অস্ট্রেলিয়ায় ‘করপোরেট সঙ্গীতশিল্পী’ জাহাঙ্গীর আলম

একজন তরুণ ব্যবসায়ী হিসেবে জাহাঙ্গীর আলম অস্ট্রেলিয়া প্রবাসী বাংলাদেশি কমিউনিটিতে সুপরিচিত। পাশাপাশি একজন সঙ্গীতশিল্পী হিসেবেও তিনি এখন বেশ জনপ্রিয়। কমিউনিটির প্রায় সব অনুষ্ঠানে তার উপস্থিতি অনিবার্য। তার গান মানেই দর্শকের উল্লাস আর বিপুল করতালি।
করোনা মহামারিকে কেন্দ্র করে জাহাঙ্গীর আলমের গাওয়া 'জীবন যুদ্ধ হারতে নাহি চাই' অস্ট্রেলিয়া প্রবাসী বাংলাদেশিদের প্রাণের সঙ্গীতে পরিণত হয়েছে। গানটি এখন সবার মুখে মুখে।
অনবদ্য এই গানটির বিষয়ে জাহাঙ্গীর আলম বলেন, 'আমি বিশ্বাস করি গান হচ্ছে ৫ থেকে ৭ মিনিটের খুবই শক্তিশালী একটা গল্প, যা মানুষ সহজে খুব বেশিদিন মনে রাখে। আমি এই গানে তেমনই একটি গল্প বলার চেষ্টা করেছি। এই গানের মাধ্যমে করোনায় বিপর্যস্ত মানুষকে উজ্জীবিত করতে চেয়েছি।'
জাহাঙ্গীর আলম ২০০৪ সালে রাজশাহী প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে (সিএসই) বিএসসি করেন। একই বছর তিনি মটোরোলা সলিউশনসহ নেটওয়ার্ক ইঞ্জিনিয়ার হিসেবে চাকরি শুরু করেন। কর্মরত অবস্থায় তিনি অস্ট্রেলিয়ার ভিক্টোরিয়া বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ব্যবসায় স্নাতক ডিগ্রি অর্জন করেন।
একজন সফল উদ্যোক্তা হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করার জন্য জাহাঙ্গীর আলম যোগাযোগ ও প্রযুক্তি ক্ষেত্রে তার প্রয়াসকে সম্প্রসারিত করার লক্ষ্য ঠিক করেন। সে অনুযায়ী 'টেলিঅজ' নামের প্রযুক্তিনির্ভর প্রতিষ্ঠান প্রতিষ্ঠিত করেন।
সঙ্গীত নিয়ে তার ভবিষ্যৎ স্বপ্নের বিষয়ে তিনি বলেন, 'আমার ব্যবসার কাজকর্মের ফাঁকে খুব বেশি সময় গানের জন্য আমি পাব না। তারপরেও গান নিয়ে ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা হচ্ছে, সংখ্যায় অল্প হলেও জীবনঘনিষ্ঠ এসব গান খুব সুন্দর করে মানুষের সামনে উপস্থাপন করা যেন সব শ্রেণীর মানুষ এগুলো দেখে ও শোনে এবং এখান থেকে কিছু শিখতে পারে।'
অস্ট্রেলিয়ার বিভিন্ন বাংলাদেশি অনুষ্ঠানে গান পরিবেশন করা ছাড়াও জাহাঙ্গীর আলমের রয়েছে অনেকগুলো মিউজিক ভিডিও। নিজস্ব ইউটিউব চ্যানেলসহ বিভিন্ন অনলাইন প্লাটফর্মে তার মিউজিক ভিডিওগুলো খুব জনপ্রিয়।\
আকিদুল ইসলাম: অস্ট্রেলিয়া প্রবাসী লেখক, সাংবাদিক
Comments