অস্ট্রেলিয়ায় ২৪ ঘণ্টায় ৩৯ হাজার করোনা শনাক্ত, বিধিনিষেধ আসছে
অস্ট্রেলিয়ায় গত ২৪ ঘণ্টায় ৩৯ হাজার ৪৬ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। আজ সোমবার দেশটির ফেডারেল স্বাস্থ্য বিভাগ এ তথ্য জানিয়েছে।
ফেডারেল স্বাস্থ্য বিভাগের তথ্য অনুযায়ী, বর্তমানে ৫ হাজারেও বেশি রোগী হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। এর মধ্যে ১৫৫ জন আইসিইউতে এবং ৩৭ জন ভেন্টিলেটর সাপোর্টে আছেন।
১৮ জুন ১৯ হাজার ৬০০ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছিল। তারপর থেকে সেই সংখ্যা দ্রুত বেড়ে ১১ জুলাই হয় ৩২ হাজার ১৬০ জন।
দেশটির স্বাস্থ্য বিভাগ করোনার নতুন তরঙ্গের পূর্বাভাস দিয়ে নাগরিকদের সতর্ক করে বলেছে, আগামীতে পরিস্থিতি আরও খারাপ হতে পারে।
প্রধানমন্ত্রী অ্যান্টনি আলবানিজ বলেছেন, বর্তমান তরঙ্গটি আগস্টে মারাত্মক হতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। মহামারি পরিস্থিতির পরিবর্তনের কারণে অস্ট্রেলিয়ার স্বাস্থ্য নীতিতে পরিবর্তন আনা হয়েছে। সেই পরিবর্তনের অংশ হিসেবে নতুন করে মহামারিজনিত ছুটির অর্থ প্রদান শুরু করা হয়েছে, মাস্ক পরতে উৎসাহী করা হচ্ছে এবং একটি অস্থায়ী নতুন 'টেলিহেলথ আইটেম' তৈরি করা হয়েছে।
স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, অস্ট্রেলিয়া তার সবচেয়ে বড় মহামারি তরঙ্গের মুখে পড়তে যাচ্ছে।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী মার্ক বাটলার বলেন, এই মুহূর্তে আমরা ৪০ হাজারের মধ্যে আছি। তাই আমি সত্যিই অবাক হবো না, যদি আগামীকাল ৫০ হাজার করোনা শনাক্ত হয়। আগামী কয়েক সপ্তাহের মধ্যে লাখ লাখ মানুষ করোনায় আক্রান্ত হতে পারেন বলে অনুমান করা হচ্ছে।'
সরকারি পরিসংখ্যান অনুযায়ী, প্রায় ১৪ মিলিয়ন নাগরিক করোনা ভ্যাকসিনের তিন বা তার বেশি ডোজ নিয়েছেন। যা দেশটির মোট জনসংখ্যার ৭০ দশমিক ৯ শতাংশ। এছাড়া, ৩ মিলিয়নেরও বেশি নাগরিক ৪ ডোজ নিয়েছেন।
সরকার মাস্ক পরা বাধ্যতামূলক এবং বিনামূল্যে র্যাপিড অ্যান্টিজেন পরীক্ষার প্রোগ্রাম ব্যবস্থা নিয়ে আলোচনা করছে। তবে, কোনো পরিকল্পনা এখনো নিশ্চিত করেনি।
সরকার ঘোষণা করেছে, করোনা আক্রান্ত কর্মীদের মহামারি ছুটির অর্থ ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত দেওয়া হবে। পাশাপাশি আক্রান্ত এবং গুরুতর আর্থিক অসুবিধায় থাকা নাগরিককে জাতীয় সংকটের আর্থিকসহায়তা দেওয়া হবে। এতে ফেডারেল এবং রাজ্য সরকারের মোট ৭৮০ মিলিয়ন ডলার খরচ হবে।
আকিদুল ইসলাম: অস্ট্রেলিয়া প্রবাসী লেখক, সাংবাদিক
Comments