অভিবাসী কর্মীর সংখ্যা বেড়েছে দেড় গুণ

প্রতীকী ছবি। স্টার ফাইল ছবি

গতকাল বৃহস্পতিবার প্রকাশিত রিফিউজি অ্যান্ড মাইগ্রেটরি মুভমেন্ট রিসার্চ ইউনিটের (আরএমএমআরইউ) একটি প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে, গত বছরের তুলনায় এ বছর বাংলাদেশি অভিবাসী কর্মীর সংখ্যা দেড় গুণ বেড়েছে।

সরকারের কাছ থেকে পাওয়া তথ্যের উদ্ধৃতি দিয়ে সংস্থাটি তাদের 'লেবার মাইগ্রেশন ফ্রম বাংলাদেশ ২০২১: অ্যাচিভমেন্টস অ্যান্ড চ্যালেঞ্জেস' প্রতিবেদনে উল্লেখ করে, এ বছরের নভেম্বর পর্যন্ত প্রায় ৪ লাখ ৮৫ হাজার ৮৯৩ জন বাংলাদেশী অভিবাসী কর্মী দেশের বাইরে গেছেন। তাদের মধ্যে ৬৮ হাজার ৫৭৯ জন নারী।

প্রতিবেদন অনুযায়ী, ২০২০ সালে ২ লাখ ১৭ হাজার ৬৯৯ জন কর্মী দেশের বাইরে যান।

এতে আরও জানানো হয়, ২০১৯ সালে মহামারি-পূর্ব পরিস্থিতিতে ৭ লাখ ১৫৯ জন কর্মী দেশের বাইরে যান। তবে ২০২১ সালের শেষ নাগাদ অভিবাসীর সংখ্যা ২০১৯ সালের তুলনায় ৩২ শতাংশ কম হতে পারে।

রাজধানীর জাতীয় প্রেস ক্লাবে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে আরএমএমআরইউ এই প্রতিবেদনটি গণমাধ্যমের কাছে প্রকাশ করে।

আরএমএমআরইউ-এর প্রতিষ্ঠাতা ও চেয়ারম্যান অধ্যাপক তাসনিম সিদ্দিকী জানান, গত বছর অভিবাসন উল্লেখযোগ্য পরিমাণে কমে গিয়েছিল। সেদিক বিবেচনায় ২০২১ সালে ৪ লাখ ৮০ হাজার কর্মীর অভিবাসন খুব একটা হতাশাজনক সংখ্যা নয়।

এ বছর সর্বোচ্চ অভিবাসী কর্মী গেছেন কুমিল্লা (১১ দশমিক ৫৬ শতাংশ) ও ব্রাক্ষণবাড়িয়া (৮ শতাংশ) থেকে।

সেপ্টেম্বর পর্যন্ত বিভিন্ন গন্তব্যে যাওয়া বাংলাদেশি অভিবাসীদের মধ্যে ৭৩ দশমিক ৫৯ শতাংশই 'স্বল্প দক্ষ'।

প্রতিবেদন অনুযায়ী, ২২ নভেম্বর পর্যন্ত ৬৪ হাজার ৬৪৬ জন অভিবাসী কর্মী (৪ হাজার ৪৪৭ জন নারীসহ) 'আউট পাস' নিয়ে দেশে ফিরে এসেছেন। এ বছর দূতাবাসগুলো অবৈধ অভিবাসীদের এই নথি দিয়েছে।

জনশক্তি, কর্মসংস্থান ও প্রশিক্ষণ ব্যুরোর (বিএমইটি) দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, ৪ লাখ ৮ হাজার অভিবাসী গত বছর মহামারির সময় দেশে ফিরে এসেছেন।

'এতে বোঝা যায়, মহামারির মধ্যে (অভিবাসী কর্মীদের) চাকরি হারানোর হার উল্লেখযোগ্য পরিমাণে বেড়েছে', প্রতিবেদনে যোগ করা হয়।

প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, মহামারির মধ্যে ৪ লাখ ১০ হাজার ১০২ জন অভিবাসীর ৯৪ শতাংশই সৌদি আরব ও ওমানে গেছেন।

এ বছরের নভেম্বর পর্যন্ত রেমিট্যান্স হিসেবে বাংলাদেশ ২০ দশমিক ৪ বিলিয়ন ডলার পেয়েছে। যদি এই ধারা অব্যাহত থাকে, তাহলে ২০২১ সালের শেষ নাগাদ রেমিট্যান্সে ২ শতাংশ প্রবৃদ্ধি দেখা যাবে।

আরএমএমআরইউ জানায়, শ্রমিক নিয়োগে বাংলাদেশ ও মালয়েশিয়ার মধ্যে শ্রম বাজার সংক্রান্ত সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) সই একটি গুরুত্বপূর্ণ উদ্যোগ।

'তবে উল্লেখযোগ্য সংখ্যক কর্মীর মালয়েশিয়া যাওয়াসহ অন্যান্য সফলতাগুলো অনেকাংশেই নিয়োগসংস্থাগুলোকে জবাবদিহিতার আওতায় আনার ওপর নির্ভর করবে', যোগ করেন অধ্যাপক তাসনিম।

অনুবাদ করেছেন মোহাম্মদ ইশতিয়াক খান

Comments

The Daily Star  | English
Tariffs

Economic lessons from the tariff war

Our understanding of tariffs might not be complete.

9h ago