বাংলাদেশি রিক্রুটিং এজেন্টদের তথ্য খতিয়ে দেখতে বললেন মালয়েশিয়ার এমপি

মালয়েশিয়ায় বাংলাদেশি কর্মী নিয়োগে নিয়োজিত ২৫ বাংলাদেশি রিক্রুটিং এজেন্ট এবং তাদের সাব-এজেন্টদের বিষয়ে ভালোভাবে খতিয়ে দেখতে মালেশিয়ার সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন দেশটির সংসদ সদস্য চার্লস সান্তিয়াগো।
সান্তিয়াগোর মতে, জোরপূর্বক শ্রম আদায়ের ঝুঁকি কমানোর জন্য এসব কোম্পানির ওপর নজর রাখা প্রয়োজন।
আজ শুক্রবার মালয়েশিয়ার সংবাদমাধ্যম ফ্রি মালয়েশিয়া টুডে এ তথ্য জানায়।
সান্তিয়াগো বলেন, 'অনেক কোম্পানির `ইন্টারলকিং ডিরেক্টরশিপ' (একাধিক কোম্পানির একই পরিচালক) আছে এবং এসব কোম্পানির মালিক আসলে কে তা আমরা জানি না।'
'তারা ২৫ এজেন্টের কথা বলছেন। কিন্তু আসলে এখানে কেবল ২ বা ৩ জন মানুষ থাকতে পারে এবং বিভিন্ন কোম্পানির নামে কাজ চলতে পারে। সরকারের অবশ্যই সতর্ক মধ্যে থাকা উচিত। আসলেই ২৭৫টি পৃথক কোম্পানি আছে, নাকি তারা সব প্রক্সি—সেটাও সবার সামনে প্রকাশ করা উচিত', যোগ করেন তিনি।
মালয়েশিয়া ও বাংলাদেশ গত ডিসেম্বরে একটি সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) সই করে। এর মাধ্যমে ২০১৮ সাল থেকে স্থগিত থাকা মালেশিয়ায় নতুন বাংলাদেশি শ্রমিক নিয়োগ পুনরায় চালু হয়। ২৭৫টি কোম্পানিকে মালয়েশিয়ায় বাংলাদেশি কর্মী নিয়োগের অনুমতি দেওয়া হয় সমঝোতা স্মারকে।
সমঝোতা স্মারক অনুসারে, নিয়োগকারী এজেন্টের সংখ্যা ২৫ এবং সাব-এজেন্টের সংখ্যা ২৫০ এ উন্নীত করা হয়েছে।
মালয়েশিয়ার মানবসম্পদ মন্ত্রী এম সারাভানান বলেছেন, ২৭৫টি কোম্পানিকে কর্মী নিয়োগের অনুমতি দেওয়ার সিদ্ধান্ত প্রমাণ করেছে যে মালেশিয়ায় কর্মী নিয়োগে কারো কোনো একচেটিয়া আধিপত্য নেই।
মন্ত্রী বলেন, 'আমরা যদি নিয়োগ একচেটিয়া করতে চাইতাম, তাহলে পুরনো সমঝোতা স্মারকের ভিত্তিতে ১০টি এজেন্সি রাখতে পারতাম। কিন্তু আমি তা বাড়িয়ে ২৭৫টি (এজেন্ট এবং সাব-এজেন্ট) করেছি। কোনো একচেটিয়া বিষয় নেই এখানে।'
Comments