষ্টি-বাদলের দিনে, সঙ্গে গরম তো থাকছেই। তাই সারাদিনের ঘোরাঘুরিকে আরামদায়ক করতে সুতি কাপড়ই বেশি ব্যবহার করছে তারা।
সব মিলিয়ে দেখা গেল, এবার পোশাকে নকশা ফুটিয়ে তুলতে এম্ব্রয়ডারিকে প্রাধান্য দেয়া হয়েছে। প্রচুর এম্ব্রয়ডারির নকশা দেখা যাবে হাউসগুলোর ঈদ কালেকশনে। অন্য মাধ্যমেও বিভিন্ন সালোয়ার-কামিজ করা হয়েছে। সালোয়ারের ক্ষেত্রে মূলত নরমাল ডিজাইনই

প্রাধান্য পেয়েছে। সঙ্গে থাকছে ম্যাচিং ওড়না। উৎসবের আমেজ আনতে ওড়নাগুলোকেও বিশেষ যতœ নিয়ে করা হয়েছে। সালোয়ার-কামিজ ছাড়াও ঈদ কালেকশনে থাকছে বিভিন্ন ডিজাইনের ফতুয়া, টপস, শাড়ি ইত্যাদি।

বৈচিত্র্যময় কাট
পোশাকের কাটছাঁট, হেমলাইন এবং নকশাতেও এসেছে পরিবর্তন। এসেসট্রিক কাট অর্থাৎ পোশাকের পেছনে লম্বা এবং সামনের খাটো কাট এবার ঈদে ট্রেন্ডি কাট হয়ে উঠবে। সালোয়ার-কামিজের বাইরে এবার স্কার্ট, কুর্তা, আনারকলি, গাউন, ফ্রক স্টাইলের পোশাকও বেশ গুরুত্ব পাবে। বেশি ঘের দেয়া লং স্কার্টের চলও এসেছে। কুর্তিতে এসেছে ব্যাপক পরিবর্তন। লং কুর্তি, প্রিন্ট কুর্তি, পকেট দেয়া কুর্তি নানা রূপে হাজির হবে। নেকলাইন, বটমলাইন ও হাতা সবটাতেই এই বৈচিত্র্য চোখে পড়বে। লিলেন, কটন, শামু সিল্কের সঙ্গে সঙ্গে জর্জেট কাপড় বেশি ব্যবহার করা হয়েছে পোশাকের ফ্যাব্রিক হিসেবে। আবহাওয়ার কারণে এই ঈদে প্রিন্টের প্রাধান্য বেশি দেখা যাবে। সালোয়ার কামিজ ওড়না তিনটি অংশে নানা বৈচিত্র্য থাকবে। সিঙ্গেল সালোয়ার কামিজের সঙ্গে প্রিন্টের ওড়না করা হয়েছে। কোথাও প্রিন্টের কামিজের সঙ্গে থাকছে সিঙ্গেল কালারের সালোয়ার-কামিজ। কাপড়ের নকশায় মিক্সড মিডিয়ামের কাজ প্রাধান্য পেয়েছে। সিঙ্গল কামিজগুলোতে মাল্টিকালার ও মাল্টি মিডিয়ামের ব্যবহারও দেখা যাবে। ওড়নায় লেস, কালারসহ বিভিন্ন এক্সেসরিজ ব্যবহার করে বৈচিত্র্য আনা হয়েছে। বৃষ্টির একটা আবহ থাকবে বলে এবার পোশাকের রঙে নীল ও সবুজের প্রাধান্য থাকবে। নীল ও সবুজের প্রায় সব টোন ব্যবহার করা হয়েছে ঈদের পোশাকে। নকশার ক্ষেত্রে এম্ব্রয়ডারি, হ্যান্ড পেইন্ট, স্ক্রিনপ্রিন্ট ছাড়াও প্রাধান্য পেয়েছে ফুলেল মোটিফ। শুধু পোশাকের নকশা কিংবা বুনন নয়, ঈদের পোশাকে গুরুত্ব পায় রঙও। এই ঈদে পিচ রঙ বেশি প্রাধান্য পাবে। পাশাপাশি নীল, হলুদ, কমলা ধাঁচের রঙগুলোও বেশ প্রভাব ফেলবে বলে জানান ডিজাইনাররা।

শাড়ি
ঈদে তো আর যেনতেন সুতি শাড়ি পরলে চলে না। ওদিকে গরমকেও অগ্রাহ্য করার উপায় নেই। তাই আরাম ও উৎসব, দুটোর মিশেলে প্রাধান্য পাচ্ছে সিল্ক। ডিজাইনারদের মতে, এ বছর ঈদে বর্ষা ও খানিকটা গরম থাকায় সুতি, খাদি, অ্যান্ডি, সিল্ক, হাফ সিল্ক শাড়ির প্রতিই থাকছে সবার নজর। শাড়িতে চওড়া পাড়ের আধিক্য বেশি দেখা যাচ্ছে। সুতি, জর্জেট ও সিল্ক শাড়ির ওপর পাড় এবং তাতে সুতার কাজ বা হ্যান্ড প্রিন্ট চলছে এবার। প্রকৃতির সঙ্গে মিল রেখে শাড়িতে হালকা ও উজ্জ্বল রঙের ব্যবহার থাকবে প্রচুর। এবার নীল, বেগুনি, ম্যাজেন্টা, ফিরোজা, পেস্ট, সাদা, গোলাপি, সবুজÑ শাড়িতে এ ধরনের রঙ প্রাধান্য পাবে বেশি। তবে এবারের ঈদে রাতের জন্য গাঢ় রঙ আর দিনে পরার জন্য তিন-চারটি রঙের মিশেলে কন্ট্রাস্টের শাড়িই বেশি পছন্দ করছে তরুণীরা, এমনটাই জানালেন বিক্রেতারা। পার্টির শাড়ি হিসেবে নতুন প্যাটার্নের কাজের সঙ্গে পুরনো ঐতিহ্যটাও বেশ চলছে। কাতান, মসলিন, জামদানি এখনো চাহিদার শীর্ষেই আছে। এদের সঙ্গে যুক্ত হয়েছে জারদৌসি, এম্ব্রয়ডারি এবং অ্যাপ্লিক বা কারচুপির কাজ।


পার্টিতে পরতে
প্রায় প্রতিটি ফ্যাশন হাউসেই ঈদ উপলক্ষে থাকে এক্সক্লুসিভ কিছু পোশাকের ডিজাইন। পার্টির বিশেষ পোশাকগুলোতে প্রধান হয়ে উঠেছে বোটনেক এবং লম্বা হাতার চর। যেটি কনুই থেকে শুরু হয়ে মুহুরিতে ঢিলে হয়ে গেছে। অঞ্জন’স, কে-ক্র্যাফট, বিবিয়ানা, মায়াসির, আড়ংসহ বিভিন্ন ফ্যাশন হাউসের আসছে ঈদের এক্সক্লুসিভ পোশাকে ক্ষেত্রে জোর দেয়া হয়েছে সিল্ক ও মসলিন কাপড়কে। এ ক্ষেত্রে ঈদের ট্রেন্ডি প্যাটার্নের পাশাপাশি পোশাকগুলো গর্জিয়াস করে তুলতে ভারী এম্ব্রয়ডারি, কারচুপি, আড়ি নকশা ব্যবহার করা হয়েছে। কিছু পোশাকে এ ধরনের নকশা করা হবে ফুলেল প্রিন্টের ওপর। কারো কারো পোশাকে ফিতার ব্যবহারেই ফুটিয়ে তোলা হচ্ছে ফুল, যা পোশাকগুলোকে আরো নজরকাড়া করে তুলেছে। লং কামিজের সঙ্গে জরি সুতার ভারী কটি ব্যবহার করেও এক্সক্লুসিভ লং কামিজ তৈরি করা হয়েছে। সালোয়ার-কামিজের পাশাপাশি জয়সিল্ক, কটন, মসলিন কাপড়ের পাঞ্জাবিও এবার ঈদে গুরুত্ব পাবে।

ঈদ পোশাকে ভিনদেশি ছাঁট
ঈদে এবার বিদেশি কিছু ফ্যাশন এবং ছাঁটের প্রভাব দেখা যাচ্ছে। দিনে কিংবা রাতের অনুষ্ঠানে যাদের উপস্থিতি নজর কাড়বেই আপনার। এই পোশাকগুলোর মাঝে প্রধানটি হবে সাটিনের গাউন। অস্কার থেকে শুরু করে কানের রেড কার্পেট তো বটেই, এই উপমহাদেশের অন্যতম জনপ্রিয় ফ্যাশন ট্রেন্ড ছিল সাটিনের ফ্লোরটাচ গাউনগুলো। গোলাপি, ফিরোজা, পিচ রঙের লম্বা সাটিনের পোশাক বেছে নিয়েছিলেন এবার নায়িকা ও অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ তারকারা। গাউনের জন্য আরো থাকবে নেটের ট্রেন্ড। আপনার উচ্চতা যেমনই হোক আর আপনি যে ধরনেরই হোন না কেন পাতলা নেটের গাউন বা জানা খুব সহজেই আপনাকে মানিয়ে যাবে। বিদেশি ছাঁটের পোশাকগুলোতে লেয়ারের প্রয়োজনেও বারবার এসেছে নেটের ব্যবহার। নেটের পোশাকের ক্ষেত্রে কালো ও লাল রঙই বেশি জনপ্রিয়। পাশাপাশি পার্পল, সাদা কিংবা ধূসর রঙও বেছে নিতে পারেন।
যারা প্যান্ট ও টপসেই বেশি স্বাচ্ছন্দ্য তাদের জন্য রয়েছে শার্ট-টপস। গ্রীষ্মের মাঝামাঝি থেকে শুরু হওয়া ফ্যাশনেবল এই পোশাকটির প্রচুর দেখা যাবে এবারের ঈদে। বড় দুল, বাঁধা চুল আর রিবন বা বেল্টের সঙ্গে দারুণ মানাবে এই টপসগুলো।

ফ্রিঞ্জ, ফ্রিল আর ফ্লেয়ার
গাউন কিংবা ফ্রক ছাঁটের টপসগুলোতে এ বছর থাকবে কুচির প্রাধান্য। আর আঁকাবাঁকা করে নানান পরতে পোশাককে অলঙ্কৃত করবে ফ্লেয়ারের আধিপত্য। ফ্লেয়ারকে আরেক ধরনের কুচিই বলা যায়, তবে এর ভলিউম বেশি। এ বছরের মতো ফ্রিলের পোশাক পরেছেন জনপ্রিয় তারকারা যা সামনের বছরও এ ধরনের পোশাকে স্বাচ্ছন্দ্য থাকবেন ফ্যাশন সচেতনরা। কেবল গাউন বা জমকালো পোশাকেই ফ্রিল দেওয়া যাবে এমন নয়। সাধারণ স্কার্ট বা টপসেও ফ্রিল ও ফ্রিঞ্জ যোগ করতে পারেন অনায়াসে।
কাপড় দেশি, হাউসগুলোও। তার সঙ্গে মিশে যাচ্ছে বিদেশি পোশাকের ছাঁট। এভাবে চললে বিদেশি কিছু ধারায় আমরা তাল মেলাতে পারব ঠিকই। কিন্তু বিদেশি প্যাটার্ন আর রঙই তো শেষ কথা নয়। রঙ ও কাপড়ের গুণগত মান নিশ্চিত করাও আন্তর্জাতিক ফ্যাশনের অন্যতম শর্তগুলোর একটি। সেটি কী আসলেই আমাদের হাউসগুলো নিশ্চিত করতে পারছে? তার ওপর গত কয়েক বছর ধরেই ঈদের পোশাকে একই ধরনের ডিজাইন আর কাটের পুনরাবৃত্তি চলছে বারবার। মৌলিক কাজ দেখা যাচ্ছে না বললেই চলে। এ প্রশ্নটি মাথায় রেখেই সামনের ঈদ পোশাকগুলো তৈরির ওপরে জোর দিলেন ফ্যাশন বোদ্ধারা।
পোশাক : কাকন, গুঞ্জন ফ্যাশন, রওশন’স বুটিক
অঞ্জন’স, ইয়োডো ডিজাইন সোর্স
মডেল : রিবা, জলি, শ্রাবস্তি, লিন্ডা, রিসিলা
ছবি : সাজ্জাদ ইবনে সাঈদ

Comments

The Daily Star  | English
Indian Padma Vibhushan industrialist Ratan Tata dies at 86

Ratan Tata passes away

India’s top industrialist and Tata Sons Chairman Emeritus Ratan Tata died in a hospital in Mumbai last night, the company said.

7h ago